“আর্ত মানবতা”
এটিএম ফারুক আহমেদ
২০.০১.২০২৩ইং
দীনতা, হীনতা, বিবাদ, বিসম্বাদ, বৈষম্য, বৈরিতায়, জ্বরা, ক্লেশ, বর্ণবৈষম্য, বিভেদ, হিংসা-দ্বেষ ভরা এ ভুবন। আর আমরা এর বাসিন্দা এবং আমরাই মানবতা সংহার করি। আবার ঘন ঘন বাহু নাড়া দিয়ে আমাদেরই একাংশ মানবতার কথা বলি! কী আত্মপ্রবঞ্চনা!
রাজতন্ত্র, গণতন্ত্র, ধনতন্ত্র, সমাজতন্ত্র, স্বৈরতন্ত্র সকল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্হাই দেখা গেছে যে, কেহ কেহ ক্ষমতা/শক্তির অপব্যবহার করে অর্থ-ধনসম্পদ, গাড়ি বাড়ি ঐশ্বর্যের মালিক হয়ে প্রাসাদে প্রাচুর্যে আয়েশে থাকে। আর দারিদ্র্যপীড়িত, বঞ্চিত মানুষগুলো দরিদ্র হতে আরো হতদরিদ্র/নিঃশেষ হয়ে কর্পদকহীন অবস্থায় রাস্তাঘাট, ফুটপাত, গলিতেও যেন স্হান পায় না। তার ক্ষুধায় অন্ন নাই, ভুখা নাঙ্গা, বস্ত্র বাস্তুহীন, শীতের কাপড়ও নেই। দু’বেলা দুমুঠো খাবারই জোটে না। রোদ, বৃষ্টি ঝড়ে পড়ে কায়ক্লেশে জীবন যাপন করে।
অথচ আকাশ, পৃথিবী, পরিবেশ, আলো, বায়ূ, রবি, শশী, তারকালোকের সকল নিয়ামত- সবই তারা ধনীকশ্রেণির ন্যায়ই সমভাবে পায়। খোদার দেয়া প্রকৃতির এ দান সকলের জন্যে অবারিত। শুধু মানুষই মানুষে মানুষে মানবতার আর ক্ষমতার অপব্যবহারে বিভাজন সৃষ্টি করে ধনি,গরিব, বিত্তবান, বিত্তহীন করে দীনতা হীনতার সৃষ্টি করে মানবতা ভূলুণ্ঠিত করে। এ কোনভাবেই কাম্য হতে পারে না। হে খোদা, হে রবি, শশী, তারকা, আলোক লোক তুমি তোমার মতো পৃথিবীর সকল সম্পদ সমভাবে সকলে বণ্টন কর। শুধু আমার স্যাঁতস্যাঁতে ভিজে ঘরে নয় , ঐ দূর্বল, বঞ্চিত নিরিহ মানুষেরও সহায় হও। তাকেও শান্তি দাও। চল- সাম্য সারথে মিলেমিশে মৈত্রীর বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে মানব জনম ধন্য করি! হে শক্তিমান- শক্ত করে ধর তোমার ন্যায়দণ্ডের হাল।
২ Comments
Congratulations
অশেষ ধন্যবাদ আপনাকে।