বাবাকে লেখা রোকশানা আক্তার (ছায়াময়ী) আমি তখন `ন’ মাসের গর্ভে মাত্র ক”টা দিনের জন্য মুখ দেখা হলো না তোমার। মাকে বলেছিলে- ছেলে হলে নাম রেখ `বীর’ মেয়ে হলে পতাকা। আর বলেছিলে- ফিরে এসে স্বাধীন ভূখণ্ডে দাঁড়িয়ে আমায় নিয়ে বিজয়ের শ্লোগান দিবে। মা সেই আশাতেই রইলো- শুরু হলো ভয়াবহ যুদ্ধ চারদিকে গুলির শব্দ আঁৎকে ওঠা মায়ের বুক। রক্ত, লাশ, থম থম পরিবেশ। এক সময় সব কিছুর অবসান ঘটল। দেশ স্বাধীন হলো। চারদিকে বিজয়ের আনন্দ ছড়িয়ে পড়ল । এক এক করে অনেকেই ফিরে আসতে লাগলো। দ্বীপের বাবাও ফিরে এলো, তুমিই শুধু ফিরে এলে না । মা বলেছিল, আমার জন্মের প্রথম বোল ছিলো…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
মানুষেরা চলছে অথই নূরুল আমিন মানুষেরা চলছে তো চলছে হাটছে দুরন্ত লম্বা দিগন্তে যে যেখানে যা বলার তাই বলছে জীবন ভর হাটছে আর ভাবছে। জলে স্থলে বন্দরে করছে আহরণ দেশে – বিদেশে আকাশেও ভ্রমন চিন্তায় চিন্তিত কখন জানি হয় মরণ তবু যুবকের রক্তে থাকে শিহরণ। মানুষেরা দিব্বি হাটছে তো হাটছেই যেন বিশাল প্রতিযোগিতা সবাই ভাবছেই কার আগে কে যাবে, অর্থ আয় লাগবেই জীবিকার তাগিদে সবাই শুধু হাটছেই। বাবু শিশু যুবক বৃদ্ধ, কারো নেই বিরাম অর্থের জন্য মানুষেরা নিচ্ছে না আর বিশ্রাম জিততে হবে এই ভেবে, করছে না আরাম দোহাই লাগে, দেরি হোক, খেয়ো না হারাম।
লেখা আহ্বান: কবি দেলোয়ার হোছাইন সম্পাদিত যৌথ কাব্যগ্রন্থ: জুলাইয়ের কাব্যকথা। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলের উৎসাহে/সমর্থনে আপনার যত লেখা কবিতা পাঠাতে পারেন। শিগগির আসছে… কবি দেলোয়ার হোছাইন সম্পাদিত যৌথ কাব্যগ্রন্থ: জুলাইয়ের কাব্যকথা। নিয়মাবলী/শর্ত : ১) জুলাই (৩৬ শে জুলাই পর্যন্ত) যেকোনো মাধ্যমে প্রকাশিত মানসম্পন্ন লেখা পাঠাতে পারবেন। ২) ছবি ও কবি পরিচিতি। ৩) আর কোনো শর্ত নেই। আমরা শর্ত ছাড়া লেখা প্রকাশ করি। লেখা পাঠনো বা যেকোনো যোগাযোগ: ০১৭১৫৩৬৩০৭৯ (হোয়াটসআপ)/০১৮৮১৯৯৩৬৮৯ (হোয়াটসআপ) টাইমলাইনে শেয়ার করেন। বন্ধুদের জানাতে পারেন। প্রতিবিম্ব প্রকাশ:বাড়ি: ১১ (নিচ তলা), সড়ক: ০৩, সেক্টর: ০৬, উত্তরা, ঢাকা-১২৩০।ফোন: ০১৭১৫৩৬৩০৭৯/০১৮২৬৩৯৫৫৪৯ইমেইল: khair.hrm@gmail.com ওয়েব: https://protibimboprokash.comপেজ: https://www.facebook.com/প্রতিবিম্ব প্রকাশ-প্রতিবিম্ব প্রকাশ-protibimboprokash
চিকিৎসক আল-রাযি। (আয়াজ আহমদ মাঝারভূঁইয়া) হাইলাকান্দি, আসাম। মুসলিমদের সোনালি অতীতের অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব আবু বকর মোহাম্মাদ ইবন যাকারিয়া আল রাযি বা আল-রাযি (৮৬৫-৯২৫)। আল-রাযি একজন দক্ষ চিকিৎসক ছিলেন। পারস্য বা ইরানের লোক ছিলেন। দার্শনিক পরিচিতিও ছিলো।চিকিৎসাবিজ্ঞান, দর্শন, পদার্থবিজ্ঞান , রসায়ন ও অন্যান্য বিষয়ে প্রায় ২০০ বৈ লিখেছেন। আজকের মুসলিম প্রজন্মের একাংশ চিকিৎসক হিসেবে কর্মজীবন শুরু করতে চায়। তবে আল-রাযির মতো চিকিৎসক হতে চায় না। ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায়, চিকিৎসাবিজ্ঞানে পূর্বতন মুসলিম চিকিৎসকের নানা রকম দান-অবদান , বলিষ্ঠ ভূমিকা। ব্যবসায়িক মনোবৃত্তি , অর্থোপার্জনের নেশা আর বিলাসিতা মুসলিম চিকিৎসকের পরিচায়ক হয়ে গেছে। সাধারণ মানুষের কাছে চিকিৎসকের মূল্য অনেক। কিন্তু একপ্রকার প্রতারক ও স্বার্থপর…
তোফাজ্জল তুমি ক্ষমা কর ফাতেমা জুঁই কবিতার শব্দগুলো আজ বিক্ষুব্ধ বুনো মেঘের ধাওয়ায় উদভ্রান্ত, অন্যায় অবিচার আর সহিংসতায় সামাজিক মূল্যবোধ বিভ্রান্ত। হারিয়ে গেছে কবিতার পঙক্তিমালা সাংঘর্ষিক যত শব্দ বানে, আকুল হয়ে হাতড়ে বেড়াই কথামালা আসবে কি আমার পানে? দু’মুঠো ভাতের নেশায় সদা প্রস্তুত টগবগে তরুণ জীবন, হায়রে আবাল গর্দব জাতি জীবন কেন করলি হরণ? কোনোদিন কি উন্মুক্ত হবে বিবেক বোধের দ্বার? নির্লজ্জতা আজ পাহাড়সম কে নেবে দায় ভার? লিখতে গিয়ে হাজার বার ফুরায় কলমের কালি, তোফাজ্জল তুমি ক্ষমা কর মানুষ নই মোরা যে বাঙালি।
ভাসবে ন্যায়ের বাতাসে মোঃ জামিল আহমেদ (৪/১০/২০২৪ ইংরেজি ) (উৎসর্গ ফুলবাগ অনূআ দরবার শরীফ) আগুনে পোড়া পৃথিবী, মানুষ অসভ্য হয়েছে, নেত্রের জলে ভেসে গেছে মানবতার আশ্রয় টুকু। শুদ্ধ মনুষ্যত্ব আজ আগুনে পুড়ে কয়লায় কালো চেতনার আলো নিভে গেছে, অধিকার গেছে ভুলে। আগুন তো ছিল তাপের উষ্ণতায় সুখের স্রোত, কিন্তু আজ যেন তার দহন, মনুষ্য হৃদয়ে ক্ষোভ। কোথায় সেই সভ্যতা, কোথায় সেই প্রেমের বানী? আগুনের লেলিহান শিখায় পুড়ে গেছে মানবগান। কেউ চায় রাজত্ব, কেউ চায় ক্ষমতার খেলা, মানবতার ঢেউ যেন আজ মাটির নিচে ঢাকা। অসভ্যতায় মানুষ পোড়া , আগুনে হেরে জীবন, শুধু অন্ধকারে যেন জ্বলছে ঘৃণার অনলবিন্দু। তবুও আশায় বুক বাঁধি,…
ক্ষণেক গেলে শেষ আয়াজ আহমদ মাঝারভূঁইয়া হাইলাকান্দি, আসাম। হজরত আলীর উওরসুরী মুক্তিকামী বীর, কৈ রে তোরা ঝড়ের বেগে গাজার বুকে ফির, মুক্তিকামী বীর। মরলে শহীদ জিতলে গাজী আয়রে সবাই আয়, শত্রু দেখে কররে গুলি মাথার খুলি-টায়। আয়রে সবাই আয়। দেখ না ফিরে আক্বসা ঘরে বন্দুক হাতে ঘুরে, দাজ্জালের ঐ দোসর আজি আমায় জেলে পুরে। বন্দুক হাতে ঘুরে। নিরপরাধ মানুষ মেরে তকমা সেঁটে দেয়, গণতন্ত্রের ভদ্রসমাজ মিথ্যা মেনে নেয়। তকমা সেঁটে দেয়। আর না ভাই অনেক গেছে ক্ষণেক গেলে শেষ, বাঁচা এসে সকল এসে বিশ্ব-ভুবন, দেশ। ক্ষণেক গেলে শেষ।
আমি বাঁচতে চাই অসিম সেখ জেলা: মালদাহ, ভারত। একটু বাঁচতে দাও সবুজের মাঝে থাকতে দাও; পরিত্রাণ দাও মানুষ থেকে কাননে জীবন কাটাতে দাও। হৃদয়ে দাও গেঁথে ফুলের মালা নয়ন শীতল করতে দাও, স্পর্শ করুক পাখির গান হৃদয় মোর নাচতে দাও। আড়াল করে দাও বৃক্ষে হানা দেওয়া মানুষ থেকে, হৃদয় একটুখানি ফুলের ঘ্রাণ চায়। মানুষ গুলো হাজার মরুক! আমি মনুষ্যত্বের মরণে করি ভয়, বৃক্ষ গুলো বেঁচে থাকবে যদি মনুষ্যত্ব বেঁচে রয়। আমি শূন্যতা কাটিয়ে জগৎ গড়ি তাই, মানুষ নয় বৃক্ষের বক্ষে বাসা বাঁধতে চায়। আমি বাঁচতে চায় ভিন্ন একটি জগৎ গড়ে, কৃত্রিমে ভরা জগৎ থেকে রক্ষা চায়’ আমি বাঁচতে চায়।
প্রকৃত বিজয় আরজুমান আঁখি বাংলাদেশের ইতিহাস কতই না বিচিত্র, কে ছিল দেশের শত্রু, কেই-বা ছিল মিত্র! বায়ান্ন গেল, ঊনসত্তর গেল, গেল একাত্তর, সত্যি কি পেয়েছি প্রকৃত বিজয় দাও উত্তর? বিজয় বিজয় বলি মোরা, বিজয় সেটা নয় যে বিজয়ে মানুষ আদৌ স্বাধীন না হয়। কালে কালে স্বৈরাচারীর ঘটে আবির্ভাব, মিথ্যে আশ্বাস প্রবঞ্চনাই যাদের মূল স্বভাব চব্বিশের সংগ্রামেও মোরা পেয়েছি বিজয়, কত সাহসী তরুণ তাদের জীবন করেছে ক্ষয়। বাঙালি মোরা, বাংলার মানুষ, সহজ সরল বটে , প্রয়োজনে মোরা সংগ্রাম করি, সবাই ঐক্য জোটে। অন্ধকার থাকে যেমন, তেমনি থাকে আলো, যুদ্ধের বিরুদ্ধে তেমনি শান্তির মশাল জ্বালো। ভবিষ্যতেও আসতে পারে হাজারো স্বৈরাচার, প্রকৃত বিজয়…
বসন্ত বিলাস কামরুন নেসা লাভলী দিগন্তে মেলে দেই মন মেঘেরা উঁকি দেয় জ্যোস্নার মায়াজালে শরতের চিহ্ন একে দেয় ঝরা শিউলি সুবাসে উড়ে যায় বলাকা নীলাকাশে। নীলোৎপল ফুঁটে ওঠে জল রাশিতে মাতাল করা মৃদু গন্ধ, জাগিয়ে তোলে মন অজান্তে, ঠোঁটে ঠোঁটে কথা হয় শীতাকাশ ফুলে আলাপন কিছুটা সংগোপন দূর থেকে ভেসে আসে মোহনীয় বাঁশীর সুর আর বেহালার ঠুং ঠাং ছন্দ মধুর সৌন্দর্যে – ধরে রাখে মন। শঙ্খচীল সোনা মাখা রোদে জানা অজানায় খুঁজে নীড় দূর দিগন্তে জলকেলী অশান্ত বেগে ছুটছে আনন্দ অবগাহনে, ওহ! বসন্ত কাছে এসো না ভিজে যায় মন। সু-লোচনে শিশিরের মায়া কান্না জড়ায় আবেগ বাবু-ই শেখায় ভালোবাসা পরস্পর ভেজাও…
