১৮০ বার পড়া হয়েছে
কিংবদন্তি শিল্পী শচীন দেববর্মন এবং কুমিল্লায় তাঁর স্মৃতিবিজড়িত পৈতৃক বাড়ি।
সুপ্রতিম বড়ুয়া।
আমি, আমাদের তো শচীনদার গান ছাড়া চলেই না। শচীনদার বাড়িটি আমাকে এখনো টানে। কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার বিশিষ্ট সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আয়াজ মাবুূদ এর সুবাদে সাথে খ্যাতিমান শিশুসাহিত্যিক সাংবাদিক উৎপলকান্তি বড়ুয়াকে নিয়ে সেই কুমিল্লায় অবস্থিত শচীন দেববর্মন এর পৈতৃক জমিদার এর ভিটাতে ঘুরে এলাম। দারুণ আকর্ষণ এই বাড়িটির প্রতি আমার। উপমহাদেশের এই প্রখ্যাত মানুষটি যদিও ৬৯ বছর বয়সে ৩১ অক্টোবর ১৯৭৫ সালে বোম্বেতেই পরলোকগমন করেন। তাঁর জন্য কুমিল্লার বাড়িটি কাঁদে, কাঁদে শহর কুমিল্লাও, কাঁদে আমারও মন। সময় পেলেই ছুটে যেতে মন চায় পৈতৃক নিবাস মজিদ কুটিরে, আর শচীন কর্তার ঘরে। এই দুয়ের ভেতর যে আমার আমি লুকিয়ে। কালোত্তীর্ণ বহু গানের স্রষ্টা শচীন দেববর্মণ বাংলাদেশেরই একজন সুসন্তান। অবিভক্ত ভারতের কুমিল্লায় ১৯০৬ সালের ১ অক্টোবর। শচীন দেব বর্মণের জন্ম হয় কুমিল্লায়, ত্রিপুরার বিখ্যাত চন্দ্রবংশীয় মানিক্য রাজবংশের কুমার বাহাদুর নবদ্বীপ চন্দ্রের প্রাসাদে। নবদ্বীপ চন্দ্র শচীন দেব বর্মণের পিতা। মায়ের নাম নিরুপমা দেবী। তৎকালীন ত্রিপুরার অন্তর্গত কুমিল্লার রাজ পরিবারের নয় সন্তানের মধ্যে শচীন ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। বাংলাগানের মুকুটবিহীন সম্রাট শচীন দেব বর্মণ, ছোট করে সবাই বলে এসডি বর্মণ। নিজের কালজয়ী কিছু সৃষ্টির জন্য আজ তিনি বাংলা গানের ইতিহাসে সমাদরে আসীন। শচীন দেব বর্মণ ত্রিপুরার চন্দ্রবংশীয় মানিক্য রাজপরিবারের সন্তান। কুমিল্লার রাজপরিবারের বধূ নিরুপমা দেবীর নয় সন্তানের মধ্যে তিনি ছিলেন সর্বকনিষ্ঠ। তাঁর পড়ালেখার শুরুটাও হয়েছিল কুমিল্লাতেই। ১৯২০ সালে কুমিল্লা জিলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেন তিনি। পরে ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ এবং বিএ সম্পন্ন করেন। ১৯২৪ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমএ-তে ভর্তি হন।’নিশিতে যাইও ফুল বনে…’ দেহ ও সাধনতত্ত্বের শেখভানুর এই গানসহ অসংখ্য গান গেয়ে জনপ্রিয়তা পাওয়া এসডি বর্মণের নাম কে না জানে? বাংলা সাহিত্যের আকাশে যখন পূর্ণ কিরণে চারপাশ বিস্তৃৃত রবির আলো নিয়ে আমাদের বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সমাসীন, যখন ধূমকেতুর মহাবিস্ময় নিয়ে এক মহাদ্রোহ-সাম্য-প্রেমের বংশীবাদক কাজী নজরুল ইসলামের আবির্ভাব, পঞ্চ কবিদের আধিপত্য- ঠিক এমনি সময়ে এক সুরের জাদুকর, গানের বরপুত্র, ত্রিপুরা রাজবংশীয় রাজ্যহারা এক উত্তরাধিকার শচীন দেব বর্মণের উত্থান। তখন বাংলাগান রবীন্দ্রনাথ ও নজরুলে আচ্ছন্ন, পঞ্চ কবির অন্য তিনেরও দাপট। গ্রামোফোন কোম্পানিগুলো নিত্যনতুন রেকর্ডে ব্যস্ত। সুরের জগতেও গ্রামোফোন বদান্যতায় নামে-বেনামে বহু কণ্ঠধারীর বাজার তুঙ্গে। শচীন দেব বর্মণ রাজা-জমিদার না হয়ে, হয়ে গেলেন আধুনিক বাংলা গানের মুকুটবিহীন রাজা, সুরের জাদুকর। তিরিশ থেকে ষাটের দশক ছিল বাংলা গানের সোনালি দিন, আধুনিক বাংলা গানের পরম উৎকর্ষতার দিন। আর বাংলাগানের সেই সোনালি দিনের নির্মাণ যাদের হাতে হয়েছিল তাদের অন্যতম একজন ছিলেন শচীন দেব বর্মণ। তিনি এ দেশের মাটি ও মানুষের সঙ্গে এত মিশে গিয়েছিলেন যে, তার সুরের মূল সম্পদ আহরিত হয়েছিল বাংলার ভাটিয়ালি বাউল, কীর্তন, জারি থেকে। পূর্ববঙ্গের এমন কোনো অঞ্চল নেই, এমন কোনো নদী নেই যেখানে তিনি যাননি, ঘুরেননি। রাজ কাজ তাকে টানেনি, তাই শচীন আবদ্ধ হলেন সুরের মায়ায়। চেতনায় তখন ত্রিপুরার বাঁশের বাঁশি, ভাটিবাংলার ভাটিয়ালির সুর, মাঝিমালস্নাদের জীবন ও জীবিকার সুর, নদীর অপরূপ ছন্দ, গাছ-গাছালি, নদী-নালা আর মাঝি-মালস্নাদের মাটির গন্ধমাখা সুর। তাই জীবনের শেষপ্রান্তে শচীন দেব তার এক আত্মকথায় বলেছিলেন, ‘ কেন জানি না জ্ঞান হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে মাটির টান অনুভব করে মাটির কোলেই থাকতে ভালোবাসতাম। আর বড় ভালো লাগত সেই সহজ সরল মানুষগুলোকে, গুরুজনরা যারা সাধারণ লোক। যাইহোক, অসাধারণের দিকে না ঝুঁকে আমি ওই সাধারণ লোকের মাঝেই নিঃশেষে বিলিয়ে দিয়ে তাদের সঙ্গে এক হয়ে গেলাম শৈশব থেকেই।’ তাই তিনি সুরের মায়ায় আচ্ছন্ন দীর্ঘ জীবনের শান্ত নদীর মতোই অবিরাম ধারায় সহজ সরল বাঙালি মানসে সহজেই স্থান তৈরি করে নিয়েছেন। শচীন দেব বর্মণ ত্রিপুরা রাজবংশীয় এক উত্তরাধিকার। এক সময় ত্রিপুরা সাম্রাজ্যের অধীনে ছিল নোয়াখালী, চট্টগ্রাম, শ্রীহট্ট এবং কুমিল্লা। রাজবংশেরই একজন কর্মচারী ১৮৯৬ সালে ত্রিপুরার ইতিহাস নিয়ে একটি গ্রন্থ রচনা করেন। এটির নাম ‘রাজমালা’। গ্রন্থটির রচয়িতা ছিলেন শ্রী কৈলাস চন্দ্র সিংহ। বইটি রচনা করা হয় মহারাজ বীরচন্দ্র মানিক্য বাহাদুরের আমলে। কৈলাস চন্দ্রের বাবা ও ঠাকুরদা ছিলেন মানিক্য পরিবারের সেরেস্তাদার। তাই তার ‘রাজমালা’য় ত্রিপুরার ব্যাপারে অনেক অজানা ও মূল্যবান তথ্য উঠে এসেছে। বীরচন্দ্র মানিক্য রাজা হওয়ার আগে সিংহাসনের আরেকজন উত্তরাধিকারী ছিলেন। তিনি শচীন দেব বর্মণের বাবা নবদ্বীপ চন্দ্র দেব বাহাদুর; বীরচন্দ্রের সৎভাই। সিংহাসনের অধিকার পাওয়ার জন্য বীরচন্দ্রকে অনেকাংশে হিংস্র ও নীতিভ্রষ্ট করে তোলে। তিনি কয়েকবার নবদ্বীপ চন্দ্রকে হত্যার চেষ্টা করেন। একপর্যায়ে নবদ্বীপ চন্দ্র রাজ পরিবারের জ্যেষ্ঠ কর্মচারী কৈলাস চন্দ্র সিংহের পরামর্শে কুমিল্লায় চলে আসেন এবং স্থায়ীভাবে বসবাস করা শুরু করেন। তিনি রাজ সিংহাসনের দাবি ত্যাগ করে কুমিল্লা শহরের দক্ষিণে চর্থা এলাকায় বীরচন্দ্র থেকে ৬০ একর জমি প্রাপ্তহন। এখানে নবদ্বীপ চন্দ্র একটি দালান নির্মাণ করেন। এই দালানেই শচীন দেব বর্মণের জন্ম হয়। পরে অবশ্য শচীন দেব বর্মণের বাবা ত্রিপুরার শাসনভার ফিরে পান। তাই রাজকার্য ফিরে যাওয়ার সুযোগ এলেও শচীন দেব ফিরেননি। মাটি, মানুষ, নদী আর সুরের জগতেই রয়ে গেলেন। তাই তাকে বলতে দেখা যায়, ‘পিতার মৃত্যুর পর আমি যেন অগাধ জলে পড়ে গেলাম। এই অবস্থায় আমি আগরতলা বা কুমিল্লা গিয়ে থাকলে রাজকীয় আরামে ও নিশ্চিন্তে নিজেদের বাড়িতে বাস করতে পারতাম এবং রাজ্য সরকারের কোনো উচ্চপদে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারতাম। আমার বড় ভাইরা আমাকে তা-ই করতে বললেন। আমার কিন্তু এ ব্যবস্থা মনঃপূত হলো না। নিজে একলা সংগ্রাম করে, নিজে উপার্জন করে সঙ্গীত সাধনায় জীবন কাটিয়ে দেব। মনের মধ্যে একমাত্র এই আকাঙ্ক্ষা নিয়ে কলকাতার ত্রিপুরা প্রাসাদ ছেড়ে ভাড়া করা সামান্য একখানা ঘরে আমার আস্তানা বাঁধলাম।’
বাংলাগানের মুকুটবিহীন সম্রাট শচীন দেব বর্মণ, ছোট করে সবাই বলে এসডি বর্মণ। অনেক বাঙালিই হয়তো জানে না, এসডি বর্মণ এই বাংলাদেশেরই সন্তান। শচীন দেবের বাল্য ও কৈশোরে দিনগুলো কাটে কুমিল্লাতেই, কলেজ শিক্ষাও। ছোটবেলা থেকেই একটি সংগীতময় পরিবেশে বেড়ে ওঠেন শচীন দেব বর্মণ। বাবা ছিলেন একজন সেতার বাদক ও ধরুপদী সংগীত শিল্পী। বাবার কাছেই গ্রহণ করেন সংগীতের প্রথম তালিম। এরপর সংগীত শিক্ষা করেন ওস্তাদ বাদল খান এবং বিশ্বদেব চট্টোপাধ্যায়ের কাছে। শচীন দেব বর্মণের সংগীত শিক্ষার জন্য অনেকের শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন। এদের মধ্যে আছে কানাকেষ্ট, ওস্তাদ আফতাবউদ্দিন খাঁ, ওস্তাদ আলাউদ্দিন খাঁ, ফৈয়াজ খাঁ, ভীষ্মদেব চট্টোপাধ্যায়, আব্দুল করিম খাঁ প্রমুখ। শচীন দেবের সংগীত সাধনার সূচনালগ্নে আর এক চমকপ্রদ গল্প প্রচলিত। নবদ্বীপ চন্দ্রের কুমিল্লার বসতভিটার বিপরীত দিকে ছিল আরেক জমিদারবাড়ী। সবাই ডাকত মুন্সিবাড়ী। সেই বাড়ির ইতিহাস থেকে জানা যায়, মুন্সিবাড়ীর ছেলে মর্তুজ মিয়া আর শচীন দেব ছিলেন বাল্যবন্ধু। কৈশোরে একদিন রাতের বেলা শচীন দেব আর মর্তুজ মিয়া মুন্সিবাড়ীর সামনের রাস্তায় পায়চারি করছিলেন। শচীন দেব এর মধ্যে গুনগুনিয়ে গান গাওয়া শুরু করেন। শচীন দেবের গান অন্দরের ভেতর থেকে মুগ্ধ হয়ে শুনছিলেন জমিদার নাবালক মিয়া। তিনি চাকর সফর আলীকে সঙ্গে সঙ্গে পাঠিয়ে দেন রাস্তায় কে গান গাইছে তাকে নিয়ে আসার জন্য। সফর আলী শচীন দেবের কাছে এসে বলেন, ‘শচীন কর্তা, হুজুর আপনাকে ডাকছে।’ শচীন দেব এতে খুব ভয় পেয়ে যান। ভয়ে হাজির হন নাবালক মিয়ার সামনে। জমিদার তাকে বলেন, ‘কিরে, তৈার তো গানের গলা খুব ভালো। কোনো বাদ্যযন্ত্র আছে কি তোর?’ শচীন দেব না’বোধক উত্তর দিলে নাবালক মিয়া তাকে হারমোনিয়াম, তবলা, পিয়ানোসহ কয়েক প্রকার বাদ্যযন্ত্র কিনে দিয়ে কানাকেষ্ট নামক এক তবলচিকেও রেখে দিয়ে এ বাড়িতে সংগীত চর্চার আর এক আস্তানা করে দিলেন। কুমিল্লা থেকে বিএ পাস করে ১৯২৪ এক মাত্র ১৮ বছর বয়সে শচীন দেব কলকাতায় যান এম এ পড়ার জন্য। সেখানে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এম এ ক্লাসে ভর্তি হন। কুমিলস্নাতে তখন পড়ে থাকে তার আর পরিবারের সহযোগিতায় গড়া সংগঠনগুলো। ত্রিপুরার মহারাজাগণের অনুগ্রহে সেকালেই কুমিল্লাতে গড়ে উঠেছিল নাট্যশালা, লাইব্রেরি, টাউন হল, সাংস্কৃতিক সংঘ ইত্যাদি। ১৯১০ থেকে ১৯২০ মাত্র দশ বছরের মধ্যেই কুমিল্লাতে গড়ে ওঠে বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান। দ্য গ্রেট জার্নাল থিয়েটার পার্টি ও ইয়ংমেন্স ক্লাব ইংরেজ সাহেবগণের দ্বারাও প্রশংসিত হয়েছিল। এর ফলে এখানে কবি-সাহিত্যিক-সুধীজনদের আনাগোনা বাড়তে থাকে। কাজী নজরুল ইসলামও এখানকার প্রেমে পড়ে যান। কবি এখানে এলে থাকতেন তালপুকুরের পশ্চিম পাড়ের একটি ঘরে। এখান থেকেই কবি লিখেছিলেন তার বিখ্যাত ছড়া বাবুদের তালপুকুরে হাবুদের ডাল-কুকুরে। শচীন দেব আর নজরুল ইসলাম ছিলেন ঘনিষ্ঠ বন্ধু। ১৯৩৭ সালে শচীন দেব তার পরবর্তী সংগীত জীবনের প্রেরণা শ্রীমতি মীরা দাশগুপ্তাকে বিয়ে করেন। বিয়ের পর তার নাম পাল্টে রাখা হয় মীরা দেব বর্মণ। মীরা দেব বর্মণ ছিলেন তৎকালীন ঢাকা হাইকোর্টের চিফ জাস্টিস রায় বাহাদুর কমলনাথ দাশগুপ্তের নাতনি। রাহুল দেব বর্মণ বা আর ডি বর্মণ তার পুত্র। ১৯৩৪ সালে গোল্ড মেডেল দিয়ে তার প্রাপ্তি শুরু। তারপর এক এক করে ফিল্মফেয়ার, জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, সংগীত, নাটক একাডেমি অ্যাওয়ার্ড, বিএফজেএ অ্যাওয়ার্ডসহ অনেক পুরস্কার পান। ১৯৬৯ এ শচীন দেবকে দেওয়া হয় ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক খেতার পদ্মশ্রী। পরের বছর আরাধনা ছবির সফল হোগি তেরি আরাধনা গানটির জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র শ্রেষ্ঠ পুরুষ পেস্নব্যাক গায়ক পুরস্কার পান শচীন দেব। চার বছর পর জিন্দেগি জিন্দেগি ছবির সংগীত পরিচালনার জন্য জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ সংগীত পরিচালক। সংগীত সাধন জীবনে দেশের গন্ডি পেরিয়ে দেশে দেশে ছড়িয়ে পড়ে তার জাদুময় সুরের মূর্ছনা; পরিচিতি পান বিশ্বময়। অর্ধশতাব্দী কালেরও বেশি বাংলা গানের শ্রোতাদের কাছে তার কালোত্তীর্ণ গানের আবেদন কিছুমাত্র কমেনি। শতাব্দী পেরোলেও এখনো তার গানের আবেদন রুচিশীল শ্রোতাদের বিমোহিত করে। এখনো পথেপ্রান্তরে কখনো কোনো উদাস পথিকের কণ্ঠে ভেসে আসে ‘তুমি এসেছিলে পরশু কাল কেন আসোনি। শচীন দেববর্মনের জমিদার বাড়িটি ঘুরে ঘুরে দেখলাম তিনজনে। একসময় জীর্ণসির্ণ অবস্থায় পড়ে ছিল বাড়িটি। কিন্তু এখন অনেক পরিবর্তন আনা হয়েছে। শচীন দেববর্মন এর জমিদার বাড়ির সীমানা প্রাচিরে তাঁর বিখ্যাত গানগুলোকে রঙিন আকারে লিখে জমিদার বাড়িটির সোভা বর্দ্ধন করা হয়েছে। কুমিল্লা শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসার আয়াজ মাবুদ এর সরাসরি বক্তব্য নিয়ে জানা যায়, সরকার এর সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় শচীন দেববর্মন এর পৈতৃক বাড়িটিকে আরো সংস্কার করে ঐ স্থানে একটি সাংস্কৃতিক বলয় তৈরী করা হবে। যাই হোক আমরাও তাই চাই। যেন এইসব ঐতিহ্যগুলো রক্ষা হোক।