তুমি আসবে ভেবে। তানভীর আজীমি প্রতিদিন সাজিয়ে রাখি ফুলগুলো মনের ফুলদানীতে, এমনি ভাবে, তুমি আসবে ভেবে, কতো বাহারি ফুলের সমারোহ, কতো তাদের সুঘ্রাণ, এমনি ভাবে, তুমি আসবে ভেবে, আমার স্বপ্নের পালক রেখে দিই শিয়রে,তোমার আশায়, এমনি ভাবে, তুমি আসবে ভেবে, ফুলে ফুলে ছেঁয়ে যায় আমার উদাসীন আকাশ, ভুবন, তুমি আসবে ভেবে এমনি ভাবে, আমি নির্বাণ হয়ে উঠি বিশ্বাসে,তোমার বিশ্বস্ত অন্তরে, তুমি আসবে ভেবে এমনই ভাবে, ভালোবাসায় বিলীন হবো, দিবো প্রণয়ে ভরা অভিলাষ, তুমি আসবে ভেবে এমনই ভাবে, আমি অনুরণিত হই এক সুখের দহনে একাকী আনমনে, তুমি আসবে ভেবে এমনি ভাবে, কতো ভেবেছি তোমায়, আপন করে জেনেছে এ’হৃদয়, তুমি আসবে ভেবে…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
আমি এখন অনেক ক্ষমতাশালী। সাজেদা পারভীন। কে বলে এই জীবন নেয়ার মালিক কেবল আল্লাহ? তোমরা কি জানো এখন আমার কত ক্ষমতা? ইচ্ছে করলেই টর্চার সেলে নিয়ে আমি নিয়ে নিতে পারি একটি জীবন। যে কোন অপকর্মই আমি করতে পারি, গড়তে পারি টাকার পাহাড়, পিষে ফেলতে পারি সব নিয়মকে, দেখাতে পারি দানবীয় আকার !! সকল সম্ভ্রম লুটতে পারি শিশু থেকে বৃদ্ধার, আমি অসুর হয়ে গেছি আমাকে ফেরায় সাধ্য কার?? সমাজের সব দূর্নীতি আমি গিলে খেতে পারি, ক্যাসিনোর আড়ালে ভালোই চলে ব্যবসায় নারী।। টক শোতে টক ঝাল মিশ্রিত কথা বলি, আমি যে সবার উপরে মাঝে মাঝে তা জানান দিয়ে চলি।। প্রতিষ্ঠানের সর্বোচ্চ আসনটিতে…
সৈয়দা রুখসানা জামান শানুর গল্পের বইয়ের আলোচনা: মো.নজরুল ইসলাম। হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতিরজনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে নিয়ে শিশু-কিশোর উপযোগী রচনা নিত্যান্তই কম নয় । তবে এর মধ্যে প্রতিশ্রুতিশীল কবি-লেখক, সাংবাদিক, সাহিত্য-গবেষক সৈয়দা রুখসানা জামান শানুর রচিত ‘মহানায়ক মুজিব ভাইয়ের গল্প’ বইটি ব্যতিক্রম। বিষয়বস্তুর উপস্হাপনায় ভিন্নতা, চমৎকার পৃষ্ঠা সজ্জা ও বর্ণিল একাধিক দূর্লভ আলোক চিত্রের সংযোজনের ফলে বইটি ব্যাপক পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছে। সাধারণত শিশু-কিশোরা ইতিহাসের বই পড়ার চাইতে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে গল্পের বই পড়তে। রুখসানা জামান শানু’র বইটি ইতিহাসনির্ভর হলেও এটিকে নানন্দনিকতায় সাজিয়ে গল্পের মত করে শিশু-কিশোরদের পাঠ উপযোগী করে লেখা হয়েছে। বইটি প্রকাশ করেছে মৃদুল প্রকাশন। গত অমর…
আমার বাংলাদেশ। (লিজা চৌধুরী) আমার কাছে বাংলাদেশ মানে, চির পুরাতনে চির নতুন জীবন। ঠিক শিশুকালে মায়ের মিষ্টি চাপা স্বরে ঘুম পাড়ানি গানের মতন। ভোরের কোমল রাঙ্গা আকাশ, কিচিরমিচির পাখি ডাকা সকালের এক কিঙ্কিণী সুর। মায়ের কাছে আহ্লাদি বায়না ধরে স্কুলে যাবোনা বলে, শীতের নরম কুয়াশায় স্বপনে চলে যাই দূর বহুদূর। বাংলাদেশ আমার কাছে বরাবরই এক বিস্ময় নতুন খাতায় নতুন করে জানা নতুন অজানা পরিচয়। মেধার বিকাশে নামী ইংরেজি স্কুলে নাম লিখিয়ে তাতে প্রথম শ্রেণীতে প্রথম স্হান অধিকার করেও, শিক্ষা ও সংস্কৃতির সঠিক ব্যবহার করছিনা ভেবে আমার শঙ্কিত বাবার বাংলা মাধ্যম স্কুলেপড়া নিয়ে ছিল তোড়জোড়। বাংলাদেশ মানে আমার মায়ের সার্বক্ষণিক কড়ানজর,…
গুণান্বিত মিনু আহমেদ। রূপের বড়াই করো না রূপ দিয়ে কী হয়! কর্মের মাঝে বেঁচে রবে তোমার পরিচয়। অহংকারী বদনখানি একদিন ক্ষয়ে যাবে। মুখের কথার মূল্য তুমি কভু নাহি পাবে। তুষ-আগুনে পুড়ে পুড়ে যখন ছাই হবে। তোমার পাশে আপন-স্বজন নাহি আর রবে! হাসনাহেনার গন্ধে মাতাল স্বর্গপুরের রানি। গোলাপ ফুলে পাগল-প্রেমিক আমরা সবে জানি। রূপে–গুণে গুণান্বিত হও গো যদি তুমি। সর্বকালে সর্বলোকের পাবে সালাম চুমি! কবিতাটি জন্ম তারিখ:- ২০/১১/২১ইং.
পরিবর্তন বিষয়ক পুনরুদ্ধার: ফকির ইলিয়াস। আমাকে উপেক্ষা করে শিশিরগুলো উড়ে গেল আকাশে। তারপর তারা গড়ে তুললো যে বাষ্পসমাজ, আমন্ত্রণ করলো আমাকেও- মিশে যেতে সে সমাজে। আমি সমাজ পরিবর্তনের চতুর্থপাঠ পুনরায় বিবেচনা করতে আরম্ভ করলাম। এমন বিবেচনা আমি এর আগেও বহুবার করেছি। ঝাড়বাতির সৌরভ দেখে লিখেছি গল্পের পেছনের গল্প। আর শীতবিরোধী বিকেলের ছায়ায় দাঁড়িয়ে পড়েছি যুদ্ধকালীন সময়ের অখণ্ড কবিতা। একটি কুয়াশা সন্ধ্যার পাশ থেকে সরিয়েছি মৃত কার্বন ডাইঅক্সাইড। আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে যে অক্সিজেন কন্যারা অস্থায়ীভাবে থাকতো, তারা দেশান্তরি হবার পর খাটের নীচে ‘সমাজ পরিবর্তন’ বিষয়ক যে নীতিমালা সযত্নে রেখেছিলাম, সেগুলো আমি আবার খুলে দেখলাম আজ। মানুষের আকৃতির মতো কয়েকটি মরা মাছির…
অভিমান। রসিক বাবু ওরফে রিমন সরকার অভিমান বিবেক প্রাণে অবিরত সুখকেই খোঁজে শুনতে চায় তার বাণী কোকিল কন্ঠে সমধুর প্রিয়দের ভুলে অন্যের মাঝে নিরন্তর। কখনো আবেগ লেনাদেনায় খুশির জোয়ারে ভাসায়, সমাজের বিষাক্ত পোকা একাই যেনো সেই দোষী। উস্কোখোস্ক চুলে এলোমেলো হাওয়ায় খেলে মাঝির ধূসর-লাল পাল খোলা গগনে বয়ে যায় সিতারার মেলা অহরহ। অভিমানী ভালবাসার আঙিনায় গেঁথে নাও নিজেকে, নিশি হওয়ার কিছুটা বাকি; যেও না চলে ভোর হোক যখনই।
বুধবার (৮ ডিসেম্বর) বরিশাল মুক্ত দিবসে শহীদ আব্দুর রব সেরেনিয়াবাত স্টেডিয়ামে বরিশাল সিটি করপোরেশনের আয়োজনে সম্প্রীতির আলোয় আলোচিত কনসার্ট-এ গান পরিবেশন করেন নোয়াখালীর মেয়ে ঐশী। কনসার্টে নিজের জনপ্রিয় গানগুলোর পাশাপাশি উপস্থিত দর্শক-শ্রোতাদের অনুরোধের গানও গেয়েছেন তিনি। জন্মদিনে বরিশালবাসীর মাঝে থাকতে পেরে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন ঐশী। ‘ঐশী এক্সপ্রেস’ অ্যালবামের মধ্য দিয়ে ২০১৫ সালে সংগীতাঙ্গনে আনুষ্ঠানিকভাবে পা রাখেন ঐশী। এরপর থেকে দিন যত গেছে এই অঙ্গনে ততই নিজের জায়গা শক্ত করেছেন তিনি। সেরা গায়িকা হিসেবে ঘরে তুলেছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও। সিটি করপোরেশনের উদ্যোগে বরিশাল মুক্ত দিবসে এবারেই বেশ জাঁকজমকপূর্ণ কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়। এ কর্মসূচির বিশেষ আকর্ষণ সম্প্রীতির আলোয় আলোকিত…
অসময়ে বৃষ্টি। দিল আফরোজা রুনা ০৬/১২/২০২১ ইং হেমন্তের এই বেলাতে তুমি কেন এলে হে বৃষ্টি অসময়ে তোমার আগমনী শীতের প্রারম্ভে মানব দেহে কম্পন বাড়িয়ে দিলে। আমার জন্য ভালোই হলো সকালে বেলকনিতে জানালার গ্লাসের গায়ে তোমার ছিটেফোঁটায় মনে আমার পুলক লেগেছিলো তার সাথে গরম চায়ের কাপে চুমুক দিতেই কাব্যে আমার ছন্দ পেলো। দু’দিন ধরে তোমার অবিরাম ঝরে পড়া মনে হয় আবার এসেছে আষাঢ় এই পুরাতন হৃদয়ে আমার পুলক দুলিতেছে ভালোবাসার। এই বৃষ্টির দিনে প্রিয়া তোমায় খুব মনে পড়ে বৃষ্টির মাঝে হাত দিয়ে বৃষ্টি ছোঁয়া সুন্নত তাই তো ছুঁতে চাই তোমায় পাশে রেখে। ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে নিশ্চুপ নগর চারদিক থমকে আছে সবাই ঘরবন্দী…
বিজয় আসে আহমাদ কাউসার বিজয় আসে একাত্তরে রক্তগঙ্গায় ভেসে বিজয় আসে লক্ষ মায়ের করুণ কান্না শেষে। বিজয় আসে লক্ষ জনের অঙ্গহানি করে বিজয় আসে সারি সারি লাশের উপর চড়ে। বিজয় আসে অবুজ শিশুর বুলেট লেগে পেটে গেঁয়ো মেয়ের সুডৌল দেহে পশুর আঁচর কেটে। বাড্ডা, ঢাকা।
