ওদের দেশে? ️০১ প্রতিক্রিয়া
—————–
জওহরলালও টুপি পরেন, সুভাষ পরেন টুপি..
রবি ঠাকুর পরতে টুপি করেননি কার্চুপি।
মোদির মাথায় টুপি দেখে কেউ ধরে না ছুতো
করিম মিয়া পরলে টুপি তোমরা মারো গুঁতো।
দাড়ির ঠাকুর রবি ঠাকুর বিশ্বজুড়ে চেনা
তলস্তয়ের দাড়ি তো নয় বাজার থেকে কেনা
দাড়ির গুণেই হোচিমিনের বিপ্লবী ভাব ফোটে
আবুর দাড়ি দেখলে তোমার শয়তানি জোশ ওঠে।
তোমরা করো হরে হরে বাজিয়ে ঢোলক বাঁশি
বলির নামে ফূর্তি করে দেদার কাটো খাসি
যখন গরু কুরবানি দেয় খোদার নামে মশু..
তোমরা তখন রামদা হাতে হিংস্র নরপশু।
তোমরা দেবীর পূজা করো মন্দিরে শাঁখ ফুঁকে
পুজোর শেষে প্রসাদ খেয়ে দিব্যি থাকো সুখে
কিন্তু যখন পড়বে নামাজ রহিম শেখের নানা
তোমরা তখন গাইতি হাতে মসজিদে দাও হানা।
হানাহানির মাঝেই থাকো; কে দেবে আর বাধা..
তোমার দেশে তোমরা কানাই রাম নারায়ণ রাধা।
তোমার দেশে যেটাই ঘটুক, নয়তো বিষয় আমার
অন্যরকম ভ্রাতৃবোধের আমার দেশের গ্রামার।..
কিন্তু এটা মোদ্দা কথা– তোমার ছোঁড়া বিষে..
এই দেশের এই মদনাগুলো হারিয়ে ফেলে দিশে।
হারিয়ে দিশে সাম্প্রদায়িক উগ্র নেশায় মাতে..
আমার দেশের ভাবমূর্তি বিনষ্ট হয় তাতে।
ওপার থেকে আগুন জ্বেলে বাজাস তোরা তুড়ি
প্রতিক্রিয়ায় আমরা শুধু খেলছি থুড়িবুড়ি।
মোদের দেশে?০২ মিথস্ক্রিয়া
———————
আমার দেশের আলো বাতাস চন্দ্র সূরুজ সবার
এদেশে নেই সুযোগ কারো সাম্প্রদায়িক হবার।
এদেশে নেই পিটার পীযুষ রহিম রামের ফারাক;
লাভ হবে না কাউয়াগুলো যতোই খুঁটি নাড়াক।
মন্দিরেতে ঘণ্টা বাজে, মসজিদে হয় আজান..
কাজ হবে না ঘাপটি মেরে যতোই নাটক সাজান।.
যার যা খুশি পরবে পোশাক, সাজনগোজন টিপ;
হাঁটলে হাঁটুক হিজাব পরে, মারুক খোঁপায় ক্লিপ
গেঞ্জি পরুক, টিশার্ট পরুক, কিংবা পরুক শর্ট–
এসব নিয়ে গ্রিংগিবাজি ফালতুপ্যাঁচাল নট।
হোক সে পুলিশ, হোক সে ফুলিশ, হোক সে পুরুত-পীর
ধর্মবাজি করতে এলেই ফাটিয়ে দেবো শির।..
আমার বোনের টিপ কপালে, চোখে কাজল টান..
তোদের তাতে কিরে ছাগল! দিস বাড়িয়ে কান?
ঘুঁচিয়ে দেবো নাকগলানো, ইবলিশি লাফঝাঁপ;
গুজব ছড়াস চাঁদের দেশে থাকে তোদের বাপ!..
এই দেশে নেই পাপ্পারাজির ধম্মবাজির ঠায়..
খায় এদেশে, মনটা শালার পাকিস্তানে যায়।
পাকিস্তানি টাকিস্তানি ফাঁকিস্তানি ষাঁড়…
বাংলাদেশে এসব করে কেউ পাবে না পাড়!
এই বাঙালি একপতাকা– একজাতি একপ্রাণ;
ঠাব খাবে কেউ ভাব দেখালে হিন্দু-মুসলমান।
———————————-
ঢাকা : ০৪.০৪.২০২২