লুকানো বসন্ত
শিরীনা ইয়াসমিন
কে কাকে আগে চিনেছিলো?
কখন হৃদয় বাঁধা পড়েছিলো?
কখন বুকের মাঝে লুকানো বসন্ত জেগে উঠেছিলো?
টের পায়নি দুজনের কেউ।
বারবার পথের টানে ফিরেছে একই পথে।
আজ আবার সেই পথে হাঁটছে যখন —
একটু ছোঁয়ায় শিহরণ জাগলো মনে!
কাঙ্ক্ষিত স্পর্শে গগনে জলধি উঠছে ডেকে
বাকশক্তিহীন, অবস দেহ, বয়ে চলেছে সর্বশক্তি নিয়ে।
আনন্দে ভাসছে, শরীর টলছে, আকাশ কাঁপছে
দু’ফোটা বৃষ্টি যেন আজন্ম কাঙ্ক্ষিত।
আকাশ যেন প্রতীক্ষায় ছিলো এই মোহময় ক্ষণের!
আকাশ আর মনের দেয়া গর্জে চলেছে
কম্পিত হৃদয়, আবেশে চোখ এলো বুঁজে।
অজান্তেই হাতের মুঠোয় হাত,
পরস্পর হাত ধরাধরি করে হাঁটছে–
কী হতে চলেছে?
জানেনা ওরা!
যেন কল্পিত নাটকের খণ্ড চিত্র!
এই দৃশ্যেই বৃষ্টি ঝরবে,
তৃপ্ত হবে ওদের ভিতর বাহির।
আরও শক্ত করে আঁকড়ে ধরলো উভয়ে,
যেন এই সেই ক্ষণ!
দু’কদম আগালেই স্বর্গ
অদৃশ্য পর্দার পিছনে
এই তো — এখানেই,
খানিকটা পথ পেরুলেই
যেন সত্যি সত্যি খুলে যাবে
স্বর্গের দ্বার।
আত্মার কামনা বাড়তে থাকলো —
পাশাপাশি বসা, দূরত্ব রইলো না এতটুকু;
অন্তরঙ্গ নীরবতায় বয়ে চলেছে সময়।
যেন জীবন নাটকের শেষ দৃশ্যে উপনীত ওরা,
মিলন হবে তৃষিত দুটি আত্মার।
ঝড় উঠলো, বৃষ্টিতে ভেসে গেলো পথ;
পথই ওদের ঘর হলো।
সুখ বৃষ্টিতে শীতল হলো পৃথিবী।