“তুমি কোন কাননের ফুল”
শাহানা জেসমিন
বাইরে এখন তীব্রতর কনকনে শীতের হাওয়া নেই। কুয়াশায় স্মৃতিগুলো শৈশবের নরম তুলতুলে গন্ধ নিয়ে
আশ্চর্য বিপন্ন হৃদয়ের অন্ধকারে নক্ষত্রের মতোন তাকিয়ে থাকে একেবারে নিজের একান্তেই। পাতা ঝরা শব্দের সাথে নিঃশব্দের হাত ধরে নিরুদ্দেশ হয় ভোগবাদী জীবনের স্বপ্নেরা।জীবনের গল্পে সময়ের অমোঘ টানে জীবন ছুটে চলে অহরহ তাগিদে। শীতের শেষে বসন্ত আসে এক শারীরবৃত্তীয় নেশায়। তখন আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে নিজের ভেতরে ভেতরে। সাইরেন বাজিয়ে যায় সেই সুখ নিজের ভেতর বাড়ি। দীঘল শীতল রাত শেষ হয় বসন্তের উষ্ণতায়।হাওয়ায় হাওয়ায় বৃক্ষ -বাকলে বাসন্তী অভিসারে ছড়িয়ে পড়ে সেই প্রিজম সুখ।
আমি আর অর্নব পাশাপাশি বসে আছি ট্রেনে। খোলা জানালায় প্রচুর হাওয়া আসছে। আমি বাইরে তাকালাম। মাথাটা হঠাৎ করে খুব বেশি রকম ভার ভার লাগছে। আমি জানালার ধারে বসে আছি। এটা আমার আগের স্বভাব ট্রেনে জানালার ধারে না বসলে মোটেই ভালো লাগে না। বাইরে সবুজ পাতাদের ঘনিষ্ঠ আবিরে সবুজ হয়ে আছে আরও বেশি গাছগুলো। পাখিরা বসে আছে ডালে ডালে। আদর ভরা সুখ নিয়ে , ওদের কোন নিজস্ব স্থায়ী ঠিকানা নেই। ওরা সব সময় যাযাবর নাইটিংগেল পাখিদের মতোই।
আমি আর অর্নব দুজনেই চুপচাপ হয়ে বসে আছি। আমাদের কোন কথা নেই , আমাদের কোন কথা থাকতে পারে না সত্যিই। কোথাও বেড়াতে গেলে হাসিখুশি লাগে নিজের কিংবা নিজেকে হাসি খুশি রাখা উচিৎ। আমি যাচ্ছি ট্রেনে ঢাকাতেই বাবার কাছে। কোন বেড়ানোর জন্য নয়। আমি একেবারেই চলে যাচ্ছি। বাবার সাথে জীবন কাটানোর সিদ্ধান্ত। আজকাল অর্ণবের সাথে আমার বোঝাপড়া ঠিক মতোন হচ্ছে না। অনেক চেষ্টা করলাম কিন্তু ওর সাথে মিলিয়ে চলতে পারলাম না। অর্নবের সাথে আমার বিয়ের আগে পরিচয় টানা দুবছর আমাদের সুসম্পর্ক। বিয়ের পর প্রথম একবছর ভালো সম্পর্ক ছিল আমাদের। আস্তে আস্তে অর্নবের আচরণ পরিবর্তন হয়। ওর অহেতুক বাজে আচরণ আমি আর নিতে পাচ্ছিলাম না। আমাদের আলাদা হয়ে যাওয়াই সবচেয়ে ভালো সিদ্ধান্ত।
আমার আর অর্নবের দীর্ঘ সংসার জীবন বিয়ের পর থেকে ময়মনসিংহে। হঠাৎ অর্নব বলে উঠলো,
” বিপাশা তোমার ঠান্ডা লেগে যাবে কিন্তু । অনেক হুহু বাতাস বইছে। তুমি আমার জায়গায় বসো আমি জানাল পাশে বসে থাকি। ”
আমি চুপচাপ হয়ে আছি। আমি কোন উত্তর দিচ্ছি না। আমার ভেতরে তোলপাড় শুরু হয়। আমার অসুখ হলে অর্নবের কী-বা আসে যায়। আমাকে এতো গুরুত্বকরে দেখার সে কে। আমাদের কোন কারো প্রতি ব্যক্তিগত মালিকানা নেই। আমার কানে আবারও অর্নবের কথা ভেসে এলো। আবারও সে বলল একই কথা। আমি বললাম,
” আমার অসুখে তোমার কিচ্ছু যায় আসে না অর্নব। তাহলে আমাদের এই ডিসিশান নিতে হতো না। আর তুমি আমার সাথে নাও যেতে পারতে। অবশ্য তুমি বলেছিলে তোমার অফিসিয়াল কাজে যাচ্ছো তা কদিন থাকবে? ”
” আমি এক সপ্তাহের মতো থাকবো। তোমাকে পৌঁছে দিয়ে তারপর নাতাশার বাসায় চলে যাবো। ”
নাতাশা অর্নবের একমাত্র ছোটবোন । সে মর্ডান হসপিটালে বসে। অর্নব বলল,
” তুমি কী কিছু খাবে? তাহলে অর্ডার করবো । বলো কি খাবে?
আমি ভীষণ অবাক হলাম ও স্বাভাবিক কথাবার্তা বলছে। মনে হচ্ছে আমাদের কিছুই হয়নি। আমি আর অর্নব পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ সুখী মানুষ। আমাদের মধ্যে কোনদিন ঝগড়া হয়নি। আমি বললাম,
” আমি একাই যেতে পারবো। আমাকে তোমার পৌঁছে দিতে হবে না অর্ণব। ”
আমার সামনে বসে আছে অসম্ভব রূপবতী এক মেয়ে। শীত নেই তবুও সে তার শরীরে জড়িয়েছে কাশ্মিরা শাল। মাথার চুল দুবেনী করা। বিষণ্ন ভাবে সে বসে আছে একা। তার কপালে ছোট ছোট চুল বাতাসে দুলছে। ফর্সা গায়ে কাশ্মীরা শাল চাদরের আভা পড়ছে তার শরীরে। অদ্ভুত রকম সুন্দরী সে কিন্তু চেহারার মধ্যে আশ্চর্য দুঃখ কনা জড়িয়ে আছে।
এই মেয়েটির সাথে আমার এক ধরনের সম্পর্ক আছে বলে মনে হচ্ছে। আমার মার চেহারার মতো দেখতে এই মেয়েটি। আমার মা ছিলেন পাকিস্তানি। মার নাম ছিলো গুলবাহার। মা কখনো বাংলা পারতো না বলতে। অথচ মার সাথে বাবার কোনদিন বিরোধ ছিলো না। মা যখন মারা যান তখন আমি খুব ছোট। আমার খুব মনে পড়ে, আমার সাথে মা ইংরেজিতে কথা বলতেন অনর্গল।
ট্রেন চলছে দ্রুত গতিতে । পিয়ারপুর স্টেশন ছেড়ে চলে গেলো ট্রেন। এ সপ্তাহে আমি প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করবো। আমার চমৎকার রেজাল্ট দেখেতো তারা ভীষণ মুগ্ধ। আজকে বার বার মায়ের কথা মনে হচ্ছে। আমার নাম রেখেছেন মা। বিপাশা নামের একটা চমৎকার নদী আছে। সে নামে আমার নাম। আর বিপাশা নদীর সাথে মা আর বাবার অনেক স্মৃতি এ কথা বাবা অনেক বার বলেছেন।
ঠান্ডায় আমার শরীর কেমন যেনো হীম হয়ে যাচ্ছে। শীত কাল শেষ হলেও এর জের থেকেই যায় প্রকৃতির মাঝে। বাবাকে এখনো বলিনি আমার সাথে অর্নবের ছাড়াছাড়ি হয়ে গেছে। তিন মাস পর আমরা যে যার মতোই, অবশ্য এখনো যে যার মতোই। বাবার অমতে আমি আর অর্নব বিয়ে করেছি, বাবার পছন্দের ছেলেকে না করে দিয়ে। আস্তে আস্তে জানবে বাবা। আমি আগ বাড়িয়ে কিছু বলতে পারবো না।
অর্নবের শরীরে যে চাদর ছিলো সে আমার গায়ে জড়িয়ে দিলো। বলল,
” এতো হুহু বাতাস বইছে তোমার তো টনসিল সমস্যা বাড়বে। ”
কী আশ্চর্য আমার টনসিল সমস্যা বাড়লে অর্নবের কী আসে যায়।
আমরা চুপচাপ পাশাপাশি বসে আছি। ট্রেন থেমে যাচ্ছে কমলাপুর স্টেশনে। আমি আমার ব্যাগ নিয়ে নামবো রেডি হচ্ছিলাম। অর্নবের সঙ্গে আমার সংসার জীবনের গল্প শেষ । সঙ্গে ব্যাগে আমার প্রয়োজনীয় কিছু শাড়ি,থ্রিপিস, হালকা কিছু রুপোর গহনা আর টুকটাক প্রসাধনী। হাল্কা ব্যাগ আমি নিজেই বহন করে নিতে পারবো। অর্নবের হঠাৎ করে বলল,
“ব্যাগ আমি নিচ্ছি বিপাশা চলো নামি। আমি তোমাকে পৌঁছে দিয়ে নাতাশার বাসায় যাবো। আমি সাতদিন থাকবো অফিসের কাজে তবে বিকেল থেকে ফ্রী কোন কাজ নেই আমার। এই সাতদিন আমি তোমার সাথে ঘুরতে চাই। ”
আমি বললাম,
” আমাকে পৌঁছে দিতে হবে না অর্নব। আমি নিজেই যেতে পারবো। ”
তবুও অর্নব জোর করে আমার ব্যাগ নিলো।আমার হাত থেকে একেবারে ছিনিয়ে নিলো রীতিমতো। আমরা দুজন নামলাম ট্রেন থেকে। আমি আর অর্নব পাশাপাশি হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি প্লাটফর্ম দিয়ে। মনে হচ্ছে অনন্ত কাল ধরে আমরা হেঁটে হেঁটে যাচ্ছি। এ পথ চলা অযুত অযুত বছর ধরে। আমি সিএনজিতে উঠলাম অর্নব আমার সাথে আসতে চাইলো কিন্তু আমি না করলাম। কী দরকার যেখানে সম্পর্কের লেনদেন শেষ । অর্নব চিৎকার করে বলল,
“আমি ভুল করেছি বিপাশা তোমার সাথে অহেতুক খারাপ আচরণ করে। তিনমাসের মধ্যে আমরা আবারও ইচ্ছে করলে একসাথে থাকতে পারবো। তুমি একটু নরম হও প্লিজ। ”
অর্নবের কথাগুলো আমার কানে বাজতে লাগলো। আমি ওর কথা একদম বিশ্বাস করি না কারণ সে এর আগে বহুদিন বলেছে আমার সাথে বাজে আচরণ করবে না। এ ধরনের কথা সে বহুবার বলেছে। কিন্তু একই আচরণ বার বার করে আমাকে বিষিয়ে তুলেছে। ওর স্বভাবের কোন পরিবর্তন হয়নি। আমি চাকুরী করি অর্নবের ইচ্ছে না আমি চাকুরী ছেড়ে দিই। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতার মতো চাকুরী ছেড়ে দিই। বন্ধু বান্ধবীদের সঙ্গে মিশতে দিতো না। সেটাও মেনে নিয়েছিলাম। সে চাইতো আমি সারাদিন ঘরে থাকি ঘর সংসার করি আমি ওর সব কিছু মেনেই চলতে চেয়েছি। কারণ ওকে আমি আমার ভেতরের সত্তা থেকে পাগলের মতোন ভালোবাসতাম। অথচ দিনে দিনে অর্নবের আচরণ সীমানা ছাড়িয়ে যায়।
***
বাবা আমাকে দেখে একদম চমকালো না।কারণ আমি এর আগেও একা এসেছি। বাবা বললেন,
” তুমি কি থাকবে কিছুদিন? আর অর্নব এলো না তুমি একা এলেযে।”
” বাবা কাল আমার একটা প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ে জয়েন করবার তারিখ। আমি চাকুরী করতে চাই বাবা।”
“অর্নবের সাথে তোমার ঝামেলা চলছে নিশ্চয়ই। আবার হঠাৎ চাকুরী করতে চাচ্ছো। এতো ভালো চাকুরী ছেড়ে দিলে। ”
“বাবা আমি এ বিষয়ে পরে কথা বলবো। এখন আমি ভীষণ ক্লান্ত। ”
বাবা বললেন,
” তুমি ফ্রেস হয়ে নাও। আমি কফি বানিয়ে আনছি।”
বাবা চলে গেলেন। অর্নবের কথা আমার কানে বাজতে লাগলো, ওর চিৎকারে আমার কানতালা লেগে আছে। আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে আছি। বাবা আমার জন্য কফি বানিয়ে আনলো। বাবা বললেন,
” বিপাশা তোমার কফি নাও। চলো গল্প করি। আমার অফিসের এক ইন্টারেস্টিং গল্প আছে রুপা নামের মেয়েটি তুমি চিনতে তো।”
“বাবা আমার কোন গল্প বলার মতো আপাতত নেই। আর তোমার রুপা নামের মেয়েটির ইন্টারেস্টিং গল্প শুনতে ইচ্ছে করছে না আমার।”
আমি জানি বাবা আমার সাথে হাল্কা হবার চেষ্টা করছে। রুপার ইন্টারেস্টিং গল্প আমি অনেক শুনেছি বাবার কাছে। বাবার হয়তো মনে নেই কিংবা ইচ্ছে করেই বলতে চাচ্ছে।
সারা বিকেল শুয়ে থাকলাম আমি। কাল থেকে আমার নতুন জীবনের গল্প শুরু হবে। আমি চুপচাপ ভাবছি আমার অতীতের গল্প, আমার পেছনের গল্প কী হবে!
অর্নবের সাথে আমার সম্পর্ক শেষ তবুও সে একটা সুযোগ খুঁজছে আমাকে আবারও পেতে। কী আশ্চর্য আমার কেন খারাপ লাগছে ওর জন্য।
বাবা আর আমার দুজনের সংসার ঠিক আগের মতোই। বাবা এখনো অবসরে যাননি। আমরা দু’জনেই বের হই এক সাথে , বাবা আমাকে ড্রপ করে দিয়ে তার অফিসে চলে যান।আবারও বিকেলে আমাকে তুলে নিয়ে যান। অর্ণব প্রতিদিন ল্যান্ড ফোনে রিং করেই যাচ্ছে। আমি ইচ্ছে করেই ওর ফোন রিসিভ করি না। আমি জানি ও আমাকে ইমোশনাল ব্লাক মেইল করবে। এর আগে সে এধরণের ঘটনা অনেক ঘটিয়াছে। কিন্তু ওর কোন পরিবর্তন হয়নি। কিন্তু তারপরও ওর জন্য আমার বুকের ভেতর শূন্য শূন্য লাগে কী আশ্চর্য।
মাস দুই কেটে গেলো আমি চমৎকার চাকুরী করছি সময় কেটে যাচ্ছে । আমি চেষ্টা করছি অর্ণবকে ভুলে যেতে কিন্তু কোন ভাবেই পাচ্ছি না। আমি আমার ভেতরে এক ধরনের পরিবর্তন লক্ষ্য করছি। আমি আমার ভেতরে এক নতুন অস্তিত্বের টের পাচ্ছি ক্রমশ।
সেদিন ছিলো শুক্রবার আমার বার্থডে। বাবা আমার জন্য বড় একটা কেক নিয়ে এলো। আমাকে রেডি হয়ে আসতে বলল।বাবার পছন্দ করে নতুন শাড়িও এনেছে সাথে নতুন গহনা। বাবা আমাকে অসুখী দেখতে চান না।
আমি আস্তে আস্তে রেডি হলাম।অনিচ্ছায় তবুও সাজুগুজু করতে হলো বাবাকে আমি অসুখী দেখতে চাইনা। কী আশ্চর্য আমি অর্নবের পছন্দের রঙের শাড়ি পড়েছি। অর্নবের পছন্দের রঙ গোলাপি। আমি সিদ্ধান্ত নিলাম আমি এ রঙের শাড়ি কোন দিন পড়বো না। শাড়িটা চেঞ্জ করবো বাবা যতো কষ্ট পাক আজকে। হঠাৎ কলিং বেল বেজে উঠল। কে আসতে পারে অর্নবের কী মনে আছে আমার বার্থডে আজকে। আমি ওর জন্য অস্থির হচ্ছি কেন! দরজা খুলে দেখি আমাদের কাজের বুয়া। সে তার দেশের বাড়ি গিয়েছিলো , আসলো। আমার মন ভীষণ খারাপ হয়ে গেলো। আজকে আমার বার্থডে অথচ অর্নবের মনে নেই একবারও ফোন করেনি সে।
আমি আমার রুমে গেলাম শাড়ি পাল্টে ফেলবো। আমার অনেক কান্না পাচ্ছে কেন যে! কী আশ্চর্য আমি কেন কান্না করবো অর্নব কে আমার। আমার সাথে ওর কোন সম্পর্ক নেই এখন। বাবা আমাকে ডাকলেন। রাত গড়িয়েছে অনেক। আমি ড্রইং রুমে গেলাম। কী অদ্ভুত বিস্ময় অর্নব বসে আছে। সামনে বড় একটা কেকের প্যাকেট। একগাদা গোলাপ আর শাড়ির প্যাকেট। আমার পছন্দের মিষ্টিও আছে। অর্নব আমাকে জড়িয়ে ধরে বলল,
“বিপাশা আজকের দিনটা আছে আমাদের , কাল তিনমাস পূর্ণ হলে আমাদের আর কোন সম্পর্ক থাকবে না। তুমি কি বুঝতে পারছো বিষয়টি। আমি অর্নবের দিকে তাকালাম ওকে চেনাই যাচ্ছে না। আমি বললাম,
” ইস এতো রোগা হয়ে গেছো এই কদিনে। তুমি কি কফি খাবে? আমি চমৎকার করে কফি বানাতে পারি মালটোভা মিশিয়ে কফি চমৎকার লাগে।”
অর্নব আমাকে জড়িয়ে ধরে আছে। বলল,
“তুমিও তো অনেক রোগা হয়ে গেছো বিপাশা। ”
আমি ফিসফিস করে বললাম,
“অর্নব আমার ভেতরে একটা নতুন নদী বয়ে চলেছে। আমি প্রতি রাতে স্বপ্ন দেখি একটা সুন্দর ডলপুতুল তোমার হাত ধরে ঘুরে বেড়াচ্ছে। সে আমাকে মা মা বলে ডাকছে। কিন্তু আমি ধরতে গেলে সে পালিয়ে যায়। ”
অর্নব আশ্চর্য হয়ে আমার দিকে তাকিয়ে আছে। দেখি ওর চোখ দিয়ে জল গড়িয়ে গেলো। আমি ওর চোখের জলে আমাকে নতুন করে আবিষ্কার করলাম। সমস্ত দুঃখকে মেনে নিয়ে আমি ওকে গ্রহণ করলাম। কী আশ্চর্য বাবা আমার পছন্দের গান বাজাচ্ছে গ্রামোফোনে “তুমি কোন কাননের ফুল কোন গগনের তারা…..”
এ গানটা আমার আর অর্নবের খুবই পছন্দের গান।
৭/৪/২৩
#প্রতিবিম্ব৪
১ Comment
very nice