আত্মার অপূর্ব দ্যুতির প্রকাশ ঘটায় কবিত্ব
[মনি জামান]
সকালে ঘুম থেকে উঠে তাড়াতাড়ি গোসল সেরে নাস্তা না করে অফিসের উদ্দেশ্য বের হলাম,আজ ঘুম থেকে উঠতে প্রায় নয়টা বেজে গেছে অফিস পৌছে দেখি কি সৌভাগ্য আমার বন্ধু মফিজ দাঁড়িয়ে আছে অফিসের বারান্দায়।ওকে দেখে খুব ভালো লাগলো কুশল বিনিময় শেষে বললাম আয় বসি,অফিস রূমে দুজন বসলাম। পিয়নকে ডেকে চা নাস্তা আনতে বললাম, মফিজ বলল, দোস্ত নাস্তা করে এসেছি শুধু চা হলেই চলবে।
চা দিয়ে গেল পিয়ন চা খেতে খেতে বললাম,কি খবর দোস্ত ইদানিং কিছু লিখছিস না মফিজ বলল,লিখেছি তবে সেটা নিয়ে সবাই আমার গুষ্ঠি উদ্ধার করছে এখন আর হৈচৈ চারি দিকে।
জানতে চাইলাম কি লিখেছিস বল শুনি,মফিজ বলল, শোন দোস্ত প্রতিভা হল এমন একটি দান যা স্রষ্টা দ্বারা প্রেরিত শক্তি। যার ভিতর থেকে আত্মার এক অপূর্ব দ্যুতির প্রকাশ ঘটে কবিত্ব,ঈশ্বর জ্ঞানের কিংদ্বয় জ্ঞান কবি ভাবনার প্রকাশ ঘটে।চেতনা জাগ্রত কবি মনের ক্ষেত্রভূমি আর দেহতত্ব ঐশ্বরিক আধ্যাতিকতা এবং জাগতিক জ্ঞান সমৃদ্ধ প্রকাশটাই কবিকে আলাদা করে, আর দশজন মানুষ থেকে।কবির কবিত্ব বোঝা সব মানুষের সাধ্য নয় এটা একটা গভীর জ্ঞান,সব মানুষ যেমন চাঁদে যেতে পারেনা ঠিক কবিতায়ও সবাই প্রবেশ করতে পারেনা।কবি কত সাবলীল ভঙ্গিতে লিখে যায় স্থান কাল পাত্র ভেদে শব্দের প্রয়োগ করে পাঠক হৃদয় জয় করার জন্য।সমাজের অসঙ্গতি গুলো ন্যায় অন্যায়ের বিরুদ্ধে কবির কলম সব সময় সচল থাকে সর্বকালে।কবিতার প্রয়োজনে অনেক সময় কবি কাম কামিনী শব্দ গুলো কবিতা বা সাহিত্যের প্রয়োজনে ব্যবহার করে থাকে,কিন্তু অনেকেই এই শব্দ গুলো দেখলে এমন নাক সিটকায় বুঝি এরা স্বর্গ থেকে মর্তে এসেছে।বুঝিনা কেন এমন করে বাংলা অভিধান এই শব্দগুলো তো নিষিদ্ধ করেনি,বরং শব্দগুলো বাংলা অভিধানে সংযুক্ত আছে। সমস্যা আসলে কি জানিস দোস্ত আমার জানা মতে শব্দগুলো দৈনিক কাগজে বা পত্রিকায় ব্যবহার হচ্ছে অহরহ।কিন্তু কবিতায় দেখলে মহাভারত অশুদ্ধ হয়ে যায়,কিছু মানুষের গাত্রদাহ শুরু হয় আর বলা হয় অশ্লীল ছিঃ এটা কি লিখেছেন কবি।এখন আমার প্রশ্ন হচ্ছে ধর্ষণ শব্দটা কি শ্লীল অথবা বলৎকার শব্দটা? প্রচলিত ভাষায় বললে এর অর্থ মারাত্মক অশ্লীল। সমস্যা আপনার চোখ, আমি কি চোখের কথা বলতে পারবনা? না বলবো আপনি কানা!আপনার সৃষ্টি কর্মের যন্ত্রটাই তো যৌনাঙ্গ সেটা আমি বললে সমস্যা কি? সময়ের বিবর্তনে আমাদের চোখ ঠিকই আছে,কিন্তু মন মানুষিকতা সব নষ্ট হয়ে গেছে।অতিশয় মননশীল দেখায় আমরা কিন্তু ভিতরটা জঘন্য, দৈনিক হাতে নিয়ে সেই সব মননশীল মানুষ গুলো আগে দেখে কোথায় ধর্ষণ হয়েছে কিনা, যদি দেখে খবরের হেডলাইনগুলো বড় বড় অক্ষরে ছাপা অমুক জায়গায় মেয়ে ধর্ষিত হয়েছে বা কোন মাদ্রাসায় কোন ছেলে বলৎকার হয়েছে, তাহলে আর কোন কথা নেই।এমন পড়া পড়ে ফেলি যে ছাত্র জীবনে পিটানি খাওয়ার পর ও এমন পড়া কোন দিনই পড়িনি।
কিছু সাংবাদিক এই শব্দ গুলো আরো রসাত্মক করে নিউজ পেপারের হেডলাইন করে পাঠক টানার জন্য, কই সেখানে তো এই মননশীল মানুষ গুলোর মুখে ছিঃ শব্দটা আসে না, আর এই মানুষ গুলো যখন বাসায় ফিরে বউকে বলে সেই ধর্ষণের গল্পগুলো তখন স্ত্রী মনে মনে ভাবে, আমার মত এমন স্বামী কজন মেয়ে পাই,আমার স্বামী কত জ্ঞানী কত মেধাবী আর মেধা বা বুদ্ধি আছে বলে গত বছর গলাকাটা পাসপোর্টে সৌদি আরব ঘুরে এলো, এ দিকে স্বামীর মনের ভিতরটা যে এত পচাঁ সেটা স্ত্রী ঘুণাক্ষরেও টের পাই না।এমন স্ত্রীদের ভাত কাপড়ে পোষাও দোষের নয়,আবার কিছু বাদশাহ বিহীন বেগম আছে সে কথা অন্যদিন বলবো।এখন সমস্যা হলো আমাদের জল আর পানিতে, এখানে ও মৌলবাদী গন্ধ খুঁজি এটাই দৃষ্টি ভঙ্গি আমাদের,জল হিন্দুদের ভাষা আর পানি মুসলিম ভাষা কি আশ্চার্য বোধ আমাদের বা এই সমাজের।আগে কবির কবিতা গুলো ভাল করে পড়ুন,কবি কবিতায় কি বুঝাতে চেয়েছে সেটা অনুধাবন করুণ তারপর মন্তব্য করুন। অনেক সময় রূপক অর্থে অনেক শব্দ ব্যবহার করে থাকে বলেই মফিজ বলল, দোস্ত এটাই আজ বড় সমস্যা বলেই উঠি বলে হাঁটা শুরু করলো, আমি মফিজকে ডাকার সুযোগ পর্যান্ত পেলাম না।
২ Comments
শিক্ষনীয় উপস্থাপন
কুরুচিপূর্ণ মানুষ আমাদের সমাজে অহরহ