Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

দীর্ঘ সাত বছর পর  শহরের ব‌্যস্ত রাস্তার মোড়ে অনির  সাথে  অরুর হঠাৎ দেখা।  দীর্ঘ সাত বছর পর অরুকে দে‌খে নি‌জের চোখ‌কে বিশ্বাস কর‌তে পার‌ছে না অনি।হারিয়ে যাওয়া প্রিয় মানুষটি এত্ত বছর পর চোখের সামনে! বিধ্বস্ত  কোলাহল ময় শহর হঠাৎ যেন এক নিমিষেই স্তব্ধ হয়ে গেল। সোডিয়াম  আলোয় বিস্মিত চোখে তাকালো অনি। হুম ওটা অন্য কেউ নয় অরুই। সে কিছুটা বিস্মিত কিছুটা মর্মাহত। অনি স্তম্ভিত হয়ে দাড়িয়ে আছে। কিছুটা দ্বিধা, কিছুটা সংশয়ে। সে কি পিছু ডাকবে নাকি তাকে যেতে দেবে। যেমন যেতে সাত বছর আগেও দিয়ে ছিলো। একবার ধরে রাখতে না পারলে মানুষ বার বার চলে যায়। আর যে একবার চলে…

আরো পড়ুন

আসুক নতুন ভোর নাসরীন জামান হেমন্তের কুয়াশাচ্ছন্ন হীম হীম ভোর মাড়িয়ে পূব দিকের চারতলা বিল্ডিংয়ের মাথাটা ছাড়িয়ে নরোম রোদটা এলো আমার চারতলার বারান্দায়। আমাকে ভিটামিন ডি সমৃদ্ধ উষ্ণতা দিবে বলে। আমার হাতে তখন রুদ্র গোস্বামীর “তবুও বৃষ্টি নামুক” চোখে তখন একটি পূর্ণ রাত জাগার ক্লান্তি ভীষণ। আমি ঘুমাতে চাই, ঘুমাতে পারি না, আমি কবিতা পড়তে চাই, দূর ছাই, মন বসে না। আমার মন জুড়ে তখন একবিংশ শতাব্দীর অস্থিরতা আমার চোখ জুড়ে তখন উদভ্রান্ত নাগরিক সভ্যতা। সকালের নরোম রোদটা আস্তে আস্তে চড়া হয়, আমারও তখন ক’খানা কবিতা পড়া হয়, কি পড়ি ছাই, বুঝলাম না তার কিছুই। হঠাৎ কানে আসে ছাই বিক্রেতা…

আরো পড়ুন

শাহ্ নাজমুল। বৃষ্টি বৃষ্টিতে ছেয়ে গেল ভেজা ভেজা মাঠটা একটানা ঝরে জল আষাঢ়ের রাতটা। ধীরে ধীরে পানিতে ভরে গেল খালবিল ভরে গেল দীঘিটা পাহাড়ী সব ঝিল। শীত শীত মজাদার শুধু ঘুম পাচ্ছে ইমাটা বসে বসে অবিরাম হাচছে। শুয়ে শুয়ে নাকে আসে খিচুড়ির গন্ধ কিযে মজা, চারমাস লেখাপড়া বন্ধ। ঝরঝর বর্ষন ভরে যায় দেহ মন স্বপ্নেরা ভীড় করে হয়ে যাই উম্মন। জানালার পাশ থেকে ধূসর দূর গাঁ কক কক করে এক ডেকে ওঠে মুরগা। জবুথবু আমগাছ যেন ঠায় ধুকছে মিরা কাকা বসে বসে বিড়িটা ফুঁকছে। করোনার এই কালে আষাঢ়ের বরষা ধীরে ধীরে সব দিক হয়ে গেল ফরসা।

আরো পড়ুন

আঁখি সপ্ত স্নিগ্ধ তোমার নীলিমা আঁখি মনের ছায়ায় কখনো দেখি সুখের প্রদীপ্ত আশা। আবার কখনো বেদনার করুণ স্পর্শ ধ্বনি তোমার আঁখি কখনো মায়াময়ী। আবার কখনো জমাট বাঁধানো অনেক বিদ্রোহ। তোমার আঁখি কখনো একগুচ্ছ ভালোবাসার দীর্ঘ প্রতীক্ষিত, ভোরের শিশিরভেজা গোলাপের মতো। তোমার আঁখি সুদূর নক্ষত্র বিস্তৃত। তোমার আঁখি বেঁচে থাক চিরকাল। যাত্রী ব্যস্ততার মাঝে উঠলাম বাসে। হঠাৎ চোখ পড়লো তোমার নয়নে প্রথম দেখা হয়নি কোন কলেজে। তুমি ছিলে সজনে সারাক্ষণ ভালোবাসার অভিব্যক্তি ছিল যে মনে। তোমাকে নিয়ে ঘর বাধবো ছিল যে স্বপ্নে। আস্তে আস্তে বাস ছুটে চললো দ্রুত পানে এলোকেশে চুলগুলো শ্বেত কপোতের মত উড়ছিল আপন মনে। কথা বলার সুযোগ…

আরো পড়ুন

স্বাধীনতা মোহাম্মদ সেলিমুজ্জামান। পদ্মা, মেঘনা, যমুনার মিলিত শ্রোতধারায় জয়বাংলার মোহনায় বসে কাঁদে কে? র্জীণশীর্ণ শরীরে, ভয়ার্ত ও ভীত মন নিয়ে মুজিবের বাংলায় বসে কাঁদছো কেন বাবা, কি হয়েছে তোমার? কি নাম তোমার, কোথা থেকে এলে? নাম আমার -‘স্বাধীনতা’, এসেছি সৈয়দ সামছুল হকের আমার পরিচয় কবিতা থেকে। এসেছি আমি ত্রিশ লক্ষ শহীদের রক্ত ও দু’লক্ষ নারীর সম্ভ্রমে, অগুণিত মুক্তিযোদ্ধা ও মুজিবের তর্জনে। সুধাও কেন এত কথা? দেখছো না নয়ন খুলে, মুজিবের বাংলায় কাঁদছে বসে মুক্তির সন্তান, শহীদ সন্তানের চোখের জলে পদ্মা-মেঘনা-যমুনায় বইছে কত বান। রক্তের দামে, সম্ভ্রমের দামে কিনেছো- ‘এ বাংলা’ বিশ্ব মানচিত্র থেকে, লালা টিপ পড়ে এসেছিলাম এই সবুজের পানে,…

আরো পড়ুন

বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয়ের মেডেল। দিলু রোকিবা সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসছে। স্বাধীন খেলার মাঠ থেকে বাসায় ফিরেছে কেবল। স্কুল বন্ধ আজ। ওর বেশিরভাগ সময় কাটে দাদুর সাথে মুক্তিযুদ্ধের গল্প শুনে আর মাঠে বন্ধুদের সাথে ক্রিকেট খেলে। লেখাপড়ায় বেশ ভালো রেজাল্ট করছে বরাবর। ওর দাদু একজন যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা। তাঁর এক পা নেই। দাদু আজ ওকে রাতের পড়া, ও খাবার পর মুক্তিযুদ্ধের গল্প শোনাবে। সেই অপেক্ষায় আছে স্বাধীন। দ্রুত গতিতে সব শেষ করে দাদুর ঘরে ঢুকে বিছানার পাশে দাদুর কাছে বসলো, দাদু একটা হাই দিয়ে চোখে এক উৎকন্ঠা নিয়ে নাতির খুব কাছে ঘেঁষে বসে বললো,দাদু ভাই আজ তোকে আমার এক পা হারানোর গল্প…

আরো পড়ুন

ডাস্টবিনের ভাঙা দেয়াল -আবুল খায়ের (ডাস্টবিনে ফেলে রাখা শিশুকে উৎসর্গ করে) কার ঔরসে পয়দা শিশুর মুচকি হাসি শ্যাওলাতে কোথায় থেকে ভেসে এসে ওঠলো যে কার তল্লাটে বেগ-আবেগের প্রণয়লীলা উদয়-অস্ত কার ইশারাতে ওঠলো যে সুর বেসুরে আজ বাজল যে কার বেহালাতে জাত বেজাতের দ্বন্দ ভুলে মিষ্টি মধুর ছন্দ তুলে গা ভাসিয়ে দিলে তুমি বৃষ্টিভেজা কালরাতে। আবেগের সাথে বিবেকের কভু হয় না কোন সন্ধি মানবতার শিকল পায়ে ইজ্জত ক্যান আজ বন্দি। সন্তান আজ কার কোলে হায়, কার নয়নে নয়ন বিচারপ্রার্থীর যাপিত জীবন হুমকিতে ক্যান চয়ন। ডাস্টবিনের ওই খুপড়ি ঘরে খিলখিলিয়ে কে হাসে হাসি মুখে ফাঁসিতে ঝুলাও একটুখানি ভালোবেসে। বাবা-মায়ের আদর নেই, জীবনটাও…

আরো পড়ুন

Paradise My Sweetest Love (Non-Rhyming Poem)! My dear, sweet, and charming love You’re like a tasty hive of honeycomb. Let’s leave for the lovely garden of paradise The blooming valley with blossoming fragrance of sweet roses Where only butterflies, hummingbirds, and Pegasus flew. Our hearts are resonating with beautiful colors We will reside under the rainbow arching radiance Stimulating our souls with gold, ruby, and diamond. We will enjoy sweet mangoes, plums, and cherries Build a cottage in its midst, and Bake tasty gingerbread at twilight. Take showers in the morning’s drizzling rain, and Sing charming melodic songs with the…

আরো পড়ুন

দুইটি কবিতা মা মা তোমার স্নিগ্ধ পরশ পাই না কতদিন এখানে-ওখানে, এঘরে-ওঘরে খুঁজি প্রতিদিন। নাড়ি ছেড়া ধন রেখে তুমি কোথায় চলে গেলে? একবার এসে দেখে যাও মা কেমন আছে তোমার মেয়ে? ফিরবো কখন অফিস থেকে কেন বারবার, বারবার জানতে চাও না কেন আর আমার পথ চেয়ে তোমার দৃষ্টি উদাস হয় না গা পুড়ে যাচ্ছে মা জ্বরে কেন একবারও খোঁজনাও না আমায় ফোন করে? শুনতে কি পাও না তোমরা আমার হাহাকার বুঝতে কি পারো না তোমাদের ছাড়া আমি কত একা-নিষ্প্রাণ? প্রাণ ভরা বাড়িতে নেই প্রাণস্পন্দন শূন্যতায় ভরেছে আমাদের প্রিয়প্রাঙ্গন। কোনায় কোনায় নেই বুঝি আর হাসি খিলখিল হারিয়ে গেছে ভাই-বোনদের সুখ অনাবিল…

আরো পড়ুন

শিকল ভাঙার দিন শাহাদাৎ হোসাইন কাওসার। ন’মাস ধরে যুদ্ধ করে পেয়েছি নতুন দেশ, খুনের দামে পার করেছি পরাধীনতার রেশ। স্বাধীনতার বীজ বুনেছে মায়ের চোখের জল, নতুন ভোরের আশার আলো বেঁধেছে বুকে বল। ত্যাগের পরেই আসবে ফিরে শিকল ভাঙার দিন, শোধ হবে যে আমার মায়ের চোখের জলের ঋণ। কেউ হারালো বুকের মানিক কেউ হারালো বাবা, দুঃখের নদে ভাসিয়ে গেল পাক হায়েনার থাবা। হারিয়ে যাওয়া বীর শহীদরা আসবেনা আর ফিরে, তাদের দানেই থাকছি মোরা মুক্ত স্বাধীন নীড়ে। লেখকঃ শাহাদাৎ হোসাইন কাওসার রিয়াদ, সৌদি আরব। ২১ নভেম্বর ২০২১

আরো পড়ুন