সুবর্ণসপ্তাহের স্বপ্নময় সখী সুচরিতা
আহমাদ আশিকিন সিপু
সুনসান সন্ধ্যার সময় সোনারসিংহ সরস্বতী সড়কের
সরু সেতুর সুমিষ্ট সুবাসী সভ্য সুললিত স্বরে সুশ্রী সুচরিতা।
সুচরিতা সুন্দরী, স্বপ্নবিলাসিনী, স্বচ্ছ স্বভাবের সরল সখী সেলাই-সুতো,
সুর-সংগীত, সাহিত্য-সন্ধান সবেতেই সমান সক্ষম।
সুবোধ সমাজের সকলে তাকে “সুবর্ণসপ্তাহের সোনালি সখী” সম্বোধন সারিত।
সেদিন সে সংসারে স্নান সেরে সাদা স্বর্গীয় সূর্যের
স্বর্ণছায়ায় স্বপ্নের সুরে স্নিগ্ধ স্মিত সদ্যস্নাতা
সে সন্ধ্যার সায়াহ্নে স্বরচিত সংগীত স্বরলিপিতে
স্বরাঘাতে সুর সাধিয়াছিল।
সেই সময় সফেদ স্বভাবের সাগ্নিক সেন, সাহিত্যসভার সচিব,
সেখানে স্নিগ্ধ স্বরে সুচরিতাকে সম্ভাষণ করিল,
“সুচরিতা, সুশ্রাব্য সুরে স্বরচিহ্ন স্থাপন সত্যি সুদূরপ্রসারী!
স্বপ্নলোকের সংগীতে সত্যিই সূর্যের স্নিগ্ধতা সঞ্চার করিলে।”
সুচরিতা স্বভাবতই সংযত, সে স্বচ্ছ স্বরে “সাগ্নিক,
সুরের সিঁড়িতে সাফল্যের সূচনা সৃষ্টির সঙ্গে সংলগ্ন।
সঙ্গীত সে সংলাপ।”
সাগ্নিকের সমাধি সাঙিয়া সে স্বরে সে সুরে সে স্বপ্নে
সে স্রোতের স্রোতে সরিল সপ্তাহের শেষে সে
সুচরিতার সান্নিধ্যে সন্ধ্যা সকাল অবধি সাহিত্য,
সমাজ, সুর, সংসার সব সম্যক সংলাপ সারিলো।
সাহিত্যসভায় সুচরিতা স্বচ্ছন্দ স্বরে
“সময়ের স্রোতে সভ্যতার সংকট”
সূক্ষ্ম সঞ্চারিত সূচনার সঙ্কেত দিল।
সবাই স্তম্ভিত, সবাই সপ্রশংস।
সাগ্নিক স্বগতোক্তি করিল,
“সৃষ্টিশীল সুচরিতাই সত্যিকার সভ্যতার সূর্য।”
সপ্তাহান্তে সুবাসিত সন্ধ্যায় সুচরিতা সংসারের সীমানা
স্বপ্নের সফরে সামিল।
সে স্বপ্নে সাদা সাগরের স্রোতে সোনালি স্বপ্নরাজ্য
সেখানে স্বচ্ছ স্বরলিপিতে স্বর্গীয় সুর সব সত্তা
সেখানে স্নেহে, সুধায়, সুরে সংলগ্ন।
সকালে সে স্বপ্নভঙ্গের সঙ্গে সঙ্গে স্বগত স্বরে স্বীকার করি
“সাফল্য, সংসার, সমাস সব স্রোতের স্রোতে সমর্পণ।
সত্যিকার সুখ সৃষ্টিতে, সংযমে, স্বচ্ছতায়।”
সেইদিন থেকে সুচরিতা শুধুই সংগীতশিল্পী নয়,
সে সমাজসংস্কারক, সে স্বপ্নস্রষ্টা,
সে সোনারসিংহ গ্রামের সার্থক সত্তা
যার স্বরে, সুরে, সংযমে, স্নেহে
সবাই শুনে “সত্য”র সুমধুর সংগীত।
___________________
নাম: আহমাদ আশিকিন সিপু
জন্ম: ০১-১০-২০০৭
ঠিকানা: ত্রিশাল ময়মনসিংহ
উচ্চ মাধ্যমিক:-
কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, বাকৃবি ক্যম্পাস

