Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

রক্তের স্বার্থকতা। (ইতি মিথিলা) যে বিজয় এসেছে রক্তের দামে, দুর্নীতির অপবিত্র কালি আর পাপাচারের দুর্গন্ধ বালি তার গায়ে কি সাজে? যে মানচিত্র ঘেরা ত্যাগের ফ্রেমে, তার মাঝে ধর্ষকের থাবায় নারী চিৎকার; দোষীদের বেঁচে যাওয়ার অহংকার, প্রাণে কেমন বাজে? যে ভাষা প্রাণের বিনিময়ে, সে ভাষায় পরনিন্দা, মিথ্যা; অপরের নামে কুৎসা, শুনতে কেমন লাগে? যে পতাকা ভাইয়ের রক্তে রাঙানো, ত্যাগের মহিমায় মাখা, তার গায়ে অসৎ আঁচড় পড়লে বিদ্রোহী মন আবার জাগে! এত প্রাণের মূল্যে পাওয়া প্রাণের বাংলাদেশ, যদি হতো পাপ মুক্ত দেখতে লাগতো বেশ। পবিত্র এ মাটির বুক থেকে সব অন্যায় মুছে যাক, এত ত্যাগ আর এত রক্ত স্বার্থকতা পাক।

আরো পড়ুন

কন্যার বাপ সবুর করিতে পারিতেন, কিন্তু বরের বাপ সবুর করিতে চাহিলেন না।  তিনি দেখিলেন, মেয়েটির বিবাহের বয়স পার হইয়া গেছে , কিন্তু আর কিছুদিন গেলে সেটাকে ভদ্র বা অভদ্র কোনো রকমে চাপা দিবার সময়টাও পার হইয়া যাইবে। মেয়ের বয়স অবৈধ রকমে বাড়িয়া গেছে বটে, কিন্তু পণের টাকার আপেক্ষিক গুরুত্ব এখনো তাহার চেয়ে কিঞ্চিৎ উপরে আছে , সেইজন্যই তাড়া। আমি ছিলাম বর, সুতরাং বিবাহসম্বন্ধে আমার মত যাচাই করা অনাবশ্যক ছিল। আমার কাজ আমি করিয়াছি , এফ.এ. পাস করিয়া বৃত্তি পাইয়াছি। তাই প্রজাপতির দুই পক্ষ, কন্যাপক্ষ ও বরপক্ষ, ঘন ঘন বিচলিত হইয়া উঠিল। আমাদের দেশে যে মানুষ একবার বিবাহ করিয়াছে বিবাহ সম্বন্ধে…

আরো পড়ুন

মা (নীলা নিকি) অনেকদিন দেখি না মা-কে মনে হয় এইতো সেদিন মাস, বছর, যুগ পেরিয়ে মনের খাঁচার যন্ত্রণাকে যেমনি পাখি পুষে রাখে চোখের তারায় আকাশ থাকে সেথায় এসে মা যে ডাকে ভালবাসার রাত দিন। কবে যে চলে গেছে ছায়ার মতো পিছে পিছে স্মৃতিগুলো সব মিছে মা আমার হারিয়ে গেছে! নিখোঁজ, নীরব, নিথর হয়ে শোরগোলের লোকালয়ে হিমের পরশ বুলিয়ে দিয়ে দূরে কোথাও যায় মিলিয়ে। মা কি সুদূরের হাতছানি? সুরের মূর্ছনায় শিহরিত বাণী! মা এখন ক্লান্তি আমার স্বপ্ন চিরে তন্দ্রা আনে মনের তাপে আগুন তাতে জ্বালায় শুধু দাউ দাউ ঘাতে পড়াতো যদি দেখতো সবে এমন অনল আছে তবে ভবে ছিন্ন তারে মায়ের…

আরো পড়ুন

নাতনির জন্মদিনে নিবেদিত ছড়া। জন্মদিন শুভজন্মদিন এই দিন সেই দিন, বছর ঘুরে এলো আবার সোফিয়ার শুভ জন্মদিন। তোরই মুখে তোরই চোখে কত যে স্বপ্ন আঁকি, তুই যে আমার হৃদয়ে পোষা ছোট্ট ময়না পাখি। হৃদয় জুড়ে গর্বে ভরা তুই যে সোনামুখ, তোরে বুকে টানি যখন পাই যে স্বর্গসুখ। এলি যখন ফুটলো তখন ফুল যে আমার বাগে, কত যত্ন করি তোরে আদরে সোহাগে। তুই যে আমার ভালোবাসার আশায় প্রদ্বীপ হয়ে, শান্তির আলো জ্বেলে দিলি আমার এই হৃদয়ে। খোদার কাছে যাই যেচে তোরই দীর্ঘায়ু, প্রশস্ত হোক তোর জন্য সৃষ্টির আলো বায়ু। ✑ কলমে- তসলিমা হাসান কানাডা, ০৩-১২-২০২১

আরো পড়ুন

আমি তোমার রাই বিনোদিনী শামীমা নাইস ১৮/ ১২/ ২ ০ ২ ১ তুমি ছায়ার মতো পাশে থাকো কখনো ছন্দ, কখনো কবিতা হয়ে তোমার প্রিয় ফুল হাস্নাহেনার মতো কখনো দূরন্ত ঝর্ণা, নদীর মতো, সাগরের মতো আমাকে কাছে ডাকো; আমি মায়া হরিণীর তৃষ্ণা নিয়ে অপলক দৃষ্টিতে তোমাকে দেখি হৃদয়ে আমার উথাল পাথাল প্রেমময় ছন্দ কাঁপন ! তুমি কৃষ্ণের মতো বাঁশিতে প্রেমের সুর তোলো আমি রাই বিনোদিনী ছুটে যাই তোমার আহবানে ভুলে যাই জগৎ সংসার, পুরোনো অতীত, সব; বুঝে যাই শুধু তুমিই বর্তমান I তোমার ভালোবাসার সোনালি রোদে, আলো ছায়ায় সারাদিন হাসাহাসি, মুঠো মুঠো আদর মাখামাখি কপালে কলংকের দাগ মেখে তোমার হাতে হাত…

আরো পড়ুন

পরিচয়। (মাহবুবা ফারুক) তোমরা বলো, কান্না আমাকে মানায় না আমিও তো জানি আমি হাসতে চাই জগতের সব দুঃখকে অবহেলা করে হাসতে চাই তারপরও দেখো কোথা থেকে উড়াল মেঘের মতো দলা দলা কান্না এসে আমার চোখে ঘর বাঁধে ওরা বাষ্প হয়, তারপর জল হয়, তারপর আলপনার মত চোখকে সাজায় নদীর মত বয়ে বয়ে নেমে যায় আমার চোখ দুটো তখন অশ্রু বৃক্ষের ফলের মতো ঝরে ঝরে প্রমাণ করে নিজেকে।

আরো পড়ুন

মাগো যুদ্ধে যাবো (রাশিদা আউয়াল) ৫/১২/২১ মাগো আমি যুদ্ধে যাবো দে-না আমায় যেতে পাক সেনাদের প্রতিশোধ নিবো অস্ত্র নিবো হাতে। তোর মুখে শুনেছি মাগো বাঙালি দিয়েছে প্রাণ যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছেন তারা বিশ্বে মহান। মাগো আমায় দে-না যেতে তুলে নেবো হাতিয়ার গুলির তোরে উড়িয়ে দেব শত্রু করবো সাবার। লড়াই করে জিতবো মাগো যুদ্ধ হবে শেষ বরণ মাল্য করবো জয় তোর দোয়ায় অশেষ। মাগো আমি যুদ্ধে যাবো সহে না তোদের দুখ ফিরে এসে দেখবো মাগো সবার হাসি মুখ। পুত্র শোকে বাবা কাঁদেন অশ্রু নয়ন ঝরা স্বামী সন্তান হারিয়ে মাগো সে যে সর্বহারা। মাগো আমি যুদ্ধে যাবো সোনার দেশ গড়তে লাল সবুজের…

আরো পড়ুন

রিমির বাড়ি ফেরা ( শিক্ষণীয় কিশোর গল্প) পারভীন আকতার সকালবেলা তড়িগড়ি রেডি হয়ে স্কুলে যাবে রিমি আজ।পাশের বাড়ীর কেয়া তার ক্লাসমেট।অষ্টম শ্রেণির গন্ডি পেরুবে বছর শেষে।ওরা খুব খুশি।নতুন বইয়ের মুহুমুহু ঘ্রাণ পাবে আর কিছুদিন পর।রিমি ও কেয়া পাতানো সই।সবকিছুই যেন তারা একসাথে করতে ভালোবাসে।রোজ দুইজনে স্কুল বাসের জন্য দাঁড়ায় চৌরাস্তার মোড়ে।প্রতিদিনকার মতো আজও চৌরাস্তায় দাঁড়িয়ে দু’জন।সামনের গলি দিয়ে আসছে একটি রিকশা।রিকশায় বসা যুবক তাদের দেখে শিস দেয়, ঈশারায় ডাকছেও যেন।কিছুক্ষণ পর তারা দেখে পেছন থেকে ঐ রিকশাটা এসে দাঁড়িয়েছে। রিকশাওয়ালা বলল,”নাও খুকীরা চকলেট।খেতে খুব মজা।তোমরা একা দাঁড়িয়ে আছো দেখে ঐ যে দেখছো লোকটার মায়া হয়েছে।নাও,খাও।” রিমি বলে উঠল,”কী যা তা…

আরো পড়ুন

বাল্যকালের শত্রুতা। (রিয়াজ খান) সম্পর্কে সহদর। বয়সে দু’বছরের বড় হলেও একসাথেই বেড়ে উঠা। এক সাথেই পড়ালেখা, খেলা-ধুলা, দুষ্টুমি। শৈশবে বন্ধু নয় শত্রুতা ছিলো সারাক্ষণ। দু’দণ্ড শান্তিতে আছে দেখলেই গা জ্বালা করে উঠতো, সহ্য হতনা, উঠে পড়ে লাগতাম তার পিছে। পুকুরে এক সাথে গোসল করতে গেলে আচ্ছা করে পানিতে ডুবিয়ে ধরে পানি খাইয়ে দিতাম। খেলার মাঠে ঝগড়া হলে খুব করে কিল-ঘুষি দিয়ে রাগ মিটাতাম, আবার বাসায় এসে উল্টো নালিশ করে মায়ের বকুনি শুনাতাম। সব সময় ভাবতাম আমি বড়টার চেয়ে বেশি শক্তিশালী, মারামারিতে আমার সাথে কখনোই পেরে উঠবে না সে। ভাই যে, ইচ্ছে করেই আমাকে মারতো না সেটা বুঝার বয়স হয়তো তখনো…

আরো পড়ুন

বিজয়। (রাশিদা আক্তার) বিজয় মানে স্বাধীন দেশ আমার সোনার বাংলা, বিজয় মানে স্বাধীন দেশে বীরের মতো চলা। বিজয় মানে একটি পতাকা একটা সার্বভৌম ভূখণ্ড, বিজয় মানে স্বাধীন দেশে থাকবে না কোন ভণ্ড। বিজয় মানে সন্তান হারানো মায়ের চোখে সুখের দু’ফোটা জল, বিজয় মানে আমরাই জয়ী স্বাধীনতা মোদের বল। বিজয় মানে সন্তান হারানো অন্ধ বাবার আর্তনাদ, বিজয় মানে স্বাধীন দেশে নয় কোন মিথ্যা অপবাদ। বিজয় মানে আমার ভাইয়ের রক্তে স্নাত বাংলার রাজপথ, বিজয় মানে স্বাধীন বাংলা গড়ে তোলার দীপ্ত শপথ। বিজয় মানে আমার বোনের হারিয়ে যাওয়া সম্ভ্রম, বিজয় মানে স্বাধীন দেশে হারাবে না কোন নারী সম্ভ্রম। বিজয় মানে কৃষকের ক্ষেতে ভরা…

আরো পড়ুন