ফিরে যাই মাতৃগর্ভে রেজাউদ্দিন স্টালিন এক সময় আমি ছিলাম বাতাসের ঘণ্টাধ্বনি বাড়ি থেকে বহুদূরে বেজে উঠতাম দিগন্তের পথে -পথে শুধু শুনতো স্তব্ধতা এক সময় পাহাড়ের প্রতিধ্বনি ছিলাম শুধু শুনতো বালুকণা আর সমুদ্রের নুড়ি ধীরে ধীরে পরিণত হলাম পাহাড়ে তারপর এক বিশাল পাথরের বই বাতাস উল্টে যেতো ইতিহাসের পৃষ্ঠা অভিজ্ঞতা আমাকে তাড়িয়ে নেয় হয়ে উঠি চারণক্ষেত্রের তুচ্ছ ঘাস মাড়িয়ে যায় ঘোড়সওয়ার প্রেমিক কবি আর কত কৃতদাসের দল ভাবি কেন হলাম না হাঁস অর্ফিয়ুসের আগামেননের ঈগল কিংবা জীবনানন্দের সন্ধ্যার সুদর্শন রাজা সোলেমানের পিঁপড়ের হাসি এক সময় নিজেকে বের করি সময়ের খাপ থেকে- সম্পূর্ণ অচেনা আর ফিরে যাই মাতৃগর্ভে আবার জন্ম নেবো বলে
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
শুধু তোমার জন্যে সারওয়াৎ জাবীন লুবনা শুধু পাঁচ মিনিট কেনো চার্জহীন টিউব লাইট, দিতে পারি তোমায় সুনীলের এক্শ আটটা নীল পদ্ম! হতে পারি পূর্ণেন্দু পত্রীর কথোপকথোনের সবটুকু, গেঁথে দিতে পারি সমরেশের কালবেলা অথবা সাতকাহনের অনিমেষের নিষ্পাপ প্রেমগাঁথা অথবা শীর্ষেন্দুর দূরবীনের হেমকান্ত, ধ্রূব বা রেমির চরিত্রের কাতরতা ! শুধুমাত্র তোমার জন্য হতে পারি চারুলতার চারু, দেবদাসের পারু, পরিণীতার ললিতা অথবা আমার সবটুকু নিয়ে এক আমরণ রাধা। অথচ… দেখো কী হতভাগ্য! দিন শেষে যদিও সবসময় ঠিক জেনে যাই… আমি তুমি, তুমি আমি সব… মিথ্যে! রেল লাইনের দুই প্রান্তকার সহযাত্রী মাত্র আমরা, সাথে আছে … শুধুমাত্র যার যার সহবাস। ——————————————– সারওয়াৎ জাবীন লুবনা,…
আমার জাদুঘর শাহনাজ পারুল আমার একান্তই আমার একটি জাদুঘর আছে হৃদয়ের ঠিক মাঝখানে হৃদপিন্ডের গভীরে নির্মাণ করেছি আমার জাদুঘরটি । স্তরে স্তরে সাজিয়ে রেখেছি তোমার স্মৃতির স্তম্ভ জাদুঘরটির সন্ধান পৃথিবীর কেউ জানে না কোন পর্যটক কিংবা কোন প্রত্নতাত্ত্বিকও না । জানে শুধু আমার পুড়ে পুড়ে ছাই হয়ে যাওয়া এই পোড়া কলিজাটায় একান্তই আমার জাদুঘরটিতে সাজিয়ে রেখেছি তোমার আলিঙ্গনের নিবিড় মুহূর্তগুলো সাজিয়ে রেখেছি তোমার আমার মহাকাব্য একান্ত অবগাহনের এক একটি অধ্যায় । সাজিয়েছি তোমার গায়ের ঘ্রাণ যে ঘ্রাণ শুঁকে শুঁকে আমি সুখে নিদ্রা যেতাম। আরো সাজিয়েছি তোমার আলতো ভালোবাসার দুই হাতের স্পর্শ যতন করে রেখেছি তোমার আমার যৌবনের আঠারোটি বসন্তকে ।…
স্বাধীনতা এমনই পিতা এনামুল হক টগর ০৮/০৯/২০২১ আমি দিন মজুর,শহীদ মুক্তিযোদ্ধা মোহর আলীর ছেলে রতন, ছোট ভাই মধু চায়ের দোকানে কাজ করে সারাদিন ব্যথার ক্রন্দন! বাবা বেঁচে থাকলে আমরা হয়তো লেখাপড়ার সুযোগ পেতাম, ছোট ভাই নিয়মিত স্কুলে যেতো অবিরাম। আমাদের একদিন ভালো চাকুরি হতো স্বনির্ভর জীবন। কিন্তু স্বাধীনতা যুদ্ধে প্রিয়তম পিতা শহীদ হলেন বেদনার মরণ! বাবার স্বপ্ন ছিল আমরা সুশিক্ষার আদর্শে গড়ে উঠবো দৃঢ় দীপ্ত জাগরণ। সোনার মৃত্তিকা ফসলে-ফসলে ভরে উঠবে নতুন চেতনার সাম্য আহ্বান। অভাব মুক্ত সংসারের পথ ধরে আমরা হেঁটে যাবো আর্দশ জীবন সম্মান। ধনী ও দরিদ্রের সারিতে সমান অধিকারে বন্ধু হবো প্রিয় স্বজন। নিরন্তর বাঁশির ধ্বনিতে প্রিয়তম…
[গল্প] ১৫ আগস্ট/ইসহাক খান অনেক রাত অবধি আড্ডা দেওয়ায় পরেরদিন ঘুম ভাঙ্গলো বেলা করে। ঘুম ভাঙ্গলো না, ঘুম ভাঙ্গানো হলো। সালাম নামের এক বন্ধুর বিয়েতে গিয়েছিলাম দল বেঁধে, বজরা নৌকায় চড়ে। সারারাত হৈচৈ আনন্দ ফূর্তিতে জমকালো কেটেছে সময়। বন্ধু আজিজ বললো, ‘রাত করে বাড়ি ফেরার দরকার নেই। তুমি বরং আমার সঙ্গে থেকে যাও। কাল সকালে আমি তোমাকে বাড়ি পৌছে দেব।’ সময়টা বর্ষাকাল। চারদিকে বন্যার পানি। গ্রামাঞ্চলে চলাচলের বাহন একমাত্র নৌকা। বিয়ের অনুষ্ঠানে এসেছি একজনের সঙ্গে নৌকায়। রাতে একা আমার পক্ষে বাড়ি ফেরা অসম্ভব। তারচেয়ে বন্ধুদের সঙ্গে থেকে যাওয়া বুদ্ধিমানের কাজ। আমি সেইভাবে নিশ্চিন্তে আড্ডায় মেতেছিলাম সারারাত। সেই রাতজাগা ঘুম সকাল-সকাল…
শিক্ষা গুরু আইরিন সুলতানা লিপি জ্ঞানের শিক্ষা ভবের শিক্ষা শিক্ষার শেষ যে নাই, জন্মের পরে প্রথম শিক্ষা মা’য়ের কাছে পাই। এই জগতে সেরা শিক্ষক শ্রেষ্ঠ গুরু মা, সকল শিক্ষার মূলে মাতা অন্য কেহই না। মা’য়ের শিক্ষা ইহকালের পরকালেরও সব, বাবা শেখান ভবের মাঝে প্রভু মোদের রব। শিক্ষক আমার শিক্ষা গুরু বাবার ন্যায় তার কদর, জীবন চলার শিক্ষা দেয় সে করে শাসন আদর। শিক্ষার নীতি মানলে না-গো হয় না মানুষ ভবে, শিক্ষার জন্য চীনে যাও বলেন নবী তবে। শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড শিক্ষাই জাতির মাথা, শিক্ষক মশাই শিখিয়েছেন কতো জ্ঞানের কথা। বাবা মায়ের পরেই শিক্ষক বড়োই পূজনীয়, অন্তর থেকে তাদের তোমরা সম্মান…
একটা প্রেম চাই তসলিমা হাসান আমি একটা প্রেম চাই, প্রেম! যে প্রেম হবে মধুর, কষ্ট নামের শব্দটা থাকবে বহুদূর। আমি একটা মন চাই মন। যে মনে থাকবে না ছলনা, আমি এমন এক জোড়া চোখ চাই। যেথায় থাকবে না মিথ্যে কোন মায়াজাল। আর মুখে থাকবে না মিথ্যে আশ্বাসের ফুলঝুড়ি। আমি এমন একটা মনের মানুষ চাই। যার কাছে ভালবাসা নামের শব্দটা থাকবে স্পষ্ট। আমি একটা প্রেম চাই, প্রেম! যে প্রেমে থাকবে অনেক রং, প্রেমিক-প্রেমিকার সাথে করবে নাকো ঢং। এমন একটা প্রেম চাই, প্রেম! যে প্রেমে থাকবে খোলা আকাশ মিথ্যে নামের শব্দটা তথায় করবে না বসবাস। সত্যি আমি এমন একটা প্রেম চাই। কবিতাঃ-একটা…
সাহিত্য সমালোচনায় প্লেটো, এইচ বি রিতা সাহিত্য সমাজের খুব গুরুত্বপূ একট অংশ। সাহিত্যের উপাদানগুলির লক্ষ্য, দর্শকদের কাছে নৈতিক গুণাবলীর উপর নির্ভরকরার একটি মৌলিক উদ্দেশ্য। সাহিত্য উপাদান থেকে নৈতিক পাঠের প্রত্যাশা করা সুস্পষ্ট বলে মনে হলেও, সাহিত্যিক উপাদানের সমালোচনা বিশ্লেষণে নেতিবাচক প্রভাবগুলিও রয়েছে। সাহিত্যের প্রভাব নিয়ে বিতর্কিত সমালোচনা, মহান দার্শনিক প্লেটো এবং অ্যারিস্টটলকে সমাজে সাহিত্যের প্রভাবগুলি থেকে অনেকটা পৃথক করে তুলেছিল। সমালোচনা শব্দটাকে আমরা প্রায়শই নেতিবাচক ভাবে গ্রহণ করে থাকি। বিরূপভাবে কথা বলা বা অযৌক্তিকভাবে চাটুকারিতা, আঘাত করাকে বুঝে থাকি। মূলত সমালোচনা সাহিত্যের একটা উল্লেখযোগ্য বিভাগ৷ যে কোন সাবজেক্ট মেটার বা চেক্সটকে যৌক্তিক ভাবে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণসহ উপস্থাপন করাই সাহিত্য সমালোচনা। সেটা ইতিবাচক…
যেভাবে খুশি থাকলে কি ক্ষতি? ———————– সাফিকা জহুরা জেসী সাজানো গোছানো পরিপাটি ঘরবাড়ি জনমানবহীন! কি আসে যায়, এলোমেলো বিশৃঙ্খল অবস্থায় যদি প্রশান্তির বাস রয়! ধূলো জমা সেল্ফের ফাঁক হতে মুচকি হাসে বন্ধ ডায়েরি শোকে ভরা কাব্যকথা, তারও ভারী দায়! উল্লাসটুকু থাকুক না লুকিয়ে উড়োধুরো এলোমেলো চাওয়ায়! কতোভাবে সবে জীবন সাজায় জীবন কি মানে কোন জিওমেট্রি? স্বাধীনভাবে ঋতু-প্রকৃতির মত সুখ-দুঃখ পালা বদলায় মেনে নিতে বাধ্য! সয়ে নিতেই হয়! এক কাপ কফি, এক মোড়ক চিপ্স কি ক্ষতি তাতে যসি সন্তুষ্টি প্রাণোচ্ছ্বাসে ভরে দেয় চাওয়া পাওয়ার হিসেব না-ই মেলায় ছোট ছোট খুশীগুলো তালাবদ্ধ মঞ্জুষায়! সারাজীবন কত কি পেল সুনাম খ্যাতি ঐশ্বর্য্য তবুও কেন…
শিশুতোষ ছড়া: মুণ্ডু কচু ———————– সারওয়াৎ জাবীন লুবনা ———————- পড়তে কি ছাই ভাল্লাগেরে সকাল, বিকাল, সন্ধ্যে, মতি, যতি, পান্না দেখো ঘুরছে মহানন্দে! দাদাও কেমন চড়ছে গাড়ি আড্ডা ঘুরে দিচ্ছে, দুপুর বিকেল কুটুম বাড়ি যখন যেটা ইচ্ছে। সূর্য্যি যেমন জানলা গলে আমায় বলে,“আয় না! রোদ্রু মেখে যা না খেলে ধরেই না হয় বায়না! বিকেল রোদে ঘুড্ডি হয়ে নাটাই চেপে উড়িস্! শ্রাবণ মেঘের দোস্ত বনে আকাশ বাতাস ঘুরিস্! কিম্বা ঝেপে বৃষ্টি বলে, ঘরেই রবি বোকা! চুপচুপিয়ে ভীষণ ভিজে আসবি না রে খোকা? পিছল ছাদে কুত্কুতেরি ঘরতো আছে আঁকা, জলটা মেখে খেল না যেয়ে এক্কা থেকে দোকা! রঙধনুরই দোলনা চেপে রঙগুলো সব দুলছে,…
