১) কমলা রঙের রোদ্দুর
কমলা রঙের রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে
ভালোবাসার স্টেশন খুঁজছি।
পুড়ছি না — তাবদাহে!
তালপুকুরের ভাবের আনন্দে মাতাল হচ্ছি!
কেননা — বাতাসের আঙিনায় মেঘ নেই!
আমার ত্রি- মাত্রিক যোজনা
অপ্রত্যয়ী —ভালোলাগার
অভিক্ষেপণ — মর্ত্যলোকে অবগাহন করিনি
শুধু সূর্যকে পুঁজি করে মনের আরাধ্য শুধু
দর্শনভিলাষ — ধর্ষিত স্থির নয়না
পাতাল রেলে চড়ে — দূরে গমন করছি!
মনের পঞ্চঘরের —তালাটা খোলাই থাকে
কখনো মর্দ আসে কখনো স্বর্গিয় ( পুরুষ) হুরের
খুসবো ভেসে আসে — অল্প স্বল্প গল্পের
ঝাঁপি খুলে —!
কখনো সখনো আসে চাপানো দোষে দুষ্ট হয়ে!
শাপভ্রষ্ট আমি—
তাই মিঠে রোদেই থাকি —
তরতাজা হৃষ্টপুষ্ট — কমলা রঙের রোদ্দুর
— আমার প্রিয়!
তার তাবৎ — হৃদয় জুড়ে
দহনের সুখ নামে — অহরহ!
২) শোভন অলংকার —
কে কার—?
তোমার না আমার—!?
বৈষয়িক আলাপন — কিংবা কড়ি সংক্রান্ত
বিলাপ মাত্রই — চিত্তাকর্ষক চিত্তচাঞ্চল্য!
বিহবলতা মানবতার ঘরে —?
কোথায় সে মানবতার — সুর?
বুদ্ধিবৃত্তিশূন্য নাকি —
অবলার ঘরের চাল ডাল নুনের হিসেব?
করিম মাঝির কি — দহন?
পাড়ে কড়ি নেই — যাযাবরবৃত্তি?
থাকবে কি করে — চৌর্যবৃত্তির এ করুণ ধ-রায়?
পার তো নেই —…!?
পারাবারের কড়িও নেই—…!
কি ভয়ানক — কি ভয়াবহ.!?
বাপদাদার পেশা—
বহু আগেই বদলিয়েছে —
কিন্তু ভাগ্য বদলায়নি—!
তাহলে বেদেনীর স্বামী —
আহা রোহিত রঞ্জন— ঘরে বসে বসে কি খাবে না?
উঠে যাক — অযাচিত সংস্কৃতি!
মানুষ আত্মপ্রত্যয়ি হোক!
বেঁচে থাক স্বর্গ মর্ত্যের ঘরে
নতুন — অবগাহনে
নতুন প্রত্যয়ে—!
৩) নিদ্রাহীন রাতের স্বপ্নগুলো
— হৃষ্টপুষ্ট হয়!
গহীন অরণ্যের ডাহুকীর কান্নাগুলো
জমিয়ে ভোরের মঙ্গলদ্বিপ জ্বেলে
— ছেড়ে দেবো ঊষালগ্নে—!
ডোমের টেবিলে কাটাছেঁড়া করবো
— আমার স্বপ্নগুলোকে!
কেননা — এক মরুভূমির খরা
— এক আকাশ কান্না
— এক সায়র কষ্ট — আমার বিধস্ত বুকে!
জীবনের যাবতীয় অনুসৃত অনুসঙ্গ
— ভোগ পণ্য নয়!
কেননা — ভোগের বাজারে পণ্য হয়
সুদূশ্য মোড়কে —!
কড়কড়ে নোটের ভাঁজে!
আর ভালোবাসার বাজারে হয়
স্নেহ সৌহার্দ্য আর মমতার আধার!