আবু তাহের সভাপতি, মনোয়ার সম্পাদক নির্বাচিত: নিউইয়র্ক-বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের সদ্য সমাপ্ত নির্বাচনে আগামী দুই বছরের জন্য অর্থাৎ ২০২২-২০২৩ সেশনের কার্যনির্বাহী কমিটি গঠিত হয়েছে। এতে বিপুল ভোটে সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা সম্পাদক ও টাইম টেলিভিশন-এর সিইও আবু তাহের সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন। আর সাপ্তাহিক আজকাল-এর বিশেষ প্রতিনিধি মনোয়ারুল ইসলাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পুনরায় সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। বার্তা সংস্থা ইউএনএ’র খবরে বলা হয়, জ্যাকসন হাইটসের নবান্ন পার্টি হলে শনিবার স্থানীয় সময় দুপুরে সাধারণ সভা শেষে ভোটাভুটি হয়। এতে সাবেক সভাপতি এবং সাপ্তাহিক দেশবাংলা/বাংলা টাইমস সম্পাদক ডা. সারোয়ারুল হাসান চৌধুরীকে পরাজিত করে কার্যকরী পরিষদের সভাপতি পদে আবু তাহের জয়ী হয়েছেন। সহ সভাপতি পদে শেখ সিরাজুল…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
মেঘদল। (হোসনে আরা জেমী) আমি সেই রাতে ছিলাম পাশাপাশি অচেনা মানুষের ভীড়ে নক্ষত্রের দিকে চেয়ে দেখছি আশ্চর্য মেঘদল, তারায় খচিত নীল আকাশ সারি সারি দেবদারু ছাঁয়ায় লুকিয়ে থাকা জোছনার লুকোচুরি। স্বপ্নভাসে জীবনের পথে স্মৃতির আল ধরে মনে পড়ে সেই, ভাঙনের শব্দ, ঘড়ির টিকটক, না পাওয়া আক্ষেপে নিজের কাছে হেরে যাওয়া! ইচ্ছেরাও অনিচ্ছায় চেয়ে থাকে দূরে সরল রৈখিক বিভেদের টানাপোড়নে মিশে থাকে চিরোচেনা ধারাপাতে অনিয়মগুলো নিয়মের অংক কষে শরীর অবশ করে ঘুনপোকায় চিৎকার উঠে নিউরনে বাঁচার ধানসিঁড়ি, ঘাসফুল, ফড়িং কাচপোকা ভালোবেসে। ______________ জেমী/টরন্টো/কানাডা; ০৯ ডিসেম্বার ২০২১
প্রথম আলো নর্থ আমেরিকার উদ্যোগে নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটস-এর নবান্ন রেষ্টুরেন্টের পার্টি হলে ডিসেম্বর আড্ডা অনুষ্ঠিত হলো (09-12-2021): প্রথম আলো সংবাদ মাধ্যম হিসাবে সব ধরনের বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে মর্যাদার স্থান করে নিতে সক্ষম হয়েছে। বাঙালী জানে প্রথম আলো বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ ‘গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠান’, যা সত্যি সত্যি আমাদের সবার জন্য গর্বের বিষয়। মুক্তিযোদ্ধা, গীতিকার,কবি, সাংবাদিক, লেখক, পাঠকদের নিয়ে ১৬ ডিসেম্বর উপলক্ষ্যে জ্যাকসন হাইটস নবান্ন রেসষ্টুরেন্ট এ ডিসেম্বরের আড্ডা অনুষ্ঠিত হয়। দেশের বাইরে থাকার কারনে দেশ কে যারা মিস করে তাদের জন্য প্রথম আলো প্রতি বৃহস্পিতি একটি আড্ডার আয়োজন করে। প্রথম আলোর এ বন্ধুসভা বিভিন্ন সময়ে দেশের তরুণ সমাজের মধ্যে নেতৃস্থানীয় গুণাবলি সৃষ্টিতেও…
মোস্তফা অভি’র বেড়ালের কোয়ারেন্টাইন বইয়ের আলোচনা করেছেন, ইসরাত জাহান। বইয়ের নাম: বেড়ালের কোয়ারেন্টাইন। লেখক: মোস্তফা অভি। আলোচনায়: ইসরাত জাহান মোস্তফা অভি সুলেখক। যদ্দুর জানি, পাঠক হিসেবেও তিনি রুচিশীল। আকস্মিকভাবে একদিন তার একটি লেখায় চোখ আটকে যায়। লেখক অনুবাদক ফারুক মঈনউদ্দীনের লেখা “হেমিংওয়ের নারীরা” বইটির আলোচনা পড়েছিলাম আলোচিত ওয়েবজিন শ্রী তে। কী দুর্দান্ত লেখা! একজন নোবেলজয়ী লেখকের জীবনে ঘটে যাওয়া চিত্রগুলো যেন মোস্তফা অভির আলোচনায় দেখছি। সেই থেকে মোস্তফা অভির লেখা পড়ছি আর সমৃদ্ধ হচ্ছি। জানা যায় ইতোঃপূর্বে লেখককের দুটো গল্পের বই বেরিয়েছে কিন্তু তা পড়া হয়নি। তবে পত্রিকা সুবাদে তার দুটো গল্প পড়ে সত্যিই মুগ্ধ হয়েছি। কাব্যশীলনে প্রকাশিত গল্পঃ সিলেকোসিস…
হৃদয়ে মুজিব আমার (কামরুন নাহার) বিজয়ের আনন্দে তুমি এসেছিলে আশার আলো হয়ে কোটি প্রাণের হৃদয়ে রবে আজীবন। মুজিব তোমার ভালোবাসায় আবহমান আমি সিক্ত আমি রিক্ত তোমার বজ্রকন্ঠের প্রতিবাদ। গরিব দুঃখী জনতার হৃদয়ে গাঁথা তোমারি প্রতিচ্ছবি তুমি বিহনে আজও সবাই দিশেহারা। মুজিব আমার স্বাধীনতার স্বপ্নজাল, তুমি আজও মনের ভেতর লুকায়িত, ভালো লাগে তোমায়। সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে তুমি ছিলে একটি প্রত্যয়, তোমাকে সত্যি সত্যিই হৃদয়ে রেখেছি। বারবার জেগেউঠে তোমার সেই বজ্রকণ্ঠে ভাষণের ইতিহাস ঐতিহ্য সম্বলিত নানান আশার প্রদীপ। আজও তুমি অমর,ভুলবো না তোমায় মুজিব তুমি জনতার সংগ্রামের এক শক্তি। প্রধান শিক্ষক মানিকগঞ্জ সদর
সুখের ছোঁয়া। (শাহনাজ পারভীন) বৃষ্টি এলেই আমি ছুটে যাই দখিণা ঝুল বারান্দায় সারি সারি স্তরে লাগানো গোলাপ, টগর জুঁই,বেলির সমাহারে, মানিপ্লান্টের ঝুলন্ত ডাল বৃষ্টি ছুঁয়ে চুয়ে পড়ে আদুল অঙ্গুলিতে রিমঝিম নূপুরের ছন্দে বেজে উঠে আমার পরিযায়ী মন সমস্ত ধুলো ধুয়ে আরো সতেজ হতে থাকে দেহাংশ; অনিলের অবাধ্যতায় দোল খায় কচি ডগায় ফোটা সৌরভ কেঁপে উঠে ওষ্ঠাধর ! শীতের আমেজ মৃদুপায়ে এগুতে থাকে আরো কাছে নিবিড়ভাবে জড়াতে চায় আমার প্রতিটি লোমকূপে আমি লাজেভরা চোখ ঢেকে পিছু ফিরে বলি নাহ্! আর বোধহয় এখানে থাকা ঠিক হবে না কিরণমালী আসার আগেই আমার পালাতে হবে। দরজা জানলা বন্ধ করে নরম বালিশে গা এলিয়ে দেই…
নতুন ফাগুন। (মোঃ মাইদুল ইসলাম) আসবে চমক তুমি দাঁড়িয়ে থেকো না যতই থাকুক বাহাদুরি ধোপে টিকবে না, আকাশে ফাটল ধরেছে, মেঘেরাও জোট বেধেছে বন্ধ হবে কবে খেলা কানামাছি? ঐদিকে উত্তপ্ত দখিনা সাগর নিবেনা নতুন রক্তাক্ত জল,কোথায় দিবে কবর? হাওয়ারা বয় না আগের মতন অপেক্ষায় আছে কবে আসবে ফাগুন। রংধনুর রংয়ে মিটে না চোখের তৃষ্ণা নতুন সুর আসে না বাঁশিতে, কতকাল চলবে দোষাদোষী জাগবে কি ঘুমানো এই জাতি? কোলাহল কলরব বন্ধ অনেকদিন নাটের গুরু দেখি শুধু একজন, সাইক্লোন হবে মিষ্টি বাতাস ও বইবে আমি তুমি কবে, এক কাতারে বসবো? স্বপ্ন দেখি ঊষালগ্নে শেষ হবে খেলা আশা করি দূর হবে কাঁটাযুক্ত বেলা,…
দুই হাজার কবিতা আবৃত্তি প্রকাশের রেকর্ড। অনুষ্ঠিত হয়ে গেল বাংলাদেশের জনপ্রিয় আবৃত্তি শিল্পী, আবৃত্তির রানী ফাতেমা সুলতানা সুমির কন্ঠে ভয়েস মাল্টিমিডিয়া থেকে দুই হাজার কবিতা আবৃত্তি প্রকাশ উপলক্ষে অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা অনুষ্ঠান। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জনপ্রিয় অভিনেতা ও কবি এবিএম সোহেল রশীদ, কবি ও ছড়াকার আতিক হেলাল, কবি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম শেখ, কবি ও উপস্থাপিকা ইভা আলমাস, কবি ও গীতিকার রহিমা আক্তার রীমা, কবি ও আবৃত্তিকার নুরতাজ, জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী সারোয়ার মাহিন, জনপ্রিয় মিউজিক ডিরেক্টর ও শিল্পী জি এম আজহার সহ আরো অনেকে। সভাপতিত্ব করেন ভয়েস মাল্টিমিডিয়ার প্রধান উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন তোতো মোল্লা। সার্বিক ব্যবস্থাপনা ও…
শীতের প্লাবন (ফয়জুর রহমান) ১০/১২/২০২১ মুখের কথার ক’জন হিসেব রাখে কালের করাল হারায় পথের বাঁকে। দিনের পোশাক সাঁঝের নিকষ কালো সাদায় কালোয় অনেক লিখন হলো। সেই কবেকার ভাসান চাঁদের তিথি বুকের ভিতর ঘুমোয় পাগল হাতি। নিঝুম প্রণয় ছাতিম পাতায় ঝরে মেঘের তড়িত কাঁপায় রাত দুপুরে। যায়-যায় দিন আপন কথার স্রোতে শীতের প্লাবন পোষের কাছের ক্ষেতে। যায় নিদারুণ পুরনো কালের বাণী শীতের ভীষণ সহায়-হীনের হানি। মানবজমিন শীতের প্লাবন দেশে হায় অসহায় শোকের ফসল ভাসে। কোথায় সে ঘর গভীর হৃদয় রাখে রোদের কিরণ গরিব ঘরের ফাঁকে। London/UK; লন্ডন / যুক্তরাজ্য
যাযাবরের মর্মসঙ্গীত মূল: রাইনার মারিয়া রিলকে ভাষান্তর : রওশন হাসান শীত কিংবা গ্রীষ্মে এবাড়ি ওবাড়ি ঘুরে ফিরি কখনও কখনও আমার ডান কানটিকে আমার ডান হাতের তালুর ওপর রেখে জিরিয়ে নিই এবং আমার নিজস্ব স্বরও যেন অচেনা মনে হয় আমি যেন নিজের কাছেই নিজেই এক আগন্তুক l আমি নিশ্চিত ঠাহর করতে পারি না আমি নিজেই কি ক্রন্দন করছি নাকি অন্য কেউ ক্রন্দন করছে আমি আমার যৎসামান্য অস্তিত্বের জন্যই হয়ত ক্রন্দন করছি কবিরা অস্তিত্বের জন্য আরও বেশি ক্রন্দন করে l অবশেষে আমি আমার মুখটিকে লুকিয়ে চোখ দু’টো হাত দিয়ে ঢেকে ফেলি আমার হাতে ভর করে সমস্ত ওজন যেন মনে হয় আমি আশ্রয়…
