ফেলে আসা দিন আত্মকথন: লেখক: সোহেল আকন নবাব পর্ব # ০১ ফেইসবুক খুললে দেখা যায়, বরিশালের ভাষা নিয়ে অনেকেই টল করেন। তাতে অন্য জেলায় মানুষেরা আনন্দ বোধ করে। বরিশালে মানুষ ১%লোক। এই ভাষাতে কথা বলে। বরিশালে নাম করা কবি সাহিত্যিক, গুণীজন এই ভেনিসে জন্ম গ্রহণ করেছেন। বরিশালকে বাংলার ভেনিস বাংলা হয়। এই কারণ এখানে নদ-নদী অববাহিকায় মাঝাখানে ঘরবাড়িসহ অপরুপ দৃশ্যর অবতারণায় সুগন্ধা, ফুল তলা, কীর্তনখোলা, ধানসিঁড়ি, সন্ধ্যা, এ রকম সুন্দর নাম অন্য বিভাগ খুঁজে পাওয়া যাবে না। প্রথমে এসে যায় বাংলার ? শের-এ বাংলার কথা, তিনি দুঃখি মানুষের জন্য তৈরি করে ছিলেন, ঋণ সালিসি বোড। তার অবদানে কৃষক কুল পেয়েছে,…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
গীতি কবিতা নব বিশ্ব ভবঘুরে হব মোঃ ইউসুফ আলী গাজী সংখ্যাঃ ৫১/৪৫৯৯ রচনাঃ ০১-০৩,১১,২২২০২১ ইং, সোমবার – বুধবার, সময়ঃ দুপুর ১:৩১-সকাল ৭:৩৩ মিনিট, আমি কর্ম খুঁজতে ব্যস্ত হইয়া ঘুরলাম কত দ্বার আর দ্বার, কোন কর্ম না পাইয়া তাই হইয়া গেলাম সার বেকার; ও তাই “নব বিশ্ব ভবঘুরে হব“ এটাই এখন অঙ্গীকার।। হইলামনারে চাষা -ভূষা কিংবা কোন তালুকদার, তালুক-মুলুক-হাওলাঅলা হইলামনারে হাওলাদার, হইলামনা নৈশ প্রহরী না চকিদার -দফাদার। ও তাই “নব বিশ্ব ভবঘুরে হব“ এটাই এখন অঙ্গীকার।। হইলাম না হায় তাঁতী-জেলে কিংবা কোন কুম্ভকার, হইলামনা হায় হ্যামার হাতে হাঁফরঅলা কর্মকার, হইলামনা হায় স্বর্ণকার হায় গড়ব নানান অলঙ্কার। ও তাই “নব বিশ্ব ভবঘুরে…
কবিতা। বিষাক্ত নিঃশ্বাস। মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম রচনাঃ ০১.১১.২০২১ খ্রীঃ অসহায়ত্বের বেদীতে অর্চণার নির্মাল্য হৃদয়ের উঠোন জুড়ে শুধু অব্যক্ত হাহাকার চৌচির বিরাণ মনোজগতে করুণার ঝড়ে বিক্ষুদ্ধ আত্মচিৎকার। এ পথে ফুটে না গোলাপ নষ্ট সময় বলে যায় নিষিদ্ধ সংলাপ, প্রাণের স্পন্দন নেই আছে সাদা কাফনে মোড়া লাশের অস্পষ্ট বিলাপ। কোজাগরী গল্পের বুড়ি ঘুরায় ছড়ি সেই কবে পরবাসে ফুল পরী, কোথাও কেউ নেই হৃদয় পোড়ার গন্ধ আটকে গেছে জানালার কার্ণিশে, বিদগ্ধ অন্তর নরক পুরীতে বাতাস কলুষিত বিষাক্ত নিঃশ্বাসে। পলেস্তা খসে পড়া ধরা হামাগুড়িতে সারা কে দেবে দু’মুঠো বিশ্বাস! ইবিলশ শয়তান স্বপ্নের হাটে দিয়ে যায় মিছে আশ্বাস। জীবনের পাঠটীকা এখানে কি হবে যবনিকা হরিষাদে…
অঙ্গার আরেফা রাব্বী মিলি যত চাই চিনিতে তাহারে আঁকড়াইয়া রাখিয়া, ততই তার উদাস দৃষ্টি ঐ তিমিরে রয় থামিয়া, দ্যাখো,এই নতজানু হয়ে আছি এ ভুবনে বসিয়া, রহিয়াছি বহু কাল ধরি অনড়িয়া শিকড় গাড়িয়া। হাত দুইটি রাখিয়াছি শুন্যে পাতিয়া, ভালোবাসায় আকন্ঠ ডুবিয়া মরিয়া, ঋষি, এ কুঞ্জটিকায়, চক্ষু মুদিয়া রহ বসিয়া, তবে কে সে যায় আপনারে আপনা ভুলাইয়া? আসমান জমিন পাতাল ভেদিয়া, কারে দ্যাখো অমন নিবিষ্ট ধ্যানে মজিয়া, কার গলে পুষ্পমাল্য অর্পণে নিবৃত্তে দহিয়া, অঙ্গার করি তনুশ্রী,অবহেলার তীব্রতা সহিয়া। স্মৃতির ঘুর্নি ২৭/০৯/২১ইং শোনো, ভুলে না গেলেও পারতে, সমস্ত পৃথিবী ঘুরে ঘুরে এই সুখদুখের জীবনে- অনাহুতের মত ক্ষণিক আশ্রয় নিয়েছিলাম। বুকের ভেতর সোনালি…
এবছর (২০২১) নোবেল পেলেন যাঁরা: বিশ্বের সবচেয়ে সম্মানজনক পুরস্কার হিসেবে ধরে নেওয়া হয় নোবেলকে। পৃথিবীর সব ধরনের পুরস্কারের মধ্যে সবচেয়ে কাঙিক্ষত এটি। চলতি বছর গত ৪ অক্টোবর চিকিৎসার নোবেল বিজয়ী হিসেবে লেবানিজ বংশোদ্ভূত মার্কিন বিজ্ঞানী আর্ডেম পাতাপুতিয়ান ও মার্কিন বিজ্ঞানী ডেভিড জুলিয়াসের নাম ঘোষণার মধ্যদিয়ে নোবেল পুরস্কারের অনুষ্ঠানের শুরু হয়। সোমবার (১১ অক্টোবর) অর্থনীতিতে নোবেল বিজয়ী ঘোষণার মধ্য দিয়ে শেষ হলো এবছরের নোবেল পুরস্কার ঘোষণার। ১৯০১ সালে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, চিকিৎসাবিজ্ঞান, সাহিত্য ও শান্তিতে নোবেল পুরস্কার দেওয়া শুরু হয়। ১৯৬৮ সালে সুইডেনের কেন্দ্রীয় ব্যাংক ভেরিজ রিক্সব্যাংকের এই পুরস্কারের প্রবর্তন করে। পরের বছর থেকে রয়্যাল সুইডিশ একাডেমি অব সায়েন্সেস অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার…
সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পেলেন তানজানিয়ার আবদুর রাজ্জাক আন্তর্জাতিক পর্যায়ে শীর্ষ সম্মাননা নোবেল পুরস্কারের সাহিত্য বিভাগে চলতি বছর পুরস্কার পেয়েছেন তানজানিয়ার ঔপন্যাসিক আবদুর রাজ্জাক গুরনাহ। বৃহস্পতিবার সাহিত্যে নোবেল পুরস্কারজয়ী হিসেবে তার নাম ঘোষণা করা হয়। আব্দুর রাজ্জাক গুরনাহ ১৯৪৮ সালে ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জাঞ্জিবার দ্বীপে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬০ এর দশকের শেষের দিকে তিনি শরণার্থী হিসেবে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। এখন পর্যন্ত তানজানিয়ার এই সাহিত্যিক ১০টি উপন্যাস এবং কয়েকটি ছোট গল্প লিখেছেন। শরণার্থীদের জীবনের পরতে পরতে যে ঘাত-প্রতিঘাত, তা তার লেখনিতে ফুটে ওঠে। বর্তমানে কেন্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক গুরনাহ মূলত ইংরেজি ভাষাতেই সাহিত্য চর্চা করেন। মোট ১০টি উপন্যাস ও একটি ছোট গল্পের সংকলন রয়েছে…
থার্ড ক্লাস বানায় ফার্স্ট ক্লাস। —-পারভীন আকতার শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। টাকা পয়সা, পদ-পদবীর বাহার কোনটাই দিয়ে এই মহৎ পেশা,কাজটিকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। পড়ালেখা করেছি বিধায় মনের তাগিদে, দায়িত্ব মনে করেছি মানুষকে জ্ঞানদান করা আবশ্যক।আলোকিত মানুষ তৈরি করা সামাজিক দায়বদ্ধতা, রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। দেশকে সুশিক্ষিত জাতি উপহার দেয়া মানে উন্নত দেশ।কখনোই মাথাব্যথা ছিলনা শিক্ষকতা পেশা এই দেশের সংবিধান অনুযায়ী কোন গ্রেড আর ক্লাসের হতে পারে।মনের আনন্দে কাজ করেছি।দিনরাত পরিশ্রম করছি সচেতনতায় পরিবর্তনে টেউ তুলতে।বদলাতে পারছি আপন আলোতে, ছড়াচ্ছি মেধার স্ফুরণ।ভুরিভুরি সদৃশ্য সফলতা চোখে দেখার মতো।আমাদের হাতেকলমে শিক্ষা, সন্তানের মতো আদর শাসনে বড় করছি শিক্ষার্থীদের।তারা একসময় আমাদেরও ছাড়িয়ে যাক এই…
কেমন আছো মৃত্তিকার তলে কবি রিতুনুর ০৩.১১.২০২১ ইংরেজি কেমন আছো মৃত্তিকার তলে তুমি আজও ভালোবাসি তাই অবসরে নদীর কিনারে আসি। কাশফুল তুলি, মনের দুঃখ মনে রেখেই মিষ্টি হাসিতে কিছু সময়ের জন্য তোমায় ভুলি। নৌকায় চড়ে বহুদূরে ভেসে যাই, তোমার দেখা কোন গঞ্জে আচমকা যদি পাই। অপেক্ষায় থাকি, তুমি আসবে হয়তো একদিন ফিরে, দেশ স্বাধীন হলেই দেশটা তো আজ স্বাধীন, নেই পরাধীনতার ছোঁয়া। তবু কেন সবি লাগে ধোঁয়া ধোঁয়া। সুখ কেন লাগে জীবনে অরণ্য রোদন অনেক কথার ফুলঝুরি মুখে নিয়ে কৃষ্ণচূড়ার তলে যাই, চায়ের পেয়ালা হাতে বারান্দায় দাঁড়িয়ে অপেক্ষার পায়তারা চলে আজও চাঁদনী রাতে। সাইক্লোনের প্রবল ঝড় উঠে বুকে, তখন খুব…
ফরিদ আহমেদ দুলাল সম্পাদিত প্রিয় কবিতা ও কবিতার জন্মস্মৃতি কাব্যগ্রন্থের আলোচনা: মতিন বৈরাগী। প্রিয় কবিতা, আমার বিপন্ন অস্তিত্ব। আর আমি বসে থাকি যখন কোনো সন্ধ্যা তার শেষ আলোটুকু ছড়িয়ে দিয়ে আশপাশে বৃক্ষদের কচিপাতায় তোলে শিহরণ গুটিয়ে আনে বর্ণালি রঙের লীলা আমি বসে থাকি একটা সমাপ্তির দিকে আমার দু’চোখ স্থির হয়ে থাকে— আমি জানি ওরা আর ফিরে আসবে না শরতের কাশফুলের দোলায় ওরা ফিরে আসবে না সেই দিনগুলোর কোলাহল মুখরতায় ওরা হারিয়ে গেলো আর সমুদ্রের গাঙচিলগুলো ডানা মেলে চিৎকারে চিৎকারে ঝরায় পালক আমি বসে থাকি একা আমার চারদিকে তৃণগুল্ম দীর্ঘশ্বাস ফেলে হরপ্পার পোড়া ইটের মতো আর একটা রাত্রি শিঙ উঁচিয়ে হেঁচকি…
অশরীরী প্রেমের সনেট ফেরদৌস সালাম। তুমিই সে সরোবর নিস্তরঙ্গ আর্তিময় জল প্রপাত গর্জন নেই স্হিরতায় রাধার শরীর বিনম্র কোমল ত্বকে মৃদু ঢেউ ছুঁয়ে যায় তীর সর্ষে ক্ষেতে শীত সূর্য শিশিরেরা স্নিগ্ধ টলমল। চন্দ্র সত্য আমি সত্য- সত্য এই বহতা যমুনা আমি সেই শব্দবাজ প্রেমে হই সমুদ্র কল্লোল শীতের সবজীসহ দিয়ো শুধু মাগুরের ঝোল অশরীরী প্রেমে জেনো ফেরেশ্তাও লিখবে না গুনা! তবুও আড়ষ্ট তুমি ডাক শুনে থাকছো বধির মিলনে মাতাল কেকা মেলে দেয় পালকের ওম সন্তানের রক্তবীজে পুস্ট হয় জননীর ঘুম কোকিল বসন্ত দিনে আনন্দিত হয়ে ওঠে নীড়। কিছুই চাই না আমি চাইবো না কপোলের তিল আমাকে বিশ্বাস করো খুলে দাও…
