প্রাণের স্পন্দন
মো. দেলোয়ার হোসেন।
তোমাকে চলে যেতে দিতে চাই না,
না, মোটেই চাই না।
তুমি চলে গেলে বড্ড একা হয়ে যাবো,
আমি তো একা থাকতে অভ্যস্ত নই,
কোনো মানুষই তা পারে না।
সায়াহ্নবেলায় ভালোবাসার গল্প কিংবা
মধুর প্রেমালাপ যতটা না হয়,
ঝগড়াটা হয় ততধিক।
ঝগড়া হোক বা প্রেমালাপই হোক,
আলাপটা তো হয়!
একেই বলে জীবনের স্পন্দন,
বেঁচে থাকার প্রমাণ।
ঘড়ির কাঁটার টিকটিক শব্দে
জীবন আবর্তিত হয়।
আসলে, সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য
শব্দটা বড্ড প্রয়োজন।
সেই শব্দ গাড়ির উৎকট হর্ন হোক
কিংবা হোক-
লোটাস টেম্পলের মধুর ইকো-ধ্বনি।
এক জীবনে শব্দটাই হয়ে ওঠে
নিঃসঙ্গতার সঙ্গী।
তুমি চলে গেলে আমার জীবন
শব্দহীন হয়ে যাবে,
আমি বেঁচে থেকেও মৃতবৎ হবো।
তাই তোমাকে সহজে যেতে দিতে চাই না।
তুমিই আমার শব্দের উৎস,
প্রাণের স্পন্দন!
__________
গোপালগঞ্জের পথে
১৭ অক্টোবর ২০২৫।