পুরুষ দিবস বনাম হে বদনাম সমকাম। (২০ নভেম্বর ‘বিশ্ব পুরুষ দিবসে’ নিবেদিত পদাবলি) সালেম সুলেরী। রেললাইনে দুটিই গতিপথ, সংসার এক নারী আর পুরুষেরা সমযাত্রী, একটি ভ্রমণব্যাগ। পুরুষ দিবস মানে পুরুষ ঠকানো দিন, কারণ সে সেপ্টেম্বর অক্টোবর নভেম্বর ডিসেম্বর। বর বা পুরুষ’অলা চারটি মাসের সমাহার, টগবগে একশ কুড়িটি দিন রেখে গরিবের পুরুষ দিবসে কে আজ মানবে হার! পুরুষ মানেই এক দেহে দুই’শ ছয়টি হাড়, যার থেকে নারীর নির্মাণ, সতীর্থ দাম্পত্য সংসার। ডাক দিয়ে যায় ‘ভাইফোঁটা’ লগ্ন, ‘বোনফোঁটা’ অনিবার্য তবে মর্যাদা পেলো না বিশেষ দিবস হয়ে, হলে হোক– পৃথিবীর কতো রোগ, হাবিজাবি দিবসেরও উদ্ভাবক। পুরুষে পুরুষে বিয়ে, ‘গে-ডে’, কতো অন্ধকার! সমকাম বাড়ায়…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
অবুঝ প্রেম। রাজিনা চৌধুরী। তুমি স্বপ্নে এসেছিলে, স্বপ্নেই হেসেছিলে,স্বপ্নেই বেঁধেছিলে ঘর। স্বপ্ন ভাঙ্গলে দেখি, তুমি পাশে নেই, হয়ে আছ অনেক পর। স্বপ্নে খুব কাছে এসে বসেছিলে তুমি, যেমন প্রজাপতি এসে বসে ফুলের মাঝে। তোমার আঁখিতে হারাতে মোর আঁখি, যাই কাছে তোমার, সকাল কিংবা সাঁঝে। তোমার ইচ্ছা অনিচ্ছার কথা ভাবিনি কখনো, শুধু ভেবেছি কতটা ভালোবেসেছি আমি! তাই তোমাকে ভালোবাসাটুকু বুঝানোর জন্য, বেড়ে গিয়েছিল আমার পাগলামি। শুধুমাত্র আমার ইচ্ছেতে তোমাকে ঠেলে ফেলেছিলাম প্রেম সাগরের আকণ্ঠ জলে, তোমার ইচ্ছেতে নয়, আমার পাগলামি সামলাতে মালা পড়িয়েছিলে তুমি আমার গলে। এখন তুমি কি করবে? ছেড়ে চলে যাবে কি? আমাকে রেখে অনেক দূরে.. নাকি স্বপ্ন ভেঙ্গে…
উম্মী নবী খাদিজা বেগম (সিদ্ধান্ত খুকু) ওগো মোর উম্মী নবী! বাবা মা দাদা চাচা কেউ ছিল না, মেঘের ছায়ায় মেষ চড়াতে, স্ত্রী পুত্র সব হারালে! তেতাল্লিশ হাজার ধর্মের মানুষ; কত জ্ঞানী গুণী কত বিজ্ঞানী, গবেষণায় রত তোমার চরিত; তোমার কথা ! তোমার একটি অঙুলী হেলনে, উজ্জ্বল চন্দ্র দুই ভাগ হলো! দেখে তো অবাক নীল আর্মস্ট্রং, মৃত্যুকালে ঘোষণা দিয়েছেন, বিশ্বাসী তিনি। ওগো মোর উম্মী নবী ! তোমার ওপর অবতীর্ণ কুরআন, অনুসরণ করে; গবেষণা করে– তেতাল্লিশ হাজার ধর্মের মানুষ! ওগো মোর উম্মী নবী! তোমার প্রভু সৃজিলেন ধরা নিপুণ রূপে? মানব দেহের জটিল অংক! ভেবে পাইনা কী করে তিনি অক্সিজেন দিলেন? জনে জনে…
মন ভাঙা জানালায়। স্বপ্না সাহা আকাশে তখন অনাকাঙ্ক্ষিত এক ঝড় উঠেছে। ঝড়ের দাপটে পৃথিবীর গলিপথগুলো দিকভ্রান্ত পথিকের মতো ছুটতে ছুটতে আমার মনের ঘরে আছড়ে পড়ল। আমার প্রবল চেষ্টা সত্ত্বেও জানালা বন্ধ করতে পারি নি। অথচ ঝড়ের কোনো আগাম পূর্বাভাস ছিল না, হয়তো আবহাওয়া অফিসের ঠিকানা বদলে গেছে। আমি তাকিয়ে দেখি— মন ভাঙার শব্দগুলো কেমন নিথর হয়ে ঘরের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে। সেগুলোকে জড়ো করে মন ভাঙা জানালায় নিঃশব্দে রেখে দিলাম। লোনা জলের ধারায় মন ঘরে তখন জল থৈ থৈ। একটা ঝড়ে শুধু ধ্বংসরাই সাক্ষী রইলো। একা হয়ে যাওয়ার সাক্ষী।। কলকাতা/ভারত
মোঃ নূরুজ্জামান-এর জন্মদিন নিজের স্বপ্নটা নিজেই লালন পালন করতে হয়, বর্তমানের স্বপ্ন ভবিষ্যৎ এর দিগে এগিয়ে নেয়, স্বপ্ন আগামীদিনের বেচে থাকার সাহস দেখায় আজ আমার স্বপ্নের ঘরে বিশ্রামের দিন।।। এক অদ্ভুত সুন্দর পৃথিবী জন্মটা কান্নার মায়ায় যাত্রা বেচে থাকার জীবন যুদ্ধ হারিয়ে যাওয়া বেদনার সুখ দুঃখ। নিয়তির খেলায় পৃথিবী পরিবর্তন নতুন নতুন প্রদীপের জন্ম হয় আকাশ জুড়ে শিশুদের হাসি তাদের মাঝে আমিও একজন আজ শুভলগ্নের সূচনায় আমারও জন্মদিন শুরু শুভেচ্ছা শুভ কামনায় অতিক্রম হচ্ছে বছর ঘুরে বছর প্রতিটি মুহুর্ত স্মৃতির ফ্রেমে নীল দিগন্তের পথে হাঠছি….. শুভ জন্মদিনের শুভেচ্ছায় নিজেই কবিতাটি লিখেন পদ্মা মেঘনার মিলন স্থলের ভূখণ্ড ঐতিহ্যবাহী চাঁদপুর। একে বাহু…
নির্ঘুম রাত। লায়লা বিলকিস ০৫-১০-২০২১ইং কত যে রাত নির্ঘুম কেটে যায় সে খবর কে রেখেছে কবে! ব্যথার টানে দুই চোখ টনটন করে তবু ঘুম আসেনা চোখে। রাতের আঁধার বাড়তে থাকে বাড়ে বুকে দ্বিগুণ জ্বালা। শূন্য ঘর-চৌকাট জুড়ে ছেঁয়ে থাকে শুধু হতাশার মালা। জীবনে চাওয়া পাওয়ার যে গরমিল তা কোনোদিন পূরণ হবার নয়, তবু ভালো থাকার যেন ব্যর্থ চেষ্টা ব্যর্থ অভিনয় করে যাই। এ জীবনের পদে পদে শুধু দুঃখ গাঁথা আর অপমান! তবু সময়ের স্রোতে ভেসে চলি ভুলে যায় সকল অভিমান। খড়কুটোর মতো অযত্ন-অবহেলায় আমিও বেঁচে থাকি! হয়তো এটাই নিয়তির খেলা এই সান্তনা বুকে পুষে রাখি। রাতের আঁধার ম্লান হয়ে যায়…
বাঁশি। আঁখি বৈদ্য। তখন আমি অষ্টাদশী- প্রতিদিন রাত বারটা কোথা থেকে যেন ভেসে আসে বাঁশির সুমধুর সুর আমাকে ব্যাকুল করে তোলে আমি জেগে থাকি, প্রতিদিন থাকি আকুল হৃদয়ে অপেক্ষা করি রাত বারটার। বহুদিন শুনিনা সে বাঁশি আর জীবনের প্রয়োজনে বহুদিন আগে বহুদূরে গিয়েছি সরি তবুও বুকের গভীরে রাত বারটা গোপনে হৃদস্পন্দন জাগায় নিরবধি। আজও আমি অপেক্ষায় থাকি সে বাঁশির কিন্তু কি আশ্চর্য যার বাঁশির টানে আমার এত ব্যাকুলতা সে বাঁশি কে যে বাজাত সুমধুর সুরে আজো আমি তা জানি না। শুধু রাত বারটা আজো আমাকে টানে বাঁশির সুরের ভুবনে আমার অষ্টাদশী আবেগ এখনো ছুটে চলে অজানার পথে ব্যকুল হৃদয়ে।
পবিত্র জমজম পারভীন আকতার। ভেবেছিলাম শুধুই ছায়া হব আজ হয়েছি নোঙরে কায়া। বিমর্ষ বেদনাকে মুক্তি দিয়ে বিহঙ্গ উড়েছে ছেড়ে সব মায়া। আংটি গলে চিকচিক করছে সাদা দানাদার পাথর শরীর, আজ না হয় নাইবা মিলল ঘন্টাহীন কাঁটাহীন ঘড়ির! বেঘোর সময় ছায়া ছাই হয় ধূসর মরু উদ্যানে নির্জলা, ছিন্নভিন্ন ঝোপ দুঃখ রাশি, বনে যায় প্রাণপণে সুজলা। নির্লিপ্ত আজ মেঘের আরশি ছায়া মাড়ায় বর্ণিল প্রিজম, প্রশান্তি একরত্তি দ্বীপ সাগরে পবিত্র সে অনন্য জমজম। —————- পারভীন আকতার শিক্ষক, কবি ও প্রাবন্ধিক। চট্টগ্রাম।
কালের প্রতিবিম্ব পরিবারের পক্ষ থেকে আমরা এই নব নির্বাচিত বাংলাদেশ বেতারের একজন তালিকাভুক্ত গীতিকার’কে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানাই। আমরা তার সর্বাঙ্গীণ সাফল্য কামনা করছি। রুনা লায়লা। কবি, গীতিকার, ছড়াকার ও সম্পাদক। জন্ম: ৩০ শে ডিসেম্বর ১৯৮৭ সনে ময়মনসিংহ জেলার গফরগাঁও থানার উত্তরনোও পাড়া গ্রামে একটি সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন।পিতা: মরহুম মোঃ আবুল কাশেম, মাতা : আনোয়ারা বেগম। চার বোন দুই ভাইয়ের মধ্যে তিনি ৫ম। শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ ইবরাহিম পুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় হতে ৫ম শ্রেণি পাশ করেন। উত্তর কাফরুল উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২০০২ সালে বিজ্ঞান বিভাগ হতে এস.এস. সি পাশ করেন। মীরপুর গার্লস আইডিয়াল কলেজ হতে এইচ. এস. সি (বিজ্ঞান…
রিমন সরকার-এর কবিতাগুচ্ছ বাবা বাবা তুমি নেই! চলে গেছো মায়ার বাঁধন ছিন্ন করে একা ফেলে। বুক ভরা খুন শান্তিতে আগুন তোমার খোঁজে শূন্য বুক। চাওয়া-পাওয়া আবদার সবকিছুই থমকে গেছে বাবা কৃষক বাবা তাঁতি সাহসে বেড়ে যায় মোর ছাতি। আত্মসম্মান সদা নিটোলতা তুমি মোর জীবনে পরম শিক্ষক শিক্ষা দাতা। বৈশাখের ঘনকালো মেঘ ঘিরেছে এই জীবন। বাদলা হাওয়া বর্ষাকালের বাদলা হাওয়ায় চেয়ে আছি গগন প্রাণে। ঝুম ঝুম বৃষ্টি পরে ডুব দিয়েছে খালে বিলে। নদী নালা থই থই হংস খেলা করে চই চই। নতুন ধানের চালে ভূনা খিচুড়ি রান্না ঘরে! ইলিশ ভাজা গন্ধে মৌ মৌ করে কৃষক করে হালচাষ বুনিতে শস্য…
