সেখানে তুমি নেই
তানভীর আজীমি
কি’কথা কতোদিন কতো প্রতীক্ষার দিনরাত্রি শেষে
বলা হয় না কখনও! কী এমন কথা বুকের জমিনে
অঙ্কুরিত বৃক্ষের মতো আকাশ ছোঁয়ার স্বপ্ন নিয়ে
বেহাগ-বাগেশ্রীর বিলাপে রাতকে করে ভারাক্রান্ত;
কি এমন না বলা কথা বুকের গভীরে আগ্নেয়গিরির
দাবানল হয়ে পোড়ায়! তুমি কি জানো সে’সব?
বিরহী প্রেমিক জানে, জানে মধ্যরাতের নক্ষত্ররাজি
নক্ষত্র হতে গ্রহ, গ্রহ হতে গ্রহান্তরে সে কথা ছড়ায়।
বিবশ আকাশ মৌনতার সুতোয় সে”সব ধরে রাখে
নীলকণ্ঠ ধরণী তারাদের মিছিলে ঢেকে দিতে চায়
প্রকাশের যন্ত্রণা, দগ্ধ উল্কাপিন্ড হয়ে খসে পড়ে
তবুও কথাগুলো বর্ণমালা খুঁজে পায় না কখনও!
প্রথম প্রহরে ভেবেছিলাম দুপুরের রোদে ঝলসে দেবো,
দুপুরে পড়ন্ত প্রায় সূর্য মন্ত্রমুগ্ধ করে বলল চুপি চুপি-
একটু পরেই নামবে গোধূলি গোধূলির কাছে নতজানু
আমি হাঁটুগেড়ে প্রার্থনার ভঙ্গিতে দু’হাত তুলতেই
রাতের অন্ধকার অলক্ষ্যে বিদ্রুপ করে বলল-
সময়ের ধারাপাত পড়ে কি কেউ!’ তুমি পড়েছো?
সময়-অসময়ের ব্যাকরণ না জানা কান্ডজ্ঞানহীন এক
পথিক শেষ রাতের পান্থশালায় শূন্য পাত্র হাতে নিয়ে
তন্বী সাকীর বাহুবন্ধনের স্বপ্নে বিভোর নিদ্রাহীন!
ক্লান্তিহীন ক্ষুধার্ত কামুক যন্ত্রণায় নীল হতে হতে
ভালোবাসার ধারাপাত ভুল করে প্রতিদিন-
মৃত্যুযন্ত্রণায় কাতরায়! সে যন্ত্রণা কি তুমি জানো?
আমি যন্ত্রণার নামাবলি গায়ে দিয়েও স্বপ্ন দেখে দেখে
ক্লান্ত অবসন্ন প্রেমিক তোমাকে খুঁজি বালুকাবেলায়।
ঝিনুকের ফসিলে খুঁজি স্বপ্নের আকর, বাতাসের মুগ্ধতায়
মনে হয় এই বুঝি বলার সময়, এই বুঝি মাহেন্দ্রক্ষণ
অথচ তখনও একটি বিষণ্ন বাঁশির ক্লান্ত পঞ্চমী
আমাকে নিয়ে যায় বধির জগতে, সেখানে তুমি নেই।
Mr. Sheikh
Athens, Greece