বিজয় মোর আঙিনায় পি. এ. প্রশান্ত রায়; এ যেন কোটি মানুষের প্রেরণা লাখো মানুষের রাতজাগা স্বপ্ন আনতে হবে এক নতুন সকাল জয়ের আলোয় সজ্জিত। হাতে হাত রেখে যুদ্ধে নেমেছে ভুলে গেছে আপন কষ্ট কাঁধে রেখেছে কাঁধ করেছে শত্রুর মোকাবেলা ভেঙেছে হাজারো বাঁধ। লক্ষ মাতা সন্তান হারিয়ে অশ্রুজলে ভিজে আঁচল হননি তবুও দুঁঃখে কাতর যুদ্ধের নেশায় জাগিয়েছে তাদের পিছু হতে করেছে বারণ। আদরের শান্ত ছেলে লড়তে শিখেছে অস্ত্র হাতে ছুড়তে জেনেছে ছাত্র, শিক্ষক, কৃষক সবাই করেনি জীবনের মায়া লাফিয়ে পড়েছে যখন তখন যেথায় পাক হানাদারের ছায়া। সকল জাতি ছিল ভাই-ভাই যেথায় নেমেছে রাত কি ঠাণ্ডা, কি বৃষ্টি বন্য, অরণ্যে এনেছে প্রভাত।…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
এবার কনসার্টে লণ্ডন যাচ্ছে বর্ণ। নিউইয়র্কের সংগীতশিল্পী ও সঞ্চালক Alia Ferdosi ”র ছোট ছেলে আমেরিকার মূলধারার তরুন কণ্ঠশিল্পী lalon Shoeb Borno. (Lalon Circle) আমেরিকার গন্ডি পেরিয়ে এবার কনসার্টে যাচ্ছে লন্ডনে। নিউইয়র্ক সময় আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় জে এফ কে এয়ার পোর্ট থেকে লন্ডনের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেন। অনিক, নিবির ও বর্ণ ৩ কন্ঠশিল্পী দু’ সপ্তাহের প্রোগ্রামে গেছে। লণ্ডন ও ফ্রান্সের কয়েকটি ইয়াং কনসার্টে অংশগ্রহণ শেষে আগামী ১৫ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে ফেরার কথা রয়েছে। আমেরিকায় জন্ম নেয়া বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত তিনি তরুন কন্ঠশিল্পী অনিক, নিবির ও বর্ণ’র বিবিসিসহ লন্ডনের কয়েকটি মিডিয়ায় স্বাক্ষাত দেয়ার সূচীও রয়েছে। মায়ের হাতে খড়িতে কন্ঠ মিলিয়ে বেড়ে উঠা আজকের Lalon circle…
বক্ষ বেদন। সৈয়দা শাহানাজ পারভীন কেউ জানে না অন্তরকথা শুরু হতে শেষ পর্যন্ত যা রয়েছে হৃদয়ে গাঁথা, এ নয়তে শুধুই অপ্রাপ্তি -বঞ্চনার করুণ ক্রন্দন। এ তো মানবীয় সত্ত্বা বিকাশের আকুল আবেদন, রক্তাক্ত জখমে জর্জরিত কোমল এ প্রাণ। কেউ জানে না অন্তরকথা পাষাণ প্রাচীরে বন্দী হতে ছুটে আসার কতো চেষ্টা, অনিদ্রিত বারিসের বিন্দু বিন্দু জল শুধুই কষ্টছোঁয়া! তীরের জমিনে পদচিহ্নে জমে থাকা যতো সব কথা দূর বেলাভূমি ডেউয়ে ভাসিয়ে দেয় নিত্য ব্যথা। কেউ জানে না অন্তরকথা নির্লিপ্ত আঁখি যুগলে বিজয়ী স্বপ্নেরা করে বৈঠক, পুরস্কৃত পুষ্পমাল্য গ্রহনে নত মাথার মূল্য শত কোটি বীরদর্পে ছুটে চলা চন্দ্র কখনো কখনো কালিমায় মলিন, ধরার বুকে…
অনুভবে বাংলা। আজিজুন নাহার আঁখি দেখিনি ৫২ এর ভাষা আন্দোলন ভাষার জন্যে যুদ্ধে যাইনি এগিয়ে, দেখিনি ৬৯ এর গণ অভ্যূথান আন্দোলনে হাঁটিনি রাজপথ দিয়ে, কারণ তখন জন্মাইনি আমি, তবু মনে হয় ছিলাম সবখানে। শুনিনি ৭ই মার্চের উত্তাল ভাষণ জীবন বাজি রেখে করিনি মুক্তিযুদ্ধ, ২৫শে মার্চে হায়েনাদের ধারালো ছোবলে সব হারিয়ে হতে পারিনি স্তব্ধ, কারণ তখন জন্মাইনি আমি, তবু মনে হয় ছিলাম সবখানে। ২৬শে মার্চের স্বাধীনতার ঘোষণা শুনিনি আমি নিজ কানে, কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে সবার সাথে যুদ্ধ জয়ে যাইনি সম্মুখ পানে, কারণ তখন জন্মাইনি আমি, তবু মনে হয় ছিলাম সবখানে। দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের সব তাণ্ডবলীলা আর যন্ত্রণায় হইনি কাতর,…
রক্তেভেজা কংক্রিট। রতন চন্দ্র রায় দিনের আলোতে ঘুরে যারা ভদ্রতার মুখোশ পরে আঁধারে তারাই আবার হিংস্র পশুর রূপ ধারণ করে। চিল শকুন এর মত ছিঁড়ে খায় অসহায় মানুষের মাংস পিণ্ড ভোরের আলোতে পত্রিকা হাতে নিয়ে তারাই আবার করে মন্তব্য। একবিন্দু সুখের জন্য অসহায় মানুষের জীবন করে ধ্বংস। ফুটপাতে পড়ে থাকা বিবস্ত্র দেহ মনে করিয়ে দেয়, পশুদের মুখ কংক্রিটের শহরে এই শহরের অলিগলিতে নাম-না-জানা কত মুকুল ঝরে প্রতিনিয়ত…. তবুও জীবন চলে নিরাপদ আশ্রয়ের খোঁজে রাতের শিশুটার বুক ছিড়ে রক্তঝরে ফুটপাতে। মানুষের মতো দেখতে অমানুষের দল…. ভোরের আলোতে দেখা যায় ফুটপাতে লেগে থাকা অসহায় শিশুর রক্তেভেজা কংক্রিট।
হেমন্ত কন্যার সুখ ড.এস.এ.তালুকদার ১১/১২/২১ হেমন্তের শিশির ভেজা শীতে শিরশির বাতাস মৃদুমন্দ স্রোতে পরিযায়ী পাখি আনন্দ খোঁজে। আবালবৃদ্ধবনিতা যেমন রোদে বসে মুড়ি ক্ষীরের স্বাদ পেতে। রৌদ্রোজ্জ্বল বিস্তৃত কৃষি মাঠে ধানের শীষে সোনা ঝরে কৃষকের মনে স্বপ্ন ফলে শুকনো ঠোঁটে হাসি ফোঁটে। থোকা থোকা শিম ফুলে ভ্রমর বিহার করে গুণগুণিয়ে কৃষক বধূর নাকের নোলক লকলকে লাউ শাকের ডগায় শিশির বিন্দুর মতো দোলে। পেঁয়াজ গাছের তীক্ষ্ণ ডগায় সূর্য হাসে শিশির ফোঁটায় এক শাড়িতে প্যাঁচানো শরীরে উদ্ভিন্নযৌবনা রূপসী কৃষক বধূ সাত সকালে সবজি ক্ষেতে সুখানুভবে মনোমুগ্ধকর চিত্র আঁকে। গোবরে লেপা তৈরী চাতালে প্রত্যুষে সিদ্ধ ধান বিছিয়ে লাউ দিয়ে শোল মাছ পিঠা পায়েস পুরি…
নিজের কাছে জবাবদিহি অহনা নাসরিন সূর্য ডুবে যাওয়ার মতো কিছু কথাও হারিয়ে যায় কথা কি আর জমিয়ে রাখা যায়! অনেক কথা বলার থাকে, গোপন কথা আপন কথা এমনকি প্রেমের কথা কথার পিছে কথা গেঁথে মালা গাঁথা কি সহজ কথা! রোজ কথা বলা যার স্বভাব সে কি আর কথা জমাতে পারে? ‘তুমি বললে কথা বলে কি হবে? সপ্তাহে একদিন- আয়েশ করে আমরা কথা বলবো।’ সপ্তাহকে দিন-ক্ষণ দিয়ে ভাগ করে খুব কাছে নিয়ে যাই মনকে সান্ত্বনা দেই- আহা আর কিছুক্ষণ; সময় আসে সময় যায়। হায় জমানো কথারা যেন কোথায় হারিয়ে যায়। একদিন আমিও কথার মতো হারিয়ে যাবো, সেদিন কিছুটা হলেও অনুতাপে পোড়বে…
সীতা সংহিতা মুহম্মদ নূরুল হুদা ১ নিমতিতা আর নিশিন্দা তিতা বুকে ধরে সীতার হরণ শুরু বিমানব রাবণের ঘরে। সীতা, তুমি না বনের, না রাজপ্রাসাদের; চিরকাল রাণী তুমি মনোসাম্রাজ্যের। না, তোমাকে নিয়ে যুদ্ধটাও নয় শুধু আমাদের। ২ গুলঞ্চ লতার বুক শুঁকে শুঁকে সীতা নিজেই নিজের ঘরে যদি অপহৃতা পাখিরা সন্ত্রস্ত চোখে মুখ তুলে চায় হানাদার বাহিনীর চোখ ঠুকরে খায় ভেষজের পাহারায় সীতা নবনীতা ৩ পঞ্চবট পঞ্চবৃক্ষ স্তম্ভ পঞ্চদিক অনন্ত অতন্দ্র তারা বনে দশদিক মাঝখানে সুরক্ষিত বেদী বারোহাত পঞ্চবটী বনে নামে ত্রিলোক-প্রপাত সতীত্ব সতীর অস্ত্র, সতীত্ব করাত ৪ নয় নির্বাসন, এই বন পুণ্যবতী সতীর আশ্রম; অশ্বত্থ সটান পুবে, পশ্চিমেও বট সমাগম; উত্তরে…
নতুন পথের সন্ধানে। ডাঃ গোলাম রহমান ব্রাইট ১০/১২/২০২১ খ্রিঃ অশ্রু টলটল অলক্ষ্যের অনল অন্তঃপুরেই দিচ্ছে হানা রক্তরাগে রঞ্জিত মূর্তমান ব্যকুলতায় চিত্ত বদন খানা নিদারুণ প্রহসনে চরম উন্মাদনা ক্রমাগত করে বাহানা অভিলাষী মন দেবো বিসর্জন অনুপ্রান্তে এসে দোটানা। তপোবন জর্জরিত অজস্র করাঘাতে ধূম্রের কুণ্ডলী চোখে সময়ের সন্ধিক্ষণে উন্মত্ত অভিষেকে ভগ্ন কুঞ্জও শোকে। দীপ্যমান সুধাকরের অস্পৃশ্য হাসি নির্ঘুম চোখে ভাসে অবাঞ্ছিত মেঘমালা নৈঃশব্দের তরঙ্গে বিদ্রুপ করে হাসে প্রলম্বিত ভগ্নাংশের নিঃশর্ত সমর্পণে আদি নৈবেদ্য হয় অমোঘ সান্নিধ্যে অমৃত রস-আস্বাদন দ্বিধা দুর্লঙ্ঘ্য নয়। অসাধ্য সাধনে অহেতুক বৈরিতায় বিপ্রতীপ ক্রিয়া নাই দুর্ভেদ্য প্রাচীরে আবদ্ধ যে অভিযান! ধৃষ্টতা হবেই ছাই। অর্বাচীনের মতোই নির্ভেজাল চিন্তায় ক্রমশ মগ্ন…
৮৪ তম জন্মদিনে মুস্তাফা জামান আব্বাসীকে নিয়ে লিখেছেন। সালেম সুলেরী। কন্ঠকর্মা মুস্তাফা জামান আব্বাসীর প্রিয়দিন জন্মদিন ০৮ ডিসেম্বর। ২০২১-এ ৮৪ বছরে পদার্পণ। গান-লেখা-সংগঠন-সফর আর মহান সৃষ্টিকর্তার গুণকীর্তন। বয়েস বাড়লেও তারুণ্য যেন আজীবনের লালিত সম্পদ। কণ্ঠে আড়ষ্ঠতাও প্রশ্রয় পায়নি। যেন চিরদরাজ, প্রবাহবান, প্রসারমান। পিতা কিংবদন্তী কণ্ঠশিল্পী আব্বাসউদ্দীন আহমদ। মা বিশিষ্ট কবি লুৎফুন্নেসা আব্বাস। সহোদর বিচারক মোস্তফা কামাল ছিলেন প্রধান বিচারপতি। সহোদরা ফেরদৌসী রহমান দেশের শীর্ষ কণ্ঠশিল্পী। স্ত্রী আসমা আব্বাসী লেখিকা, রাষ্ট্রপতি পদকপ্রাপ্ত শিক্ষিকা। কন্যাদ্বয় সামিরা আব্বাসী, শারমিনী আব্বাসীও গুণপনায় সুপরিচিত। মুস্তাফা জামান আব্বাসী অর্ধশত গ্রন্থের লেখকও। ইন্ডিপেন্ডেন্ট ইউনিভার্সিটিতে ‘নজরুল-আব্বাস সেন্টার’-এর প্রবক্তা। ব্যক্তিগতভাবে আমার বড়ো ফুপুর সুপ্রিয় সন্তান। অনেক না-বলা কথার আড়ৎ…
