অনেকটা শাটল ট্রেনের মত
লাজু চৌধুরী
এক সাথে অনেকটা পথ হেঁটেছি
দুজনেই ক্লান্ত হয়ে পড়েছি।
ইচ্ছে ছিলো অনেক কিছু বলার
বসন্ত হঠাৎ করেই পেড়িয়ে গেলো।
ইচ্ছে এই বসন্তে ওর জন্য একটা কবিতা লিখবো –
মাঝে মাঝে আমার প্রিয়া বলে —
কবিতা লিখে কি হবে?
দুঃখের সাথে যুদ্ধ করতে করতে তুমি ভীষণ ক্লান্ত পরিশ্রান্ত।
বেঁচে থাকার জন্য একটা আশ্রয়তো চাই।
কবিতা যদি তোমার বেঁচে থাকার আশ্রয় হয়–
তাহলে তুমি কবিতা লিখো।
আমার প্রিয়ার চোখ সুন্দর ওর হাসির শব্দে আমার কবিতা লেখার শব্দ জন্ম নেয়।
ওর সান্নিধ্যে নিরাপত্তা পাই।
ওর কথায় মনে দাগ কাটেনা, কারন ও আমাকে ভালোবাসে।
ও চোখের দিকে তাকালে জীবনটা আর স্বস্তা চায়ের কাপের মত মনে হয় না —
আগামীকালের সাফল্য যেন আমার হাতের মুঠোয়।
প্রিয়ার হাত ধরেই নিরাপদ অরণ্যের ছায়া খুঁজি
নিরাপদ জীবনের ঠাই ওর সান্নিধ্যে পাই।
প্রিয়া আমার সব জানে, শুধু জানে না রাতের আধারে
রাইটিং প্যাডে কত শত শব্দের উপর শব্দ তুলে কবিতা
লিখেছি।
প্রিয়া জানে আমার অগোছালো জীবন জীর্নশীর্ন পচে
যাওয়া একটা জীবন।
প্রিয়া থেমে যায়নি জলন্ত সিগারেটের মত
পুড়তে পুড়তে যেটুকু অবশিষ্ট ছিলো —
সেইখান থেকে আমাকে নতুন জীবন দিয়েছে
বেকারত্ব দূর করেছে…..
ছেড়া শার্টের মত যে জীবনটা আলনায় আদ হ্যাঙ্গারে ঝুলছিলো–
সে জীবনটাকে পরিপাটি করে দিয়েছে।
শুধু আমার এই হাতে তার কমল হাতটি রাখেনি,
চলথি পথের মাঝে শুধু বলেছিলো —
যদি কখনও কবিতা লিখো তবে সেই কবিতায় যেন
বিপল্ব আনে।
হুম যুগের সাথে সময়ের পরিবর্তন।
রাজপথে মিছিল আর মিছিল নিয়মের কারাগার
ভেঙ্গে সব ভুলে গেলাম।
আমার এক বন্ধু বললো চল মিছেলে যাওন লাগবো।
চলমান সময়ের দারুণ অস্থির আমি।
হঠাৎ করেই নিজেকে অন্য রকম আবিস্কার করলাম।
আমার পথ চলায় ধূসর মাটি কেপে উঠে।
কি ভাবে পাল্টে গেলো জীবন।
সমাজের এক অদৃশ্য কালো হাত আর হাজারো হাতে মাঝে বদলে গেলো জীবন।
এখন আমি চৌদ্দশিকের ভিতর স্বেচ্ছায় পরাজয় মেনে
নিয়েছি।
ঠিক দঃসময়ে আমার প্রিয়া আমার পাশে এসে দাঁড়িয়েছে।
ব্যস্ত দুপুরে দূর সময়ে আমার পাশে
শুধু অভিভান মুখে বললো নিঃশব্দেই অতীত হয়ে গেছো তুমি আমার কাছে।
ভেবো না সব সময় তোমার পাশে থাকবো —
আমার দুহাতে মহেদী রঙে রাঙানো
আমি এখন অন্যের ছায়া ছন্ন্যের দিনের মাধুরী।
প্রেমহীন কত দিন এভাবে বেঁচে থাকা যায়।
তারপরেও বেঁচে আছি যে ভাবে বাঁচতে চাইনি।
ক্ষয়ে যাওয়ার সময়ের ফুটপাথে দাঁড়িয়ে আছি একা