Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

বিজয়ের মাসে অসাধারণ এক আয়োজন: সৈয়দা আমাতুল ফাতেমা রোজ এবং খোকন মিলে অসাধারণ এক মন্ময় জুটিকে আমি চিনি এদেশে এসে। তা প্রায় বছর তিনেক আগে থেকে।ডাউন টাউন থেকে দেড় ঘণ্টা ড্রাইভিং শেষে বন-অরণ্যে ঘেরা নিউমার্কেটে তাদের বসবাস। ২০১৯ সালে মৌ মধুবন্তীর বাসার নিমন্ত্রণেই ওদের সঙ্গে প্রথম দেখা।  তারপর… মিউজিক পার্কের সবুজ আলোতে হাঁটাহাঁটি,গল্পে আরো কিছুটা সময় দেখেছি আমি প্রাণে-তরঙ্গ-তোলা এই রোজমনিকে। জীবনের নানা মাত্রিক প্রতিরোধ, সংকট ও সংক্ষোভ অতিক্রম করে অপরাজেয় জীবনকে কিভাবে তিমির বিনাশী সংরাগে সমুজ্জ্বল করে কাটাতে হয়—ভালোবাসায় উৎযাপন করতে হয় প্রতিটি অমূল্য মুহূর্তকে … সেই মন্ত্রটি ওদের দু’জনেরই বেশ ভালোভাবে জানা। জীবনবাদী এই দম্পতিকে আমার ভীষণ পছন্দ।…

আরো পড়ুন

স্মৃতির আয়নায় ডিসেম্বর। কাপ্তান নূর। আমি একজন মুক্তিযুদ্ধা ছিলাম। নারায়নগঞ্জের খানপুর হাউসে মুক্তিযুদ্ধাদের জন্য একটা গোপন ট্রেনিং সেন্টার খুলেছিলাম। পাঁচবার আগরতলায় যাওয়া-আসা করেছি।  একপর্যায় সেখানে মাননীয় মন্ত্রী জহুর আহমেদ চৌধুরীর হাতে ২০ লক্ষ টাকা তুলে দিয়েছিলাম। একাত্তরের ১৬ই ডিসেম্বর সকাল ১০টায় মাননীয় মন্ত্রী জহুর ভাই আ স ম রব ভাইকে সঙ্গে নিয়ে খানপুর হাউসে আমার আস্তানায় হাজির হন।  বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দীন সাহেবের নির্দেশে রেসকোর্স ময়দানে সারেন্ডা অনুষ্ঠানে আমাদের সাথে আপনাকে উপস্থিত হতে হবে, তাই নিতে এসেছি।  রেডি হন। আরও বল্লেন, সারারাত জার্নি করে আগরতোলা থেকে আসলাম, চলেন তাড়াতাড়ি৷ এ সময় তাদের সামান্য চা-নাস্তার ব্যবস্থা করে নিজে জলদি রেডি হলাম। …

আরো পড়ুন

রোকেয়া রচনাবলীই রোকেয়া র পরিচিতি:  নূরুন্নাহার নীরু ‘যদি সমাজের কাজ করিতে চাও, তবে গায়ের চামড়াকে এতখানি পুরু করিয়া লইতে হইবে যেন নিন্দা-গ্লানি, উপেক্ষা-অপমান কিছুতেই তাহাকে আঘাত করিতে না পারে;মাথার খুলিকে এমন মজবুত করিয়া লইতে হইবে যেন ঝড়-ঝঞ্ঝা, বজ্র-বিদ্যুৎ সকলই তাহাতে প্রতিহত হইয়া ফিরিয়াাআ  সে৷’ — এমনি ক্ষুরধার আহব্বান নিয়ে যে নারীর আত্মপ্রকাশ    তিনিই রোকেয়া নামের  সেই মহিয়সী রমনী যিনি  এই উপমহাদেশের নারী জাগরণের পথিকৃৎ সম প্রদীপ ৷ যে প্রদীপের আলো আজও সমুজ্জল৷ ১৮৮০ সালের ৯ডিসেম্বর রংপুরের পায়রাবন্দন এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে তাঁর জন্ম এবং ১৯৩২ সালের ঠিক এই দিনেই  মাত্র ৫২ বছর বয়সে  আবার তাঁর তিরোধানও ঘটে৷ বুঝ হওয়াকাল…

আরো পড়ুন

বর্ণময় ভালোবাসা। মাসুমা ডেইজী ০৩.১২.২০২১ ইং কেবল বলো ভালোবাসা ভালোবাসা, জানো কী, কত রঙ এই ভালোবাসার। জিজ্ঞেস করে দেখ ঐ ক্ষুধার্ত শিশুকে, ও ভাত খেতে কত ভালোবাসে। আর্ত মা জানে তৃষ্ণার্ত শিশুকে নীরস স্তন্যদান কত ভালোবাসে। বিবশ পিতা জানে শোধন নোটিশ হাতে বাচ্চার চোখ মুছতে কত ভালোবাসে। বেকার মেধাবী যুবক জানে নিভৃত বাবার টাকায় খেতে কত ভালোবাসে। বেহায়া অকাল জানে মালদারের ছিটেফোঁটা কাঙাল ভোজ কত ভালোবাসে। নিশাচর প্রেমিক জানে সঙ্গী সাথে, তবু নিশীথে কোন স্মৃতি আঁকড়ে বাঁচে। জানে পূজারী? এক পূজায় এতো বৈচিত্র্য, ঈশ্বর ক্যান নীরব নিস্তব্ধ থাকে!!

আরো পড়ুন

স্বপ্নরা চায় অমরতা। শামীমা নাইস ৫/১২/২০২১ স্বপ্নের মিথ্যে রঙে নিজেকে রাঙাতে চাইনি কখনো তবু কিছু অশান্ত আবেগ তাড়া করে অনুক্ষণ। ভাসিয়ে নিয়ে যায় মেঘের ডানায় নিয়ে যায় তেপান্তরের ধূ ধূ প্রান্তরে সেখানে অন্ধকার নামে সমান্তরালে মহুয়ার গন্ধে মগ্নতা আসে দূর থেকে ভেসে আসা ভৈরবী সুর মনে জাগায় অনন্ত শূন্যতা দুঃসাহসী কুয়াশায় ভিজে যায় শরীর মন জেনে বুঝে অচেনা দুঃখকে করি আলিঙ্গন। বেদনার অগ্নিদাহে ঢেলে দিয়ে ইচ্ছের গরল স্বপ্নরা তবু বাঁচতে চায় অনলের গহীন গোপনে; পুড়ে পুড়ে খাঁটি হয় চায় আগুন পাখির মত অমরতা।

আরো পড়ুন

অভিনেত্রী, সুবর্ণা মুস্তাফা’র জন্মদিন পালন: অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফা জন্ম: ২ ডিসেম্বর, ১৯৫৯ অভিনেত্রী, প্রযোজক ও বাংলাদেশ জাতীয় সংসদ সদস্য। তিনি প্রখ্যাত অভিনেতা গোলাম মুস্তাফার কন্যা এবং ক্যামেলিয়া মোস্তফার বোন। ১৯৮০-এর দশকে তিনি বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় টিভি অভিনেত্রী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। বিশেষ করে আফজাল হোসেন এবং হুমায়ুন ফরীদির সাথে তার জুটি ব্যাপক দর্শক সমাদর লাভ করে। এছাড়া তিনি হুমায়ূন আহমেদের লেখা কোথাও কেউ নেই ও আজ রবিবার টেলিভিশন ধারাবাহিকে অভিনয় করে খ্যাতি অর্জন করেন। টেলিভিশন নাটকের পাশাপাশি তিনি ২২ বছর মঞ্চে অভিনয় করেন। সুবর্ণা মুস্তাফা ১৯৫৯ সালের ২রা ডিসেম্বর ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পৈত্রিক নিবাস ঝালকাঠি জেলার নলছিটি উপজেলার দপদপিয়া…

আরো পড়ুন

মাহফুজুর রহমান খান মৃত্যুবার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা জন্ম: ১০ মে ১৯৪৯ মৃত্যু: ৬ ডিসেম্বর ২০১৯ বিনম্র শ্রদ্ধা চিত্রগ্রাহক। পেশাদার চিত্রগ্রাহক হিসেবে তিনি ১৯৭২ সালে প্রথম চলচ্চিত্রে কাজ করেন। তিনি আলমগীর কবির, আলমগীর কুমকুম, হুমায়ুন আহমেদ, শিবলি সাদিকদের মত চলচ্চিত্র পরিচালকদের সাথে কাজ করেন। চলচ্চিত্রের চিত্রগ্রহণের জন্য তিনি নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, আটবার বাচসাস পুরস্কার এবং একবার বিশেষ বিভাগে মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার লাভ করেন। মাহফুজুর রহমান ১৯৪৯ সালে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) ঢাকার লালবাগে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মরহুম হাকিম ইরতিজা-উর-রহমান খান ছিলেন একজন ব্যবসায়ী। তার পৈতৃক নিবাস ছিল লালবাগের চকবাজারস্থ হাকিম হাবিবুর রহমান খান রোডে। রোডটির নাম তার দাদা হাকিম…

আরো পড়ুন

তারেক মাসুদ পুরো নাম আবু তারেক মাসুদ জন্ম: ডিসেম্বর ৬, ১৯৫৬ মৃত্যু: আগস্ট ১৩, ২০১১ চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক, চিত্রনাট্যকার, লেখক এবং গীতিকার। মাটির ময়না (২০০২) তার প্রথম ফিচার চলচ্চিত্র যার জন্য তিনি ২০০২-এর কান চলচ্চিত্র উৎসবে ডিরেক্টরস ফোর্টনাইটসহ বিভিন্ন আন্তর্জাতিক খ্যাতি অর্জন করেন এবং এটি প্রথম বাংলাদেশি বাংলা চলচ্চিত্র হিসেবে সেরা বিদেশী ভাষার চলচ্চিত্র হিসেবে একাডেমি পুরস্কারের জন্য বাংলাদেশী নিবেদন করা হয়েছিল। তারেক মাসুদের পরিচালিত প্রথম স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র সোনার বেড়ি (১৯৮৫) এবং সর্বশেষ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র রানওয়ে (২০১০)। চলচ্চিত্রে তার অবদানের জন্য ২০১২ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে দেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মান একুশে পদকে ভূষিত করে। ২০১৩ সালে নিউ ইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের এশিয়ান/প্যাসিফিক/আমেরিকান…

আরো পড়ুন

খুঁজে চলি। রুণা বিশ্বাস তোমার প্রথম খোঁপায় গুঁজে দেওয়া গোলাপের সুবাস আজও ছড়িয়ে রয়েছে সারা ঘরময় । আজও অমৃতময় পরশ অনুভূত হয় তোমার সমগ্র স্মৃতির আলাপন জুড়ে- লক্ষ কোটি মানুষের ভিড়ে খুঁজে চলি তবু পাই না পায়ের চিহ্ন! বিনিদ্র রাত কেটে যায়- তোমারই অপেক্ষায়। বিস্তীর্ণ সুনীল আকাশে অপলক চেয়ে থাকি সারাক্ষন খুঁজি তোমাকে। অনুভব করি বাতাসের স্পর্শে। সূর্যাস্তের রক্তিম আলোক রেখায় খুঁজি বৃষ্টির ফোঁটায় কখনো ঘাসের শিশির বিন্দুতে তোমাকে খুঁজে চলি। দুর্ভেদ্য অন্ধকারে হাতড়ে বেড়াই তোমার অজস্র স্মৃতি। দিগন্ত রেখার ধারে ধারে যেখানে বৃত্তাকারে মিশেছে আকাশের প্রগাঢ় নীলিমা নিস্তরঙ্গ শান্ত দিঘীর ওপারে যেখানে বাসা বেঁধেছে পানকৌড়ির ঝাঁক আমি সেখানেও খুঁজে…

আরো পড়ুন

কষ্টগুলো মাহবুবা ফারুক অবহেলার রোদ বৃষ্টিতে পড়ে থেকে এক সময় পাথর হয়ে গিয়েছে কুড়িয়ে নেয়না কেউ গড়েনা গহনা অথবা কোনো প্রাসাদে ইমারতে লাগেনি কাজে, কোনো আঙ্গুলের জন্যে নির্ধারিত হয়না ভাগ্য ফিরানোর দায় নিয়ে, তার কোনো নাম নেই রঙ নেই দামি পাথরের যেমন থাকে। সেই পাথর একদিন তৈরি করে দিল মানুষ চেনার পথ। এই পথ ধরে যেতে যেতে দেখি মুছে গেছে অনেকের পায়ের ছাপ এত এত চেনা নাম ধরে ডাকি এত এত মুখ মনে করে খুঁজি কাউকে দেখিনা কেউ নেই পথের কোথাও, পাথরের কেউ থাকেনা শুধু চেনার চোখ ছাড়া। আর কষ্টের বুক ছাড়া।

আরো পড়ুন