নিয়মিত যে সব খাবার বেশি খেতে হবে:
চুলের সৌন্দর্যের জন্য আমরা অনেককিছু করি,। বিশেষ করে মেয়েরা চুল নিয়ে সবময় চিন্তিত থাকেন।দেহের সৌন্দর্যের সঙ্গে তারা চুলকেও মসৃণ রাখত চান।কারণ চুলের সৌন্দর্য কমে গেলে তা বাহ্যিকভাবে আমাদেরও দেখতে অসুন্দর করে দেয়। স্থায়ীভাবে সুন্দর চুল পেতে চাইলে শুধু বাইরে থেকে যত্ন নেওয়াই যথেষ্ট নয়, এর পাশাপাশি নজর দিতে হবে খাবারের দিকেও। সঠিক পুষ্টি সমৃদ্ধ খাবার খেলে তা আমাদের ত্বক ও চুল ভালো রাখতে কাজ করে। চলুন জেনে নেওয়া যাক এমন খাবার সম্পর্কে-
ডিম
চুল ভাল রাখতে ডিমের বিকল্প নেই। কারণ এতে আছে বায়োটিন নামক উপকারী উপাদান।তাই আপনি নিয়ম করে ডিম খাওয়া শুরু করুন, চুলের সৌন্দর্য নিয়ে আর দুশ্চিন্তা করতে হবে না। ডিমে আরও আছে প্রচুর প্রোটিন, জিংক, সেলেনিয়াম, সালফার ও আয়রন।
দই
দই খেতে পছন্দ করেন না এমন লোকের সংখ্যা খুবই কম।তবে যাদের মিষ্টি খাওয়ার ব্যাপারে বিধি-নিষেধ আছে তারা টক দই খাবেন। নিয়মিত দই খেলে তা চুলের লিকল উন্নত করে চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। কারণ দইয়ে থাকে প্রোটিন, ভিটামিন বি ও ডি। এসব উপাদান চুল পড়া বন্ধ করে। টক দই আপনি চুলের পরিচর্যার কাজেও ব্যবহার করবেন।
শাক-সবজি
প্রতিদিনের খাবারে শাক-সবজি রাখা কিন্তু ভীষণ জরুরি। বিশেষ করে সবুজ রঙের শাক-সবজি রাখতেই হবে। এ ধরনের শাক-সবজিতে থাকে প্রচুর ক্যালসিয়াম, আয়রন, পটাসিয়াম এবং ফ্যাটি এসিড। এসব উপকারী উপাদান আমাদের সুস্থ রাখার পাশাপাশি চুল ভালো রাখতেও সমান কার্যকরী। এতে থাকা খনিজ পদার্থও চুলকে সুন্দর করে।
মাছ
প্রতিদিনের খাবারে মাছও থাকা চাই। খুব যে দামি দামি মাছ হতে হবে, এমন কিছু নয়। আপনার সাধ্যের মধ্যে যেসব মাছ কিনতে পারেন, সেগুলোই খান। মাছে থাকে প্রচুর আমিষ ও ভিটামিন ডি। এছাড়াও পাবেন প্রচুর ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড। এই উপাদান চুল দ্রুত বাড়তে সাহায্য করে। সেইসঙ্গে স্ক্যাল্পের পুষ্টি বজায় রাখে।
বাদাম
বাদামের উপকারিতা সম্পর্কে জানা আছে নিশ্চয়ই। উপকারী বাদাম ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিডের দুর্দান্ত উৎস। এছাড়াও এতে আছে ভিটামিন-ই এবং বায়োটিন। এই উপাদানগুলো রোদ ও সূর্যের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে আমাদের চুল রক্ষা করতে কাজ করে। তাই বুঝতেই পারছেন, চুল ভালো রাখতে চাইলে কেন আপনাকে বাদাম খেতে হবে।
ঘৃতকুমারী বা অ্যালোভেরার রস
চুল ঘন করার জন্য ঘৃতকুমারীর রস সবচেয়ে বেশি উপকারী। ঘৃতকুমারীর রস দিয়ে শরবত তৈরি করে খেলে অনেক উপকার পাওয়া যায়। এটি খুশকি দূর করে এবং মাথার খুলি ভাল রাখতে সাহায্য করে।
ডাল
ডালে প্রচুর পরিমাণ আয়রন, প্রোটিন, জিংক এবং বায়োটিন। এসব উপাদান আপনার মাথার ত্বক ও চুলের সুস্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ভিটামিন-সি যুক্ত ফল
লেবু, টমেটো এবং বিভিন্ন টকজাতীয় ফলে রয়েছে প্রচুর ভিটামিন-সি। এই ভিটামিন-সি চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন করার কাজে কৈশিক-জালিকা বা সরু রক্তনালীকে সহায়তা করে। যা চুল ভেঙে যাওয়া প্রতিরোধ করে।
কলিজা ও মাংস
এসব খাবারে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে জিংক, যা চুলপড়া রোধ করতে সাহায্য করে। এছাড়া প্রোটিনের একটি বড় উৎস হলো এসব খাবার । নতুন চুল গজাতে ও চুলের স্বাস্থ্য ঠিক রাখতে সাহায্য করে এগুলো।
মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে রয়েছে প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন, যা সুস্থভাবে কোষের বিকাশ ঘটাতে সাহায্য করে। এতে যে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ভিটামিন রয়েছে, তা চুলের জন্য খুবই উপকারী। এছাড়া এটি মাথার ত্বকে খুশকি ও চুলকানি প্রতিরোধ করে।
প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় এসব খাবার নিয়মিতভাবে রাখার চেষ্টা করুন। উপরোক্ত পুষ্টিকর খাবার খেলে আপনার মাথার ত্বক সুস্থ থাকবে, চুলপড়া কমবে এবং স্বাস্থ্যবান নতুন চুল গজাবে। এই সুন্দর চুলের সঙ্গে সঙ্গে আপনার সৌন্দর্য্ও বৃদ্ধি পাবে।
লেখাটি সম্পন্ন হয়েছে পুষ্টি বাড়ি অবলম্বনে।