দুুখু মিয়া গোলাপ মাহমুদ সৌরভ সেই শিশু বালক তুমি দুখু মিয়া রুটির দোকানে করেছো কাজ, চুরুলিয়া গ্রামে জন্ম তোমার হয়েছো তুমি বিদ্রোহী কবি আজ। লেটো গানে যোগ দিয়েছিলে তুমি মসজিদে দিয়েছিলে আযান, মহান স্বাধীনতার মুক্তি যোদ্ধা তুমি বাংলা সাহিত্যে তোমার অবদান। তুমি বিদ্রোহী তুমি উন্নত ম-ম শির জয়ের প্রতিধ্বনি বাংলার বীর, কারার ঐ নির্যাতন হাসিমুখে বরণ দুঃখের গগনে তোমার ধৈর্যের নীড়।
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
মানবতার ক্ষয় বিবি ফাতেমা মানবতার নামে একি ভালোবাসা হৃদয়ে পুষে রাখে প্রতিদ্বন্দিতা, স্বার্থ সুখে পদবীর বেড়াজালে হারিয়ে যায় সম্প্রীতি একাত্মতা। দেখছি যত শিখছি তত বড় মাপের মানুষের নীতি, তার চেয়ে ভালো নবপ্রজন্ম ভালোবাসার বন্ধনে থাকে না কমতি। অর্থ নাই তবুও মন বিশালতা এই হল মনুষত্ব্যের মানবতা, যার আছে সামর্থ্য সে হৃদয়হীন পারলেও তারা করে না সহযোগিতা। স্রষ্টার পরে সৃষ্টির সেবা এ যেন বিধির বিধান, ক’ জন পারে করতে মানবসেবা সুযোগে মিলে না ব্যস্তজীবন। তরুন তরুনীর উচ্ছ্বসিত মন জাগ্রত মানবতায় রাখে ভালোবাসা, সমাজ, রাষ্ট্র মানবিক সেবায় সুন্দর জীবন গড়বে এটাই প্রত্যাশা। অসহায় দুঃস্থদের পাশে দাঁড়ানো এ যেন নিঃস্বার্থ মানবিকতা, হালাল রুজি…
নজরুল জয়ন্তীতে কবির প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি। ‘সর্বকালের নজরুল’ – আফলাতুন নাহার শিলু মানুষের চেয়ে বড় কিছু নাই, নহে কিছু মহীয়ান হে নজরুল, কোথায় আজ তোমার সাম্যবাদের গান? পথে পথে দেখি ভিখারীর হাহাকার, পীড়িতের ক্রন্দন ক্ষুধার অন্নে ভরে থাকে আজো মোল্লা-ঠাকুরের উঠোন। কোথায় তুমি নজরুল, নেই তোমার অসাম্প্রদায়িকতা। তোমার আদর্শের লেবাস পরে ওরা টেনে আনে অশ্লীলতা ধর্মের নামে অধর্ম, আর নারীর অসম্মান তুমি কী কভু পারবে না ফেলতে ইতরের গর্দান? চারিদিকে আজ অজাচার আর শ্রমিকের কাঁধে আঘাত তোমায় নিয়ে বিভক্তি আর বিচ্ছেদের কষাঘাত। চারিদিকে আজ নারী- লিপ্সু, অতিমানবের দল নজরুল তুমি আরেকবার বলে দাও, নারীই শক্তি, নারী সুনির্মল। নারীরা আজ পুরুষের পাশে…
নজরুল স্মরণে শ্রদ্ধান্জলি সাঈদা আজিজ চৌধুরী সুধামন্থিত প্রাণ অমিয় বচন ফিরে এসো সৈনিকবেশে সাম্যের নজরুল। প্রেম দাও দ্রোহ দাও ভৈরবী চেতনায় তবলার বোল। রক্ত কণিকায় যৌবনদীপ্ত নৃত্যের ঝংকার তোলো আরকটিবার। হৃদয়-মন্দিরে শ্যামা সঙ্গীত, অগ্নি ঝরাও বিষের বাঁশীর কলতান। ফিরে এসো সৈনিকবেশে প্রতিবাদী ভাষায়, কেন হলে রণক্লান্ত ! মানব রচিত বিভেদের লৌহ কপাট লাথি মেরে ভেঙ্গে দাও, গুড়িয়ে দাও কারা প্রাচীর। প্রাণের স্পন্দনে ফিরে এসো রণতূর্য বাজাও অবিরাম। হৃদয় জংশনে ছন্দে ছন্দে সম্প্রীতির দীক্ষামন্ত্র রচিত হোক আরেকটিবার। এসো স্বদেশের সৈনিক, এসো চির নবীন, সাম্যের কবিতা করো নির্মাণ। হৃদয় বন্দরে সন্চিত অমানিশা দাও করে অবসান। প্রতিবাদ করো অগ্নিকণ্ঠে অগ্নিবীণা বাজাও, বিষের বাঁশী…
মা তবু দাঁড়িয়ে তানজিন তামান্না অর্ণা জীবন মোড়ানো পিচঢালা সড়ক যখন মায়ের চোখের পার বেয়ে যায় সন্তান বলে, মা তুমি ভেবো না, একটু ঘুমাও না মা দৃষ্টিকে আঁচলে মুড়ে চিন্তার খৈ নিয়ে বসে সন্তান ফেরার অপেক্ষা নেতিয়ে পড়া সময়গুলিকে মা রান্না করে ভাবনার জলে অপয়া সড়কের ভয় মায়ের চোখে মুখে শংকার জাল বিছায় ঘড়ির কাটায় দৃষ্টি ঝুলিয়ে মা কী এক উদ্বিগ্নতার পান্তা সাজায় অশান্ত হৃদয়ের পাতে বাছা ফিরবে অপেক্ষা মুঠোফোন নজরের গলায় ঝুলিয়ে মা তাকিয়ে থাকে যতদূর দৃষ্টি সীমানার পারে যেতে পারে সন্তান পাখির মত নীড়ে ফেরে এক আকাশ উচ্ছ্বাস পকেটে নিয়ে মায়ের কলিজা নেয়ে যায় জমজমের জলে সন্তানের মুখদর্শনে…
টরন্টোতে আনন্দমুখর ষষ্ঠ বাংলাদেশ উৎসব: কানাডার টরন্টোতে অনুষ্ঠিত হলো ষষ্ঠ ‘বাংলাদেশ ফেস্টিভ্যাল’। গত শনিবার (২০ মে) অনুষ্ঠিত আয়োজনের স্থল যেন হয়ে উঠেছিল এক খণ্ড বাংলাদেশ। আলোঝলমলে মিলনায়তনে ছিল নানা আনন্দ উৎসব। কবিতায়, গানে, কথামালায়, নাচে আর বাংলাদেশ থেকে আসা অতিথি শিল্পীদের অংশগ্রহণে ছয় ঘণ্টা ধরে চলা অনুষ্ঠানটি আনন্দধারায় ভেসে চলছিল যেন। মিলনায়তনে বসে যারা অনুষ্ঠানটি উপভোগ করেন, তাঁদের অনেকের মুখে শোনা যায়, ‘পুরো আয়োজনটি যেন একখণ্ড বাংলাদেশ।’ উষ্ণ সম্ভাষণে অতিথি বরণ টরন্টো প্যাভিলিয়নের বাইরে পার্কিং লট থেকে শুরু করে প্রবেশপথ পর্যন্ত ছিল নিরাপত্তার চাদরে মোড়া। দায়িত্বে ছিল টরন্টো পুলিশে বেশ কয়েকজন অফিসার। আয়োজকদের পক্ষ থেকে অতিথিদের সম্ভাষণ জানান স্বেচ্ছাসেবকেরা। প্রবেশপথ…
মা স্বপ্না কর্ম্মকার মন্ডল মা কথাটি বড়ই মধুর, মা বলে ডাকলে মনে জাগে আলাদা সুর! মা তুমি শুধু মা, তোমার হয় না কোনো তুলনা। তোমার মুখে লাগে না কভু গ্রহণ, খুঁজে পাই না তোমার কোনো উদাহরণ, এ যেন এক অন্যরকম ভালোবাসার ধরন। সবার মন যোগাতে যোগাতে আমি যখন ক্লান্ত পরিশ্রান্ত, তুমি তখন পাশে বসে আমায় করো শান্ত। তোমার কখনো ভুল হয় না, মা! আমি কি খেতে ভালোবাসি, আমার পছন্দ কোন রান্না! কখন আমার মনে কালো মেঘ জমে, কখন সোনালি রোদ হাসে, সবই তোমার জানা। এটাও জানো তুমি কোনটা আমার সত্যি আর কোনটা বাহানা! মা, তুমি কখনো চাওনা প্রতিদান, এ যে…
অভিনন্দন শিল্পীকে নজরুলচর্চায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে বাংলা একাডেমির নজরুল পুরস্কার-২০২৩ পাচ্ছেন শিল্পী শাহীন সামাদ। নজরুলচর্চা ও তার প্রসারে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ পুরস্কারে সম্মানিত করা হচ্ছে শাহীন সামাদকে। জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৪তম জন্মবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বাংলা একাডেমি আগামী ২৪ মে বুধবার সকাল ১১টায় নজরুল পুরস্কার-২০২৩ প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। অনুষ্ঠানে শিল্পী শাহীন সামাদের হাতে পুরস্কার হিসেবে একটি চেক, সম্মাননাপত্র ও স্মারক তুলে দেওয়া হবে। এর আগে শিল্পী শাহীন সামাদকে নজরুলসংগীতে অসামান্য অবদানের জন্য ২০১৬ সালে একুশে পদক প্রদান করে বাংলাদেশ সরকার। পুরস্কার প্রাপ্তি প্রসঙ্গে শাহীন সামাদ বলেন, ‘কাজের স্বীকৃতি হিসেবে আমি অনেক পুরস্কার পেয়েছি। প্রতিটি…
খোলাচিঠিতে ঈদ খুশি। মোরশেদা আক্তার সীমা। খোলাচিঠিতে পাঠালাম আজকে ঈদের খুশি, আমাদের এখানে খুশি রাশি রাশি, ফিলিস্তিনের মুসলিম ভাইদের জন্য নয়ন জ্বলে ভাসি, ওদের জন্য পাঠাতে চাই একটু ঈদের খুশি। বুকের ভেতর কষ্টগুলো পুড়ছে ভিষণ খোভে ঈদের দিনও রক্ত ক্ষরণ বিশ্ববাসীর শোভে? মুসলিম ভাইদের রক্ত দামি বলে দিলাম আমরা, রোজ হাশরের বিচারে পুড়ুক ইহুদীর হাড় মাংস চামড়া। কচি শিশুগুলো রক্ত রঙিন পোশাকে করেছে আজ ঈদ, প্রিয় মুসলিম ভাইয়েরা হয়েছে কত শহীদ। বিশ্ববিবেক জেগে উঠুক এইনা ঈদের খুশিতে খোলা চিঠিতে ঈদ খুশি যাক ফিলিস্তিনের মাটিতে।
স্পর্শ মাকসুদা খাতুন ফেসবুকে দেখেছিলাম তোমার ছবিখানি, ছবি দেখে সিদ্ধান্ত নিলাম তোমার সাথে দেখা করবো আমি। ছুটি নিয়ে দেখা করতে এলাম 200 কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে দেখলাম তোমায়, নীল শাড়িতে দাঁড়িয়ে আছো জারুল গাছের নিচে চারিদিকে জারুলের ফুল দিয়ে রাস্তা গিয়েছে ঢেকে। তুমি চেয়েছিলে দূরে কোথাও তাই এই জায়গাতে এসেছি আমি, তোমার অন্তরের ছোঁয়ায় হাটছি পাশাপাশি। বসলাম গিয়ে নদীর পারে মাছ ধরছে জেলে, তুমি আমার মুখের দিকে তাকিয়েছিলে এককভাবে। বললাম তোমায় তোমার হাতের উপর রাখতে চাই আমি আমার হাত বললে হেসে রাখতে পারো। যখন আমি রাখলাম হাতের উপর হাত বিদ্যুৎ খেলে গেল আমার শরীরে, ফিরে আসার সময় বললো সে কেন…
