প্রিয় কবিতা ছোবল। অসীম সাহা। গোখরোর ফণা ছোবল মেরেছে ছড়িয়ে পড়ছে বিষ দুই কোটি বুক জ্বলছে, পুড়ছে, লু-হাওয়ার কিশমিশ মাথার ভেতরে পাথরের মতো বিঁধছে অহর্নিশ গোখরোর ফণা ছোবল মেরেছে ছড়িয়ে পড়ছে বিষ ষোলো বসন্ত একটি বাগানে ফুটেছিলো নানা ফুল শিকড় উপড়ে ভেঙেচুরে তারে বাধালো হুলুস্থুল দাঁত ও নখের হিংস্র আচড়ে বিক্ষত নার্গিস আগুনের তাপে মাথার ভেতরে উঠছে প্রবল শীষ গোখরোর ফণা ছোবল মেরেছে ছড়িয়ে পড়ছে বিষ। দুই কোটি বুক পায় না শাস্তি কৃত্রিম কার্নিশে বুকের ভেতর জ্বলছে-পুড়ছে গোখরোর নীল বিষে। বদ্ধ ঘরের কার্নিশ হ’তে বাগানের এলোচুলে হৃদয় চাইছে হৃদয়ের মতো শান্তির দ্বার খুলে দাঁড়াতে আবার উদ্ধৃত হাতে দুরন্ত একিলিস গোখরোর…
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
অলসতা (তরু তালুকদার) ১১/১২/২০২১ কাল করবে বলে কাজটি রেখে দিলে আজ, কালকে করা হবে নাতো তোমার সেই কাজ। আজকের কাজ অলসতায় রেখে দিলে কেনো? আগামীতে আরো কাজ জমা হবে জেনো। রেখে দেয়া কাজগুলো তাই বাড়বে দিনে দিনে, বিন্দুর জল সাগর হবে তোমায় নাহি চিনে। পাহাড় সম হবে তোমার জমে রাখা সব কাজ, করতে গিয়ে বুঝবে তখন মাথায় পড়বে বাজ। তোমার কাজের সাথী ছিলেন এতোদিন যারা, কাজের মাঝে এগিয়ে গেছেন এখন নেই তারা। দশের মাঝে আছে যা — তোমার মাঝেও তা, পিছিয়ে যাওয়ার কারণ হচ্ছে — তোমার অলসতা। সময়ের কাজ সময়েই করো — ঠেকবে না কোনোদিন, সকল কাজেই সুফল পাবে, হবে…
অধিশ্রয় (রওশন হাসান) সবটুকু অনুভব নিঙরে বৈরাগ্য এ রুপ যতদূর চোখ যায় অকূল সরোদের এলিজি স্পর্শসুখে উইন্ড চাইম নেচে ওঠে টুংটাং এ বেদরদী হাওয়ার ঝোঁক গুমরে ওঠা পরিতাপ বিরামহীন শূন্যতা l প্রস্তরে মোড়ানো দেয়ালের বসতবাড়ি l আকাশ পেরিয়ে শরীরী ভ্রমণ। হৃদয়ের গ্রন্থি জুড়ে অশান্ত অভিমান কলকল গোপন গুন্জন বেদনার মত আঙুলে বেজে চলে l পাতাদের মর্মরধ্বনি, সন্ন্যাসী নদী আবদ্ধ হলুদের ঘ্রাণ, একদা ছিল অকপট মৌ মৌ বহ্নিমান । সংগুপ্ত বাগানে স্পন্দনহীন লুপ্ত ফুলেদের গান যতটুকু বিসর্জন ততটুকু আমার আশ্রয় অফুরান l লেখক: রওশন হাসান, উত্তর আমেরিকা
চির জাগ্রত স্বাধীনতা। সুরমা খন্দকার। ক্ষুধা আর দারিদ্র্য নিয়ে জন্মেছি এই দেশে, জীবন দিয়ে রক্ষা করলো এইদেশ শহীদরা, মাগো তোমায় ভালোবেসে। ত্রিশ লক্ষ প্রাণ দিলাম, ইজ্জত বেশুমার আকাশ বাতাস কম্পিত মা বোনের হাহাকার বাড়ি ঘর, পশু ফসল সবই হলো ছারখার। রক্তের দাগ মিশে গেছে সারা বাংলায় সোঁদা মাটির গন্ধে রক্তের ঋণ কভু হবে না শোধ মাটির মায়া যাবে না মুছে ঐক্যে শান্তি, ক্ষতি হলো দ্বন্ধে । দেশটা যে ভাই গড়তে হবে বিশ্ব মাঝে মাথা করো উঁচু ধনী-গরিব ভেদাভেদ ভুলে যাবো এগিয়ে থাকব না আর পিছু। লাল সবুজের পতাকায় উত্তাল করা ছন্দে… তুমি চির জাগ্রত স্বাধীনতা কিশোর বেলার মহানন্দে।
মানবেতর (শামীমা আক্তার) মনে শক্তি দেহে বল ওদের সাহায্যে সবাই চল নয়তো কোন আলাপন ওদের জন্য করি পণ আমরা যাবো বারে বারে ঐ হৃদয় গুলোর তারে তারে ভাঙ্গিবো না মোরা কিছুতেই দুঃখীদের দুঃখ রুখবই এ যে মোদের দেহ মোদের প্রাণ বাঁচাতে হবে দেশের সম্মান। মানুষ তো মানুষেরই জন্য রাখবো না কোন দুঃখ দৈন্য বাংলার এই সুন্দর ফুলের বাগান কোন প্রকারেই যাবে না করা অম্লান দুঃখ সুখের দুই ধারায় বহে নদীর জল পাহাড় সমান দুঃখে ছাড়বো নাকো হাল কেন বিভেদ! সকলেই মোরা সমান দেশবাসী বাঁচব হয়ে সবাই আপনজন তোমাদের দুঃখে আমরা দুঃখী এইতো মোদের সান্ত্বনা সবাই মিলে করবো মোরা দুঃখ জয়ের…
কালজয়ী পুরুষ (মোঃ সাইদুল ইসলাম) কিছু মানুষ আছেন কালজয়ী; সকল মানুষের সেরা, কালোত্তীর্ণ মহাপুরুষ, ধরণীর চির স্মরণীয় তাঁরা। এ সকল মানব যুগে যুগে আসেন কদাচিৎ এ ধরায়, নিজেকে উৎসর্গ করেন মানুষের সেবায়। কেহ আসেন শান্তির বার্তা নিয়ে এ জগতের ‘পরে, কেহ রচেন গ্রন্থ, মহাগ্রন্থ, মানবের তরে। কেহ হন দানবীর, আবার কেহবা রণে মহাবীর কেহ করেন আবিস্কার সুন্দর নতুন পৃথিবীর। কেহ গড়েন রাষ্ট্র, কেহ আনেন রাষ্ট্রের স্বাধীনতা, কেহ দেন মুক্তি, ভেঙে দেন শৃংখল পরাধীনতা। কেহ আবার গেয়ে যান মহা সাম্যের গান, মানুষে মানুষে নেই ভেদাভেদ, সবাই সমান। কেহ ঘোষেন মহাসমাবেশে মুক্তির বাণী, ছুটে আসেন জনতা সেই ডাক শুনি। আমাদের গৌরব, আমাদের…
জন্ম: ১৪ আগস্ট ১৯৪২ মৃত্যু: ১৪ ডিসেম্বর ২০১৮ আমজাদ হোসেন মৃত্যু বার্ষিকীতে বিনম্র শ্রদ্ধা। অভিনেতা, লেখক এবং চলচ্চিত্র পরিচালক। ব্যতিক্রমধর্মী এই চলচ্চিত্র নির্মাতা তার কর্মজীবনে ১২টি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার এবং ৬টি বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেছেন। একুশে পদক পেয়েছেন। সাবিনা ইয়াসমিনের (১৩টি) পর তিনি সর্বাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার বিজয়ী। এছাড়া তিনি প্রথম ব্যক্তি হিসেবে ছয়টি ভিন্ন বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন এবং এক আয়োজনে পাঁচটি বিভাগে (গোলাপী এখন ট্রেনে চলচ্চিত্রের জন্য) জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন। পরবর্তীকালে দ্বিতীয় ব্যক্তি হিসেবে এই দুটি কৃতিত্ব গড়েন গাজী রাকায়েত। এছাড়া সাহিত্য রচনার জন্য তিনি ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে দুইবার অগ্রণী শিশু সাহিত্য পুরস্কার…
দাদুর বাড়ি (এম.আর.মনজু) ১৪.১২.২১ আমার দাদুর বাড়ি ভরা ছিলো অনেক গাছে গোয়াল ভরা গরু ছিলো পুকুর ভরা মাছে। সেই গাছেতে কোকিল,দোয়েল নানান রকম পাখি কুহুকুহু, শীষের সুরে করতো ডাকা ডাকি। আম, কাঁঠাল, জাম, পেয়ারা আর ড্রাগন, মাল্টা,লিচু পেঁকে পেঁকে ঝুলে ছিলো লালচে হয়ে কিছু। গজারি, শাল, সেগুন গাছে বাড়ি ছিলো ভরা আমার চাচায় বিক্রি করায় দেশে হলো খরা। খরার পরে বন্যা এলো হয়নি ক্ষেতে ধান চাচার মতো ভুল করে কেউ আর এনো না বান।
রক্তে ভেজা স্বাধীনতা (রুনা লায়লা) রক্তে ভেজা স্বাধীনতা বুকে ধারণ করি কই লুকালো সোনার মানুষ খুঁজে খুঁজে মরি।। মায়ের বুকটা শূন্যে করে খুনের খেলা করেছে মা মাটি আর দশের জন্যে পণের সাথে লড়েছে।। তাদের কথা মনে হলে মনটা যায় যে ভরি। লাল সবুজের সমারোহে নিশান আজই উড়ে ছেলে হারা মা জননী দুঃখ তাতে মোড়ে।। নবপ্রাণে ঘুরে দাঁড়াও হাতে হাতটা ধরি। কোথায় তোমরা নব জোয়ান রাখো তাদের মান কাঁদে নয়ন ক্ষণে ক্ষণে এই যে মানুষ প্রাণ।। বীর বাঙালী জীবন দিয়ে গেছেন এ দেশ গড়ি।
খুকুমনির জন্মদিন (রেবিন চৌধুরী) আজকে খুকুর জন্মদিন পড়ালেখার ছুটি, উইশ করতে ব্যস্ত খুকুর স্কুলের সহপাঠী। অনেকগুলো গিফট পেয়েছে নয় যে একটি দু’টি, কেকের সাথে বাবা এনেছেন অনেকগুলো কেন্ডি। মা দিয়েছেন বড় গাড়ি চালাবে বাই রোডে, নানু,দাদু মানি দিয়েছেন জমিয়ে রাখছে মুঠে। মামার থেকে পেয়েছে সে হাইস্পিডের স্কুটার, খালামনি কিনে দিয়েছেন কিচেন প্লে-সেট রান্নার। সহপাঠী সবাই আনছে অনেকগুলো ফুল, খুশিতে তাই খুকুমনি নাচে দে-দোল দে-দোল। তা-ধিন তা-ধিন নাচছে সবাই গাইছে সা-রে-গা-মা খুশির বন্যায় ভাসছে খুকু পরে নতুন জামা। আজ সারাদিন হাসিখুশি নেই কোনো বকুনি, মুকুটমাথে সেজেছে যেন পরীর দেশের রাণী। আলোক বাতি জ্বেলে খুকু কাটতে গেল কেক, করতালির ঝড় বয়ে যায়…
