কহরদরিয়ার কবিতাবিরহ
মুহম্মদ নূরুল হুদা (মুনূহু)
বলো, কোথায় সেই কহর,
কোথায় সেই চম্পকনহর?
কোথায় বালকবালিকার বিহঙ্গশিস্,
কোথায় সেই ঢকঢক আদিবিষ?
আমিও যে আমার নই
এ কথা আমার চেয়ে আর কে
বেশি জানে? তাহলে তুমি কি করে
আমার হবে, কিংবা আমি কি করে
তোমার? অঙ্গ দেখিয়ে তুৃমিও কত
বঙ্গ যে জয় করলে হে আদিনিসঙ্গ?
তারপর নিজে নিজেই বনে গেলে
মহামতি হিমালয়শৃঙ্গ!
তুমি কি চেঙ্গিস না হলেও অন্তত
শেষমোগল সম্রাট বাহাদুর শাহ?
কেবল প্রেমের শ্লোক উচ্চারণ
করেই কি বাজি ধরলে অমরত্বের?
বটে, তা তো ধরবেই। তোমার
হাজারকোটি বছরের ইতিহাসে
কে সেই নির্বিকল্প অমর-অজর?
কে সেই অদ্বিতীয় প্রমাণক?
না, নেই কোনো সদুত্তর,
নেই কোনো সমিল সবক।
তুমি না হয় ঘর করো, আমি যে
ততক্ষণে আমারই পর হয়ে গেলাম।
ত্বক কুকড়ে গেলেও আমি তোমার
ভিতর চিরসুন্দরের দেখা পেলাম।
যেহেতু সুন্দর শুধু ওড়ে আর ঘোরে,
কোথাও শিকড় মেলে না; আদি নগ্নতার
ওপর মগ্নতা চাপিয়ে সুন্দর শুধু পোশাক
বদল করে। আমি কার তুমি কার কে কার?
আমি কি চিরনগ্নপ্রাণ,
তুমি কি চিরমুহূর্তের ঘ্রাণ?
আমি না আমার ত্রাণ, না তোমার।
কে কবি, কে কবিদের কবি,
কে চিরকবিকুমার?
বাল্মিকী হোমার থেকে এই নিয়ে
চলছে তো চলছেই
কেবল কবি ও কবিতাশুমার।
যেহেতু তুমি নও আমার,
আমি নই তোমার,
অধিক আর কি কহ?
অহরহ শুধু অহরহ,
হে কবি ও কবিতা,
হে কহরদরিয়া
হে সমাপ্ত ও অসমাপ্ত
হে কবিতাবিরহ
হে কবিতাবিরহ
হে…