নতুন পৃথিবী গড়বো মাহাতাব উদ্দিন সুপ্ত প্রতিভা জাগ্রত করে বিবেকের দাও সাড়া নবীনে প্রবীণে এক সাথে আজি বহিছে একই ধারা। নবীন এনেছে শক্তি সাহস প্রবীণে দীপ্ত জ্ঞান নবীন প্রবীণ মিলেমিশে আজি করিছে নতুন ধ্যান। প্রবীণ সূর্য চন্দ্র দেখ দেয় নিত্য নবীন আলো তোমরা প্রবীণ ঘুমিয়ে কেন জড়তার দীপ জ্বালো? নতুন প্রদীপ মশাল জ্বালো ছুটে চল এগুয়ান বৈষম্য ভেঙে নতুন পৃথিবী আমরা করবো দান। ওরে নাদান মুর্খ ওরে, ওরে জাত শেয়ালের দল! ঘুমের ভানে কাটছে প্রহর জাতি গিয়েছে অথৈ তল। আমি নবীনের কবি প্রবীণের ছবি চিত্তচেতনা হারা চেতনার দ্বারে হানি কড়াঘাত জাগাবো ঘুমের পারা।
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
পরী শিপুন আখতার লুৎফর রহমান খানকে পাগলাগারদে পাঠানো হলো। ডাক্তার খুব যত্ন করে লুৎফর রহমান খানকে কাছে ডেকে নিলেন। লুৎফর এর মুখ খুব গম্ভীর। ডাক্তার জিজ্ঞেস করলেন, ‘যুবরাজ আপনার নাম কী?’ লুৎফর রহমান বললেন,’আমি দিন দুনিয়ার বাদশা।’ ডাক্তার আবার জিজ্ঞেস করলেন, ‘আপনার বাড়ি কোথায়?’ লুৎফর রহমান খান বললেন, ‘সোনারগাঁও।’ ডাক্তার বললেন,’বাহ বেশ।’ লুৎফর রহমান অট্টহাসি দিলেন, ডাক্তার বললেন, ‘খুব ভালো আছেন আপনি, তাইনা?’ লুৎফর রহমান খান এবার নিজেকে দেখে নিলেন, তারপর বললেন, ‘আমি এখানে কেন?’ ডাক্তার বললেন, ‘আপনার চিকিৎসা দরকার তাই আপনার পরিবার আপনাকে আমার কাছে নিয়ে এসেছে।’ লুৎফর রহমান খান বললেন, ‘তা বেশ আমার চিকিৎসা দিন।’ ডাক্তার একটা কুয়ো…
কবরবাসী আয়েশা আহমদ জাহান আঁখি সাড়ে তিন হাত ঘর আমার দরজা জানালা নেই ছোট্ট কুটিরখানি কি নিদারুণ শান্তি ছোট্ট কুপির ন্যায় রশ্মিটুকু কি তীব্র আলো। এটা কোরআন পড়ার নূরের আলো জ্যোতিকা, আর নাকে আসছে শুধুই সুঘ্রাণ নামাজের ঘ্রান, নবীর (দরূদে) কাছে আশা করে না পাওয়া আকুতির ঘ্রান, তাহাজ্জুদ এবং সকল নফল নামাজের অশ্রু সিক্ত, আল্লাহ রাহে চাওয়াগুলোর না পাওয়া ধৈর্যের সুবাস আমাকে প্রানে মনে বিমোহিত করে দিবে অপার সৌন্দর্য আল্লাহ একান্ত দিদার পাওয়ার সুখ। এ-ই সুন্দর সুখকর অনুভূতিটুকু একছত্র অধিপত্য শুধু ই আমার। আমার জগতটা আত্মিক আত্মার অস্তিত্বে শোভিত মনোমুগ্ধকর প্রয়াস। আমার আমল গুলো আমার সাফল্য অর্জন করবে। ফেরেশতাদের জয়গান…
অনুষ্ঠিত হলো প্রতিবিম্ব প্রকাশ-প্রকাশনা উৎসব ও রয়্যালিটি প্রদান অনুষ্ঠান: গত কাল ০৭ জুন ২০২৪ শুক্রবার, বিকেল ৪টায় কবিতা ক্যাফে, কাঁটাবন মোড়, অনুষ্ঠিত হয় প্রতিবিম্ব প্রকাশ-প্রকাশনা উৎসব ও রয়্যালিটি প্রদান অনুষ্ঠান। কবি ও সংগঠক সাঈদা আজিজ চৌধুরীর সভাপতিত্বে উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন: বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন। প্রধান আলোচক: ড. মাহফুজুর রহমান আখন্দ (কবি ও গবেষক, প্রফেসর, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়; সাধারণ সম্পাদক, কবিতা বাংলাদেশ) প্রধান আলোচক ছিলেন : কবি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী (প্রেসিডেন্ট পোয়েট্স ক্লাব) বিশেষ অতিথি ছিলেন: অধ্যাপক শিরীণ আক্তার, কবি অ্যাডভোকেট মনিরুজ্জামান শাওন। স্বাগত বক্তা ছিলেন : কবি আবুল খায়ের (কর্ণধার: প্রতিবিম্ব প্রকাশ, সম্পাদক: কালের প্রতিবিম্ব) কবিতা…
ওই দেখোরে সূর্যি মামা জেসমিন জাহান নিপা ওই দেখোরে সূর্যি মামা অগ্নির ঝাপি মেলে, রোদের তাপে ঝলসে দিচ্ছে তাপাদাহের খেলে! সকাল হলেই পূব আকাশে আলোর ফুলকি জ্বালে এমন কষ্ট পাইনি কেহ পূর্বে কোনো কালে। জন জীবনে বিপন্ন আজ সব মানুষই দুখি বৃষ্টির আশায় চাতকের ন্যায় সবাই মারে উঁকি। পানির তেষ্টায় পশুপাখি তরুলতাও কাঁদে তীব্র গরম বেড়েই চলছে ক্ষণিক সময় বাদে। মৃদুমন্দ বাতাসের ঢেউ ভ্যাপসা আগুন ঝরা নদী নালা ফেটে চৌচির বৈশাখ, জৈষ্ঠ্যের খরা। আম,জাম,কাঁঠাল,কলা এই গরমে পাকে মাঝে মাঝেই হলুদ পাখি ডাকে বকুল শাখে। বৈশাখ,জৈষ্ঠ্যের ভর দুপুরে খোকা খুকু ছোটে কাঁচা পাকা আমের থোকা চুপিচুপি লোটে।
চিঠি সাঈদা সানজিদা মেঘলা দিনে কালো মেঘের পাড়া মেঘের সাথে বৃষ্টির আলাপ শুনছি জানতে? কতো সহজ বোঝাপড়া! খুনসুটি আর যাপন সময় গুনছি। জানতে যদি, তারার সাথে চাঁদের ভাব জমে যায় পূর্ণিমারই রাতে! ছায়াপথের অল্প গল্প শেষে রাত ডুবে যায় শুভ্রতারই প্রাতে। ভোর না হতেই আলোর ছড়াছড়ি ব্যস্ত আকাশ, তপ্ত সারাবেলা বিকেল হতেই কিচির মিচির সুরে আকাশজুড়ে জমবে পাখির মেলা! খানিক বাদেই ঘণ্টা হলে ছুটির রাঙা আলোয় সন্ধ্যা নেমে আসে। চাঁদের সাথে তারারা বৈঠকে মহাকাশের গল্পজুড়ে বসে। ভাবছি তোমায় শুক্লপক্ষে বসে চাঁদের আলোয় উঠোন গেছে ভেসে! পুকুর ভরা চাঁদের আলোর ঢেউ পুড়ছে হৃদয়, পাচ্ছে না টের কেউ।।
বাংলাদেশ কবি-লেখক অভিধান আসছে শিগগির: সার্বিক সহযোগিতায়: কবি নজরুল বাঙালি প্রকাশনায়: প্রতিবিম্ব প্রকাশ। আপনার পরিচিতি ও ছবি পাঠাতে পারেন। ইমেইল: khair.hrm@gmail.com কবি-লেখক অভিধানে যা থাকবে: জন্ম: (স্থায়ী ঠিকানাসহ) বেড়ে ওঠা: পড়ালেখা: পেশা: ব্যক্তিগত জীবন প্রকাশিত গ্রন্থ: মোবাইল নম্বর: ইমেইল: প্রতিবিম্ব প্রকাশ: বাড়ি: ১১, সড়ক: ০৩, সেক্টর: ০৬, উত্তরা মডেল টাউন, ঢাকা-১২৩০। ফোন: ০১৭১৫৩৬৩০৭৯; ০১৮২৬৩৯৫৫৪৯ ইমেইল: khair.hrm@gmail.com; kalerprotibimbo@gmail.com পেজ: https://www.facebook.com/protibimboprokash ফেইসবুক: https://www.facebook.com/ProtibimboProkashBd ওয়েব: https://protibimboprokash.com
সংকীর্ণ এম এ মাসুদ মিঞা সংকীর্ণ মানসিকতার, গন্ডিতে যাঁরা আবদ্ধ, আর যাই হোক, ভালোবাসা হয় না। এক সাথে থাকা, দূরে থাক, এক সাথে, চলাও যায় না। সাহিত্য সংস্কৃতির, ধারক বাহক হয়ে, থাকবো অনন্তকাল, সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে আমার জন্ম। বাবা-মা কে দেখেছি, তাদের জীবন চরিত, খুব কাছে থেকে দেখেছি, দেখেছি বাবার অভিনয়। সাত দিন থেকে পনের দিন, নাটক, কবিতা আবৃত্তি গান, সেই অনবদ্য স্মৃতি ভুলা যায়? যাবে না কখনো কোন দিন। আজকে যাঁরা এ পরিমন্ডলে, বিচরণ করছে, অনেকেই, সংকীর্ণ মানসিকতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি, চরম সংকীর্ণ। সাহিত্য সংস্কৃতির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত, তাদের হতে হবে, নির্মল নিস্কুলুষ, তাদের মনপ্রান হতে হবে, স্বচ্ছ,আকাশের মত বিস্তৃত,…
বিষণ্ন এক স্বর্গীয় সুখ। সুরমা খন্দকার। মার্চ মাস। এই সময় থেকে এখানে গরম শুরু হয়ে যায়। আমরা থাকতাম মফস্বলে। থানা শহর। গ্রামটা ছিল সবুজে ঘেরা বনানি। আশি এর দশকে রাস্তাগুলো ভাঙাচোরা। সড়কের দু’ধারে মুদি দোকান, বাজার, চা-শিঙাড়ার দোকান, হোমিওপ্যাথি ফার্মেসী এই হলো ছোট বাজার। পায়ে চলা মেঠো পথে পাশাপাশি কিছু বসতি। বেশিরভাগই টিনের ছাউনি মাটির ঘর। দালান বাড়ি ঘর ছিল মাত্র কয়েকটা। খাল পাড়ে মোটা রাস্তায় ধানক্ষেতের কোনায় আমাদের জুবুথুবু প্রাইমারি স্কুল। বাড়ি থেকে স্কুলে যেতে লাগত মাত্র ৫/৬মিনিট। রমজান মাসের এই শুরুটা এখানে আনন্দে আর হই হুল্লোড়ে কাটে। রোজা আসলেই মা রোজার বাজার করাতেন ঘটা করে। আমরা ভাই বোনরা…
৫০ বছর পরে আজও বাংলা-বাঙালির হৃদয়জুড়ে অরুণ চক্রবর্তীর “লাল পাহাড়ির দেশে যা” গানটি। এই লোকগীতিটি শোনেননি, এমন বাঙালি অল্পই আছেন। এটি মূলত একটি কবিতা। লিখেছিলেন কবি অরুণ কুমার চক্রবর্তী, ১৯৭২ সালে। কবিতাটির শিরোনাম ছিল─ ‘শ্রীরামপুর ইস্টিশনে মহুয়া গাছটা’: শ্রীরামপুর ইস্টিশনে মহুয়া গাছটা, হাই দ্যাখো গ’ তুই ইখানে ক্যানে? লালপাহাড়ির দেশে যা, রাঙা মাটির দেশে যা, হেথাকে তুকে মানাইছে নাই গ’, ইক্কেবারেই মানাইছে নাই। অ-তুই লালপাহাড়ির দেশে যা। সিখান গেলে মাদল পাবি, মেইয়ে মরদের আদর পাবি। অ-তুই লালপাহাড়ির দেশে যা, লারবি যদি ইক্কাই যেতে, লিস্ না ক্যানে তুয়ার সাথে; নইলে অ-তুই মরেই যা, ইক্কেবারেই মরেই যা, হাই দ্যাখো গ’, তুই ইখানে…
