নীল বেদনা আফলাতুন নাহার একদিন আমি শান্ত হবো মনের ক্লান্তিগুলো মুছে ফেলবো শরীরের ধুলোবালি ঝেড়ে ফেলে চলে যাবো মনের খোলা আঙিনায়, যেখানে গাছে গাছে সাদা ধবধবে বেলী ফুল ফুটে আছে। স্বর্গ থেকে মা বললেন, কিছু ফুল তুলে নিয়ে আয় বসার ঘরে সুগন্ধ ছড়াক। মনের অবয়বে তখন সবুজ রঙের শাড়ি, কপালে টিপ। মনটা স্নিগ্ধ কিন্তু বিষন্ন, মা কী আমাকে ছুঁয়ে দিলেন তবে! অলৌকিক শূন্যতা অনুভব করলাম। চারিদিকে অন্ধকার। ভাষাহীন নিরীহ জীবনে কিছুটা উষ্ণতা চাই, নি:শব্দের মাঝে শব্দ চাই, অনিশ্চয়তার মাঝেও স্বপ্ন দেখতে চাই। চাই সুষমাময়ী আমার মাকে। কবেকার কোন বন্ধ দুয়ার খুলে তোমাকে দেখতে চাই মা! নীল ব্যর্থতা যে আমাকে জড়িয়ে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
গতকাল ২১ মে ২০২৪ বিকাল ৫ টায় পারফর্মিং আর্ট সেন্টারের উদ্যোগে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম এর ১২৫তম জন্মবার্ষিকীতে জাতীয় জাদুঘরের বেগম ফজিলাতুন্নেছা মুজিব মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় প্রখ্যাত নজরুল সংগীতশিল্পী ফেরদৌস আরার একক নজরুল সংগীত অনুষ্ঠান। এতে সম্মানিত অতিথি ছিলেন: জনাব খায়রুল আনাম শাকিল (সভাপতি: কবি নজরুল ইসলাম ট্রাস্টিবোর্ড) জনাব এ এফ এম হায়াতুল্লাহ (নির্বাহী পরিচালক: কবি নজরুল ইনস্টিটিউট) জনাব মৃন্ময় চক্রবর্তী (পরিচালক, ইন্দিরা গান্ধী কালচারাল সেন্টার, ভারতীয় দূতাবাস, ঢাকা) সঞ্চালনায়: দীপ্তি চৌধুরী মিডিয়া পার্টনার ছিলেন: চ্যানেল আই।
ঢাকা প্রতিনিধি: গতকাল ১৭ মে ২০২৪, শুক্রবার বিকেল ৪টার সময় সাহিত্য সংগঠন: “সুচারু সাহিত্য ভুবন”-এর উদ্যোগে এবং প্রকাশনী সংস্থা: প্রতিবিম্ব প্রকাশ-এর সহযোগিতায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত হয় আলোচনা, কবিতা পাঠ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। কাঁটাবন মোড়, শাহবাগের কবিতা ক্যাফে-তে অনুষ্ঠিত উক্ত অনুষ্ঠানের উদ্বোধক ছিলেন : কবি-কথক সালেম সুলেরী, গ্লোবাল সভাপতি: তিনবাংলা (ভারত, বাংলাদেশ, প্রবাসবাংলা), নিউইয়র্ক। সভাপতিত্বে ছিলেন : ড. চিন্ময় হাওলাদার, অধ্যক্ষ, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়। প্রধান অতিথি ছিলেন : মোহাম্মদ আলমগীর (জুয়েল), কবি, গবেষক, সম্পাদক ও নাট্যকার। প্রধান বক্তা ছিলেন : শাহাদাত হোসেন সুজন, কবি, সাহিত্যিক, সম্পাদক। প্রধান আলোচক ছিলেন : আবুল খায়ের, কবি, সম্পাদক: কালের প্রতিবিম্ব, কর্ণধার:…
পৃথিবী সফর শেষে। সাইফ সাদী। আমি স্রষ্টার ফুৎকারে জ্বলে ওঠা বিস্ময়কর সৃষ্টি আমার ক্ষয় নেই, ধ্বংস নেই, নিঃশেষ হওয়ার ভয় নেই আমি ছিলাম, আছি, এবং থাকবো আশরাফ রূপে। পৃথিবী একটি রেলওয়ে জংশন, চলছে আমার সফর এখন বাড়ি ফেরার পথে সাময়িক যাত্রা বিরতি । এই জংশনে কত চরিত্রের মঞ্চায়নে কী বৈচিত্র্য! আমাকে মায়ার ধুম্রজালে মোহন সূতায় আটকে রেখে চিরকাল থাকার বাসনা জাগায় নফস- কামিনী অথচ, ট্রেন আসার সময় হয়ে এলো, বাজে হুইসিল আমাকে যেতেই হবে, চলে যাবো। চিত্তে আজ বাড়ি ফেরার মহা আনন্দ। আহা পুলকিত সুখ। পৃথিবী সফরে এই জংশনে প্রেম ছড়াতে এসেছিলাম যদিও রাগ অভিমান, আর হিংসা- বিদ্বেষের এই স্টেশনে…
আমি যখন মরে যাবো এম এ আলীম মৃত্যু যেদিন আসবে আমার ওগো প্রাণের ভাই ক্ষমা করে দিও আমায় ক্ষমা চেয়ে যাই কী বলেছি কী করেছি কাউকে দিয়েছি ব্যথা চলার পথে জীবন রথে বলেছি কটু কথা মৃত্যু আমার অতি নিকট ডাকছে সারাবেলা জীবনতরী উল্টোপথে করছি হেলাফেলা কবর আমায় ডাকছে রোজই তৈরি আছো কবি? আখেরাতের সম্বল জোগাও ডুবছে তোমার রবি যা বলো ভাই এখন বলো বকো ক্রোধের যাতনায় মৃত্যুর পরে হাত তুলিও আমার ক্ষমা কামনায়। সতীর্থরা কাঁধে নিও আমার মরা দেহ তাদেরকেও ধরতে দিও এগিয়ে আসে কেহ বাবামায়ের পাশে আমায় কবর দিও ভাই মৃত্যুর পরে মায়ের কোলে ঘুমিয়ে থাকতে চাই যেথায় আছে…
(কবি-নাট্যকার ফরিদ আহমদ দুলাল ভাইয়ের জন্মদিনে আমার নিবেদন) শুভ্রকেশী কবি তিনি, মস্তবড় নাট্যকার প্রবন্ধ তার এই সময়ে হয়নি বলো পাঠ্য কার? দুই হাতে তার যাদু আছে, লেখেন ভারি চমৎকার ভেবেচিন্তে বলছি কথা, এমন ভাষ্যে অমত কার? সারা দেশেই চরে বেড়ান, জাতক ময়মনসিংহের ঘাড়ে আছে শব্দ-কেশর, যেমন আছে সিংহের। কণ্ঠে আছে সুরের খেলা, মাঝেমাঝে গান করেন চাপলে নেশা চূণ মাখিয়ে তাম্বুল-রস পান করেন। বয়স তো তাঁর কম হলো না, পেরোলেন আটষট্টি যে এই বয়সেও ঢালেন পানি, ভরেন কাব্যের ঘটটি যে! আমার মতো ভক্ততরুণ তাঁর কথা তো ভাববেই থাকুন বেঁচে হাজার বছর, নাট্যে এবং কাব্যেই। দুলালভাইয়ের স্নেহছায়ায়, ধন্য আমি, গর্বিত। জন্মদিনের শ্রদ্ধা…
ফাল্গুনের দিনগুলো মোঃ জামাল আমার এই বনের পথে কাননে ফুল ফোটাতে ভুলে কেউ করতে না গো কোনদিন আসা-যাওয়া। সেদিন ফাগুন-প্রাতে অরুণের উদয়-সাথে সহসা দিল দেখা উদাসী দখিন হাওয়া। বুকে মোর চরণ ফেলে বধূ মোর আজকে এলে আজি যে ভরা সুখে কেবলই পরাণ কাঁদে।
অস্ট্রেলিয়া প্রবাসী কবি ওয়াজেদ আলী’র কবিতাগুচ্ছ: ০১) তুমিও আমাদেরই একজন ক্রমান্বয়ে আমি অতি অমানবিক ও ক্ষুদ্র হয়ে উঠছি। জাত্যভিমান আমাকে ঘিরে ধরে এখন মাটির পিড়িতে স্বাচ্ছন্দ্যে বসে থাকা সেই আমি কলারের ভাজে ময়লা এখন আমার দুচোখের বিষ। ধন্যবাদ বলতে আমি ভুলে গেছি। সত্যি বলছি। এই শব্দটি মনে এলে, কে যেন আমার গলা আটকে দিয়ে বলে – ” খবরদার! এ শব্দটি আর তোমার নয়” ভুলে যাও তুমি ” ধন্যবাদ দেয়া নয় বরং পাওয়াটাই তোমার এখনকার অধিকার, দীনতা ভুলে যাও। সে কেবলই তোমার অসত্য অতীত মাত্র। ভুলে যাও তোমার কোমরে রশি দিয়ে বাঁধা কুৎসিত অতীত তুমি এখন আমাদেরই একজন। ০২) তাঁরা এখন…
মা মনেয়ারা খাতুন। ফরিদা বেগম। (ঝিনাইদহ এর নারীনেত্রী, সমাজ সেবক,শিক্ষাবিদ, ভাষা সৈনিক। তাঁর অত্মার প্রতি শ্রদ্ধা রেখে, আমার নিবেদন) এই অবেলায় কবিতা লিখবো বলে বসে আছি, কবিতা লিখতে বসে আমার মনে পড়ে গেল, সেই সুদীর্ঘ বসরের সমৃতিময় দিনগুলির কথা। এক মহিয়সী রমনী যে আমাকে সঙ্গে করে নিয়ে এসেছিল এই অচেনা শহরে। তখন কি বিষণ্ন সময় কেটেছে আমার। জানিনা কিসের জালে কিসের টানে এক অদৃশ্য বন্ধনে বাঁধা পড়ে গেছি এই শহরে। অতঃপর, এক আলেকিত মায়ের সান্নিধ্যে। কেটেছে আমার বহুটা সময়।, সেই মা, স্নেহ দিয়ে, বেঁধেছিলো ভালোবাসার আঁচলে। জীবনের সেই সোনালি সময়ে তার কাছে পেয়েছি, সামনে পথ চলার প্রেরনার মন্ত্র, দিক নির্দেশনা।…
প্রিয় মা মোঃ সাইদুল ইসলাম মা তুমি আছো আমার হৃদয় জুড়ে মা তোমার জন্য আমি ছিলাম এই ভুবনে , মা তুমি আমার জন্য করছো কত কষ্ট মা তোমার পেটের থেকে হলাম আমি ভূমিষ্ঠ। মা তোমার মুখ পানে চাইলে কষ্ট যায় ভুলে নিজে না খেয়ে আহার তুলেছ আমারি মুখে তোমার ভালবাসা মাগো কখনো হয় না মিথ্যা জন্মের পর থেকে মাগো আসো বট গাছের মতো ছায়া হয়ে। এই দুনিয়ায় তোমার মত বাসেনা ভালো তুমি একমাত্র ব্যক্তি মাগো যে বিনা স্বার্থে বাসলে ভালো, মাগো তোমার পদতলে রয়েছে আমার জান্নাত তোমার জন্য জীবন মাগো জীবন হলো ধন্য।
