শনিবার আয়োজন করা হয় বিশেষ শারদীয় সন্ধ্যা, জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের উদ্যোগে:
নীলাকাশে সাদামেঘের সাথে বনে বনে ফুটে থাকা সফেদ কাশফুলের সখ্যই আমাদের চিরচেনা শরত। এই ঋতু শুধু বৈচিত্র্যময়ই নয় সৃষ্টির আনন্দে ভেসে যাবারও। শরতরাণীকে কবিতায় গানে কথামালায় ভরিয়ে দেয়ার জন্য জাতীয়তাবাদী লেখক ফোরামের উদ্যোগে শনিবার আয়োজন করা হয় বিশেষ শারদীয় সন্ধ্যার। নগরীর সংস্কৃতি বিকাশ কেন্দ্রের সত্যেন বোস মিলনায়তনে ফোরামের সভাপতি কবি শাহীন রেজার সভাপতিত্বে এতে যোগ দেন দেশের বিশিষ্ট কবি সাহিত্যিক শিল্পী ও সাংবাদিকেরা।
সূচনা বক্তব্যে প্রবীণ কবি কামার ফরিদ বলেন, চিরায়ত বাংলাকে খুঁজে পাবার ঋতু শরত। উৎসব আনন্দে ভেসে যাবার ঋতু শরত। বিশিষ্ট প্রকাশক জাকির হোসাইন বলেন, শরতের নীলাকাশ আমাদের মনকে উদাস করে তোলে।সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক কবি ও শিক্ষাবিদ ড.শহিদ আজাদ বলেন, লেখক ফোরাম শশ্বত সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের বিকাশ ও সংরক্ষণে কাজ করে যাবে। সহ-সভাপতি কবি ও সাংবাদিক শাহীন চৌধুরী বলেন, সারাপৃথিবীতে চারটা ঋতু থাকলেও আমাদের সৌভাগ্য আমরা ছয়টি ঋতু পেয়েছি। শরত আমাদের বাড়তি পাওনা।
সহ-সভাপতি কবি কামরুজ্জামান বলেন, জাতীয়তাবাদী শক্তি হৃদয়ে বাংলাদেশকে ধারণ করে এগিয়ে যাবে।
সহ-সভাপতি কবি ও কথাসাহিত্যিক শাওন আসগর বলেন, কবিতায় বাংলার শাশ্বত সুন্দরকে তুলে আনতে হবে। সহ-সভাপতি কবি ও সংগঠক সাজেদা চৌধুরী হেলেন বলেন, লেখক ফোরামের জন্ম হয়েছে লেখনীর মাধ্যমে দেশের মাটি ও মানুষকে বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দেয়ার জন্য। সংগঠনের সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি ও সম্পাদক সৈয়দ রনোর সঞ্চালনায় সমাপনী বক্তব্যে কবি শাহীন রেজা বলেন, এদেশের সাহিত্য ও সংস্কৃতির জগৎ এতোদিন একটি বিশেষ মহলের নিয়ন্ত্রণে পরিচালিত হত। এই অঙ্গনে প্রকৃত জাতীয়তাবাদী শক্তিরা ছিল কোনঠাসা। একটি বিশেষ দেশের তাবেদার এই শক্তি আমাদের নিজস্ব সংস্কৃতিকে বাদ দিয়ে বিজাতীয় সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠায় তৎপর ছিল।
তিনি বলেন, এই গোষ্ঠীর অপতৎপরতার বিরুদ্ধে লেখক ফোরাম রুখে দাঁড়াবে। আমাদের প্রধান কাজ দেশীয় সংস্কৃতিকে তৃণমূল পর্যন্ত পৌঁছে দেয়া। এবং জাতীয়তাবাদী শক্তিকে আরও ঋদ্ধ করা।
অনুষ্ঠানে কবিতা,গান, পুথিপাঠ ও আলোচনায় অংশ নেন,যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কবি আবীর বাঙালি, অর্থ সম্পাদক কবি হুমায়ূন কবির সিকদার, কাব্যকথা সাহিত্য পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা কবি ও বিশিষ্ট পুঁথি রচয়িতা জালাল খান ইউসুফী, কবি ও চিত্রশিল্পী মনিরুজ্জামান পলাশ, কবি তন্ময় হারিস, সংগঠনের সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য হাসান কামরুল, রানা হোসেন, জেসমিন দীপা, নুরুল আবছার, আতিকুজ্জামান খান, জাবেদ পাটোয়ারী, নাহিন শিল্পী, রীনা পন্ডিত, তাছলিমা আকতার, ইসমত আরা, বীথি কবির, গোলাম মাওলা শিকদার, শফিউল্লাহ মিয়া ভাই প্রমুখ।
সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে নয়টা পর্যন্ত চলা এ আয়োজন শাশ্বত বাংলাকে যেন টেনে এনেছিল নগর সভায়।
হৃদয়ে একটি বাংলাদেশকে ধারণ করে প্রকৃত জাতিসত্বা প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার বুকে নিয়ে বাড়ী ফিরেছিল সবাই।