রক্তাক্ত এপিটাফ
জান্নাত সীমা।
বন্ধুহীন এ শহরে আমি স্বেচ্ছায় নির্বাসনে থাকি।
পিচ ঢালা রাজপথে আমি একলা চলি!
হেঁটে চলি গন্তব্যের ঠিক পিছনের দিকে।
উল্টো পথে উল্টো রথে আমি সরে সরে যাই
দুর হতে দুরে।
সাদা থানে মোড়া এক একটা মানুষ যেন
কফিন বন্ধী এক একটা জীবন্ত ফসিল।
বছরের পর বছর পিঠে বয়ে চলেছে
দগদগে ক্ষতময় রক্তাক্ত এফিটাফ!
যন্ত্র মানবের প্রেমহীন শহরে
আমি কারো করুনা খুঁজি না।
চটচটে ঘর্মাক্ত মুখে আমি
প্রেম ফেরি করে বেড়ায়
পথে হেঁটে করুনা বেচি।
বান্ধবহীন একাকীত্বে যখন বুকের বাঁ পাশটায়
অলিন্দ আর নিলয়ের ঠিক মাঝখানে
অহেতুক ঝড় উঠে,
তখনও আমি হাহাকার করি না।
বরং বুক ভরে নেই নিশ্চয়তার নিশ্বাস
ধীরে ধীরে বাতাসে ছাড়ি দায়মুক্তির প্রশ্বাস!
একা থাকাকে অভ্যাস করি
হাঁপ ছেড়ে বেঁচে যাই
স্বস্তিতে নিশ্চিত হই
বন্ধুত্বের খোলসে মোড়া আগুন্তুকের
কোনো বিষভরা শ্বাপদ শ্বাস থেকে।