[ভাষা শহীদ ও ভাষা সৈনিকদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা…]
হে একুশের কৃষ্ণচূড়া,
তুমি এখনো লালে লাল হয়ে আছো কেন?
কেন তোমার বুকে এত রক্ত ক্ষরণ?
কোথা হতে তুমি এলে?
কোথায় তোমার জন্মভূমি?
সেদিনও বসন্তের আগমনে ফুটেছিল অজস্র ফুল
পাপড়ি মেলেছিল শিমুল পলাশ, কৃষ্ণচূড়া ডালে-ডালে।
রাষ্ট্রভাষা বাংলা চাই ধ্বনিত স্লোগানে রাজপথ কাঁপে,
পুলিশের ধরপাকড়, লাঠিচার্জ ও কাঁদুনে গ্যাস চলে,
অবশেষে;
পাকসেনারা মিছিল পানে নির্বিচারে গুলি ছোঁড়ে,
ঝাঁঝরা হলো কারো বুক, উড়ল কারো মাথার খুলি;
লুটিয়ে পড়ে রফিক,বরকত, সালাম, মায়ের ভাষার দাবিতে।
শহিদের রক্তে রঞ্জিত হলো মহান একুশে ফেব্রুয়ারি।
বাংলার দামাল ছেলেরা অপদস্ত হতে দেয়নি ভাষার,
করেনি তারা ইতিহাস ম্লান।
এখন আমরা প্রভাতফেরির মিছিলে যায়।
তাঁদের রক্তে আজ আমরা কপালে রাজটিকা দেই।
মাতৃভাষা বাংলা এসেছে বহুপথ বেয়ে এই বাংলায়,
একুশ এলেই শহিদ মিনারের প্রতিটি কৃষ্ণচূড়া লাল হয়ে উঠে,
সব গাছের ডালে ডালে বেদনার ফুলে যায় ভরে।
সেই রক্তে ভেজা সিঁড়ি বেয়ে আমরা পেলাম স্বাধীনতা।
আমাদের প্রত্যাশা আমাদের সন্তানেরা যেন দুধেভাতে থাকে
সবসময় এই একুশময় বাংলায়।
তসলিমা হাসান
কানাডা,২০-০২-২০২২