মাটির দেহ (রবিউল ইসলাম) মাটির দেহ হবে মাটি অহংকার যে করি মিছে। অকারণে ঘুরি শুধু মিছে দুনিয়ারী পিছে। থাকুক যতো জমিদারী পুত্র কন্যা ঘরের নারী। ডাক আসিলে যেতে হবে এই না মায়ার বাধন ছাড়ি। ভেবে দেখো একটু খানি, জীবন কচুপাতার পানি, একটু খানি দোলা লাগলে ঝরে যাবে জীবন খানি। হয়তো দেহ মাটি হবে, নয়তো পুড়ে হবে ভস্ম। একাই যেতে হবে তোমায় সবই ছেড়ে একা নিঃস্ব। গর্ব করে নেই যে লাভ, নিয়ে যে এই মাটির দেহ, দুনিয়াবী সবি যেন, ছলচাতুরী মিছে মোহ।
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
স্বপ্নে (জয় গোস্বামী) স্বপ্নে তোকে বাড়ির দিকে এগিয়ে দিতে যাই স্বপ্নে এসে দাঁড়াই পাড়ার মোড়ে কখন তুই ফিরবি ভেবে চারিদিকে তাকাই টান লাগাই তোর বিনুনি ধরে। স্বপ্নে আমি ভিক্টোরিয়ায় তোর পাশে দাঁড়াই স্বপ্নে বসি ট্যাক্সিতে তোর পাশে স্বপ্নে আমি তোর হাত থেকে বাদাম ভাজা খাই কাঁধ থেকে তোর ওড়না লুটোয় ঘাসে। তুলতে গেলি – কনুই ছুঁলো হাত তুলতে গেলি – কাঁধে লাগলো কাঁধ সরে বসব? আকাশভরা ছাতে মেঘের পাশে সরে বসল চাঁদ। ক’টা বাজলো? উঠে পড়লি তুই সব ঘড়িকে বন্ধ করল কে? রাগ করবি? হাতটা একটু ছুঁই? বাড়ির দিকে এগিয়ে দিচ্ছি তোকে… স্বপ্নে তোকে এগিয়ে দিই যদি তোর বরের তাতে…
বছরের কিবা মানে। (নিশাত জেসমিন) ছোট্টবেলায় পড়েছিলাম মজার একটা গল্প এখনো স্মৃতির পাতায় ভাসছে অল্প অল্প। পড়শোনায় বাবুর মন বসে না কিছুতেই বই ফেলে উঠে পড়ে সামান্য ছুঁতোতেই! স্কুলে সে যায় না কখনোই নিজের ইচ্ছেতে সময়টা পার করে শুধু বইখাতা গোছাতে। প্রতিদিনই রয়েছে নতুন নতুন টালবাহানা মা খুব মাথাব্যথা করছে আজ স্কুলে যাব না। ঠিক আছে আজ ঘরে বসে সব পড়া তৈরি করো মা তার চেয়ে আমাকে একটা মজার ধাঁধা ধরো? এভাবেই বাজে কখন যে বৎসরের বিদায়ের ঘন্টা বার্ষিক পরীক্ষা তো সামনে তাই খুব খারাপ মনটা! মা এবছর বুঝি খুব তাড়াতাড়ি দিন শেষ হয়ে গেল! দিনপঞ্জিতে নির্ঘাত হিসেবের বড় ভুল…
রফিক আজাদ। (ভাত দে হারামজাদা) ভীষণ ক্ষুধার্ত আছি: উদরে, শরীরবৃত্ত ব্যেপে অনুভূত হতে থাকে—প্রতিপলে—সর্বগ্রাসী ক্ষুধা! অনাবৃষ্টি– যেমন চৈত্রের শস্যক্ষেত্রে– জ্বেলে দ্যায় প্রভূত দাহন– তেমনি ক্ষুধার জ্বালা, জ্বলে দেহ। দু’বেলা দু’মুঠো পেলে মোটে নেই অন্য কোনো দাবি, অনেকে অনেক কিছু চেয়ে নিচ্ছে, সকলেই চায়: বাড়ি, গাড়ি, টাকা কড়ি—কারো বা খ্যাতির লোভ আছে; আমার সামান্য দাবী: পুড়ে যাচ্ছে পেটের প্রান্তর– ভাত চাই– এই চাওয়া সরাসরি— ঠান্ডা বা গরম, সরু বা দারুণ মোটা রেশনের লাল চালে হ’লে কোনো ক্ষতি নেই– মাটির শানকি ভর্তি ভাত চাই; দু’বেলা দু’মুঠো পেলে ছেড়ে দেবো অন্য-সব দাবি। অযৌক্তিক লোভ নেই, এমনকি, নেই যৌনক্ষুধা– চাই নি তো: নাভিনিম্নে-পরা শাড়ি,…
উইশ ইউ মেরি ক্রিসমাস লুৎফর রহমান রিটন লাল টুপি শাদা দাড়ি পেট মোটা সান্টা বিলি করে চকোলেট। নিজে খায় ফান্টা! মাঝরাতে জেগে উঠে বিস্মিত শান্তা! তার ঘরে এসেছেন সেই বুড়ো সান্টা হাতে তার লাল মোজা সেই মোজা ভর্তি- উপহার, মোজাটার মুখটা তো বন্ধ মোজার ভেতরে যতো মজা ও আনন্দ। কেক কুকি ক্যান্ডিতে জম্পেশ পার্টি ফটকে দাঁড়িয়ে আছে স্নোম্যান চারটি। বরফের স্নোম্যান গাজরের নাক রে পাড়ার দুষ্টু ছেলে ধরে নাক পাকড়ে! নাচে গানে ভরপুর আহা সে কি ফূর্তি রোস্টেড টার্কিতে হবে পেট পূর্তি। লাল সাদা সবুজের দ্যুতি অফুরন্ত সোনালি রূপালি আভা সবই প্রাণবন্ত। সান্টাকে চিনে নিতে কেউ ভুল করিনে। জিঙ্গেল বেলস…
সুখ-দুঃখের ক্রিসমাস তসলিমা হাসান আজ বড়দিন–মেরি ক্রিসমাস। পুণ্য ধরাধাম মহামানব যিশুখ্রিস্টের আগমনে। ধরনীর বেথেলহেমের জীর্ণ গোশালায় নিলেন জন্ম মেরির কোলে সুখ, শান্তি, ন্যায় প্রতিষ্ঠায়, মানবকল্যানে । সাজবে শহর, নগর, গ্রাম সাজবে চার্চ, সাজবে ট্রি আলোর ইন্দ্রজালে। কারা যেন ধরণিকে বানিয়েছে স্বর্গ । বিশাল বিশাল কেকের চারপাশে লকলকে জিভ। নার্গিস ফুল আর অ্যালসেসিয়ান ডগের গল্পে মশগুল। মানিব্যাগে নোটের মসৃণ পাহাড়। হাতে শ্যাম্পেনের গ্লাস-” থ্রি চিয়ার্স ফর স্ট্রিপটিজ”। দ্রুতলয় অর্কেস্ট্রার তালে উন্মাদনার নৃত্য। উল্লাসের রাত বারোটায় বৈপরীত্য প্রতিচ্ছবি জীবনে বারোটা বাজার। উৎফুল্লের আলোর সামিয়ানা ছেড়ে অদূরে অন্ধকার গলিতে ক্ষুধার্ত পতিতা। নরম শরীরের মাংস বিকিয়ে কেনে এক টুকরো রুটির সুখ অথবা আপন সন্তানের…
বিজয় দিবস। (শামীমা আক্তার) বিজয় তুমি এসেছিলে পাঁচ দশক পূর্বে এ বাংলার মাঝে, বিদ্রোহী হয়ে নারীদের দেহ ক্ষত-বিক্ষত,ইজ্জত,সম্ভ্রম হারানোর মাঝে, নয় মাস চলছিল বিরতিহীন ভাবে, শেষ হয়নি আজও চলছে ধর্ষণ রূপে, আজ ও প্রতিদিন হচ্ছে হাজারো কন্যা জায়া জননী সম্ভ্রম হারা, ধর্ষিত, লাশ ঘর,কবর, শিশু মানছে না চলছে রক্তপিপাসু নরমাংস খাদকের কর্মকাণ্ড মা হারালো তাঁর যুবক ছেলে,উচ্ছল কন্যার প্রাণ চঞ্চলতা ইজ্জত সম্ভ্রম, তাঁর তো পাওয়া হয়নি উপযুক্ত সম্মান এবং জীবন নিশ্চয়তার দাম, সুন্দর স্বপ্ন নিয়ে স্বাধীন সত্ত্বায় বেঁচে থাকার আশা ছিল, সে আশা আজ ভেঙ্গে লন্ডভন্ড হয়ে গেছে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অপশক্তির কাছে, ভেবেছিলাম বিচারের বাণী ন্যায্য সুরে ফিরিয়ে দিবে…
তাতালো তাঁতঘর শাইনি শিফা ২৯-১১-২১ আমি না হয় তুমি নই। তোমার মত সাধ্য কই? শৈশবে বয়োজ্যৈষ্ঠর মুখের পানের ছিবড়া খেয়েছি যেমন করে তেমন করে এখনও অন্ধকারে খাবি খাই। শাড়ির জমিনের চেয়ে পাড়ের দিকেই নজর বেশি যার তাকে আর তাঁতঘর দেখিয়ে লাভ কি? অন্ধকারে মাকুর হাতে আমি শুধু খটখট শব্দ করেই স্বপ্নের জাল বুনে চলি। দিনশেষে পড়ে থাকে আমার ধোঁয়া ওঠা নিঃস্বাশ। তুমি তখন সুখী পাড়ের সাথে রং মিলিয়ে পাঞ্জাবী পড়ো। স্বপ্নের কুচি ঠিক করে সাজিয়ে দাও তার হাতে হাত রেখে।
বিজয়ের হাসি (সৈয়দ মাশহুদুল হক) নয়টি মাসের যুদ্ধ শেষে স্বাধীন করে দেশ বাড়ি ফিরে দেশটা দেখি আধাআধি শেষ। হানাদারের হিংস্র থাবায় মান হারালো ভগ্নী ব্রীজ-কালভার্ট ভাঙ্গাচুরা জ্বলছে ঘরে অগ্নি। কারও বাড়ির নাই চিহ্ন পুরোপুরিই বিরান খানাপিনা নাই অনেকের পরনে নাই পিরান। পিতামাতা ভাইবেরাদর জীবিত নাই যাদের স্বাধীনতার খবর পেয়ে অশ্রু বাড়ে তাদের। চারিদিকে শুধুই কবর ছড়িয়ে-ছিটিয়ে লাশ একাত্তরের নয়টি মাসের এইতো ইতিহাস। স্বজন হারার দুঃখ ভুলি দেশটা করে মুক্ত সুখে নাচি এই ভেবে যে থাকব না অভুক্ত। আরও ভাবি কথা বলবো হাসি নিয়ে মুখে হিংসা বিদ্বেষ ভুলে গিয়ে প্রেম নিয়ে বুকে। শোষণ পীড়ন বন্ধ হয়ে দেশটা হবে প্রীতির শাসন হবে…
আমিন খান অভিনেতা পুরো নাম আমিনুল ইসলাম খান জন্ম: ২৪ ডিসেম্বর,১৯৭২ তিনি সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ থানা অন্তর্ভুক্ত মৌতলা ইউনিয়নের এক মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে ফুল নেবো না অশ্রু নেবো, স্বপ্নের নায়ক, বীর সন্তান, বাংলার কমান্ডো, হৃদয় আমার , হীরা চুনি পান্না, পিতার আসন, হৃদয়ের বন্ধন ইত্যাদি। চলচ্চিত্র জীবনে এখন পর্যন্ত তিনি ১৬৫ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন। ১৯৯০ সালে আমিন খান এফডিসির নতুন মুখের সন্ধানে প্রতিযোগিতায় অংশ নেন এবং নির্বাচিত হন। এরপর অডিশন দিয়ে টেকার পর একজন পরিচালক তাকে নিয়ে চলচ্চিত্র নির্মাণে আগ্রহ দেখায়। এই সময়ে আরও তিনটি চলচ্চিত্রের প্রস্তাব আসলেও তিনি সেই পরিচালককে কথা…
