সহনশীলতা
রুবেল হক
সে তোমাকে বুকে ধারণ করেছে।
তোমায় হাটতে শিখিয়েছে।
কথার মালা তুমি কন্ঠে নিয়েছো।
তার জলে, স্থলে ও আকাশে তুমি উড়ছ।
তার হৃদয়ের রস তুমি পান করছো।
তার রসহীন রসায়ন তোমাকে রসে মজিয়েছে
তোমার রক্তে ধরিয়েছ প্রোটিন প্রবাহ
দুষ্ট হরমোন তোমায় নাচিয়ে ছাড়ছে
তোমাকে শাসন করছে, তোমাকে ধ্বংস করছে।
সে আর কেউ নয়, সে তোমার প্রেয়সী
তোমার অকৃত্রিম সুখের সাগর
তোমার কুট কুট জ্বালা-উজ্বালা
তোমার তারুণ্য, তোমার হুংকার, তোমার উচ্চারণ।
সে আর কে বা হবে, মৃত্তিকা
সে হল সুন্দর-ধরণী, এই বিপুলা পৃথিবী।
হ্যাঁ আমি পৃথিবীর কথাই বলছি
যেখানে আসার সময় তোমার নিয়ন্ত্রণ ছিল না
চলে যাওয়ার সময় হাজার চেষ্টা বৃথা হবে নিশ্চিত।
এই পৃথিবীই-
তোমাকে কাঁদাবে
তোমাকে হাসাবে
তোমাকে ভাসাবে
তোমাকে ফাঁসাবে
তোমাকে নাচাবে।
সাফল্যের চূড়ায় নিয়ে যাবে।
তবুও তুমি অতৃপ্ত রবে।
দুঃখ এনে দিবে
সুখের মেলায় নিয়ে যাবে
ধ্বংসের বাঁশি বাজাবে
দুর্নামের দুর্গন্ধ গায়ে মাখাবে।
তোমায় রাজা মানবে
প্রজা জানবে।
কখনও তোমার স্বপ্ন পূরণ করবে
সেই স্বপ্নও সর্প হয়ে দংশাবে।
পুলকিত করবে তোমায়
আত্মহননে টানবে তোমায়।
এই পৃথিবী বড়ই জাদুময়
এর ভং ও রঙ কী যে অদ্ভুত!
মিষ্টি খাওয়ানোর জন্য ব্যাকুল হয়ে
বিষের পিয়ালা নিয়ে হাজির সে।
এটাই আমাদের অপরুপ ধরণী
কখনও সে নর কখনও নারী।
মানুষেই তার রুপান্তর
বহুজনের গতি ও মতি
প্রজাপতি থেকে হাতি
মাটিতেই তার শেষ পরিনতি।
কেবল সময় ও ধৈর্যশীল হয়ে
শুধু পাওয়া কিংবা না পাওয়া।
সূর্যোদয় থেকে সূর্যাস্ত দেখে নেওয়া।