অভাবের নেপথ্যে
জাকিয়া সুলতানা
ফর্দ হাতে সকালবেলা আমার রাজকন্যা
চোখে তার ছলছল পানি যেন বাঁধ না মানা কান্না।
শুধালাম কি হয়েছে তোর? বল অভাগারে
দেখি কোন দুঃখ কাঁদায় আমার ছোট্ট সোনা মা’টারে।
ফুপিয়ে ফুপিয়ে বলল; বাবা মা শুধু বলে এটা নাই ওটা নাই
দ্রব্যমূল্যের দাম নাকি বেড়েছে সব আমি কেন করি খাই খাই।
বেত মেরেছে বাহুতে আমার চড় মেরছে গালে
তারপর মা নিজেই কেদেঁছে আমার সমান তালে।
কোলে নিয়ে তাকে হাত বুলিয়ে মাথায়
বুকে যেন আমার চাপা পাথর ভেঙে পড়ছি ব্যথায়।
হাতে নিয়ে ফর্দ তার দেখি
লিখেছে তাতে মুরগি, ডিম, পোলাওর চাল, গুড়োদুধ আর চিনি
স্নেহাতুর কন্ঠে ফরিয়াদ; বাবা এখনি দিবে আনি?
বেসরকারি স্কুলের এই ছোট্ট কেরানী বসে ভাবে মনে মনে
মাইনের টাকায় মাসের দুই তৃতীয়াংশ যদিও যেত টেনেটুনে
দ্রব্যমূল্যের উর্দ্ধগতি এক তৃতীয়াংশে এনেছে নেমে।
মেয়ের আশা করতে পূরণ হাত পাতে বন্ধুদের কাছে
কারো কাছে টাকা নাই অভাবের গল্প পিছে।
টাকা থাকে কি করে দেশে? পাচার যে হয় বিদেশ
বাচলে বাঁচুক মরলে মরুক সোনার স্বদেশ।
কারো অভাব ডাল ভাতে কারো অভাব মনে।
অন্যের পেটে লাথি মেরে তারা টাকার পাহাড় গড়ে।
একজীবনে দরকার হয় না এত টাকাকড়ি
বুঝত যদি ব্যবসায়ী আমলা দিত সবি ছাড়ি।
২ Comments
Congratulations
ভালো লিখেছেন