প্রকাশিত হলো : কালের প্রতিবিম্ব মার্চ ২০২২ সংখ্যা : প্রতিবিম্ব প্রকাশ (সৃজনশীল লেখকের ঠিকানা) পুস্তক প্রকাশক ও বিপণন ০১৭১৫৩৬৩০৭৯ আপনার কপিটি এখনই অর্ডার করতে পারেন: প্রতিবিম্ব প্রকাশ উত্তরা, ঢাকা। ০১৭১৫৩৬৩০৭৯
Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ
‘প্রতিবিম্ব প্রকাশ’ পরিবারের পক্ষ থেকে এই গুণী কবিকে শুভেচ্ছা। লেখক পরিচিতি: কবি জেবুন্নেছা জোৎস্না জন্ম: ২রা এপ্রিল, ১৯৭৬। বেড়ে ওঠা যশোর, বর্তমান স্থায়ী নিবাস ঢাকা। মাইক্রোবায়োলোজীতে মাষ্টার্স শেষে ২০০৩ সাল থেকে নিউইর্য়ক প্রবাসী। দশ বছর ফুল টাইম মা এবং গৃহিনী থাকার পর প্রবাসে সম্মানজনক পজিশনে প্রতিষ্ঠীত হওয়ার লক্ষ্যে শুরু হয় জীবনের নতুন এক অধ্যায়। পার্ট টাইম জবের পাশাপাশি আমেরিকার শিক্ষা ব্যবস্থায় হাই স্কুল পাশের শেষে ডায়াগনষ্টিক মেডিকেল সনোগ্রাফীতে ব্যাচেলর ডিগ্রি নেন নিউইর্য়কের লং আইল্যান্ড ইউনিভার্সিটি থেকে। অষ্টম/নবম শ্রেণী থেকে লেখালেখি, ছবি আঁকা, স্পোর্টস এবং বাগান করার শখ থাকলেও থাকলেও প্রবাসের একাকী সংসার জীবনে দূরে সরে যান সব কিছু থেকে।…
আমার ছড়াকার হওয়ার জার্নিটায় দাদাভাই ইত্তেফাক এবং পিওন দারোয়ানদের মমতা [লুৎফর রহমান রিটন] জন্মেছিলাম পুরোন ঢাকায়। খুব মামুলি মধ্যবিত্ত একটা পরিবারে অনেকগুলো ভাইবোনের কিলবিলে সংসারে কেটেছে আমার ছেলেবেলাটা। আমার শৈশব বিকশিত হয়েছে ওয়ারিতে। পুরোন ঢাকার সবচে অভিজাত এলাকা হিশেবে ওয়ারির খ্যাতি ছিলো। ওয়ারিতে আরো অসংখ্য শিশুকিশোরদের মতোই বেড়ে উঠছিলাম আমি। খুবই শাদামাটা ভাবে। ঝাঁকের কৈ হিশেবে। কিন্তু আমাকে খুব সহজেই সেই ঝাঁকের কৈ-এর ডালা থেকে আলাদা করে সুন্দর একটা স্বপ্নের ভেতরে সুন্দর স্বপ্নময় একটা ভুবনের ভেতরে নিয়ে এসেছিলো শিশু সংগঠন কচি-কাঁচার মেলা। বাবা কিংবা বড়ভাই কিংবা মা অথবা বড়বোন আমাকে সেই ‘স্বপ্নময় জগতে’র সন্ধান দেননি। রঙিন সেই ভুবনের বর্ণাঢ্য দরোজার…
নিষিদ্ধ পল্লি [জেসমিন জেসি] বাবা একজন পুরুষ ছিলেন তাই আমরা ছিলাম নারী তিনি যদি মানুষ হতেন আমরাও পেতাম বাড়ি জন্ম দাত্রীর সাথে তার সম্পর্ক ছিল নাড়ির তবু সে গৃহপালিত আদমির। যুগযুগ ধরে ভুরি ভুরি গ্রন্থ হয়েছে রচনা যেখানে নারীর একেবারেই বাইরে যাওয়া মানা নারী থাকবে গৃহবন্দী অধীনস্থ পরজীবী পুরুষ হবে মালিক প্রভু পরম বুদ্ধিজীবী। সেই পিতার দিলে এখন আমরা কেবল বোঝা শুরু হলো ভ্রুণ ঘেঁটে ওয়ারিশ পুরুষ খোঁজা। জন্ম আমার নয়ানাভিরাম শ্যামল সবুজ গাঁয়ে প্রকৃতি হেথাই মনোরম মানুষের প্রয়োজনে প্রকৃতি হেথাই কখনো খাদ্য কখনো উপভোগ্য নারীর তুলনা প্রকৃতির সাথে তারা প্রকৃতির সমতুল্য। নারীও সৃষ্টি প্রকৃতির মতই তাদেরই মনোরঞ্জনে কাল্পনিক ওসব…
আজও যদি [ফারজানা ইয়াসমিন] আজও যদি নয়ন ভেজে আমার কথা ভেবে, মনে রেখ আজও কিছু বলার আছে বাকি। আজও যদি আনমে পড়ে মনে আমার মুখের হাসি, মনে রেখ আজও জমা আছে কিছু অনুভূতি। আজও যদি ভুলতে গিয়ে বারবার মনে হয়, মনে রেখ আজও পাও আমাকে হারানোর ভয়। আজও যদি পুরনো আঘাতের চিহ্ন বুকে জেগে থাকে, মনে রেখ আজও আমাকেই যত্নে রেখেছো তুলে। আজও যদি চেনা পথে অচেনা হওয়ার ভান করে হেঁটে যাও, মনে রেখ স্মৃতি গুলো আজও তোমার মনে নাড়া দিয়ে যায়। আজও যদি আমার প্রতি তোমার থাকে সীমাহীন অভিমান, মনে রেখ ভালোবাসা না থাকলে থাকে না কোন অধিকার। আজও…
একদিনের ভ্রমণে যাওয়ার সুযোগ খোঁজেন অনেকেই। তাদের জন্য সেরা এক গন্তব্য হলো ‘মুছাপুর ক্লোজার’ । কর্মব্যস্ত জীবনে একটু ফুরসত মিলতেই অবসর কাটানোর জন্য নিরিবিলি স্থানের খোঁজ করেন সবাই। এজন্য আশপাশের বিভিন্ন দর্শনীয় স্থানে একদিনের ভ্রমণে যাওয়ার সুযোগ খোঁজেন অনেকেই। তাদের জন্য সেরা এক গন্তব্য হলো ‘মুছাপুর ক্লোজার’। মুছাপুর ক্লোজার নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নে অবস্থিত। প্রথম দেখাতে মনে হবে এটি একটি সৈকত। আসলে সেখানে গেলেই আপনি উপভোগ করতে পারবেন নদীপাড়ে সাগরের আবহ। এ কারণে একে ‘মিনি কক্সবাজারও’ বলা হয়। আবার অনেকে মুছাপুর সমুদ্র সৈকত হিসেবেও চেনেন স্থানটি। ফেনী নদীর তীরে অবস্থিত মুছাপুর ক্লোজার। মুছাপুর নদীর তীরে ২৫০ কোটি টাকা ব্যয়ে…
অসীমের পথে দুঃস্বপ্নরা স্বপ্নের কাছাকাছি ভীড় করে স্বপ্নভঙ্গের রঙিন ফানুসের আকার নেয়। নির্বিকার স্বপ্নভঙ্গের খেলোয়াড়রা অসীম শূণ্যতায় হেসে লুকায় স্বপ্নভাজ পালোয়ান। হারাবে কে বা কারা হারাতে হারাতে শুরুটা কাঁদছে হাঁটছে সমাপ্তির সাথে। এলোমেলো হলেও জীবনতো একটাই চলছে চলুক হিসেবের বাইরে না পাওয়াদের ভীড়ে পড়ুক না হয় আরো দু’টি পায়ের ব্যর্থ অলস সমাপ্তির চিহ্ন। বৈপরীত্যে দৃশ্যমান পৌষে ছিলে না মাঘে এলে কেন? ভালবাসায় ছিলে না মায়ায় বাঁধলে কেন? চাঁদকে চিনলে না চাঁদের আলোয় ভাসলে কেন? গোধূলির রহস্যটাকে জানলে না এই লগ্নের রূপটাকে নিলে কেন? বিকেলের কোলাহলে ছিলে না চায়ের আড্ডার স্বাদ নিতে চাইলে কেন? স্রোতের সাথে নদীর গভীরতাটাকে জানলে না…
অধিভুক্ত হই আবারও মুক্তিযুদ্ধে [গোলাম কিবরিয়া পিনু] এই এক দেশ–যেখানে রক্তাক্ত হাইড্রোজেনের ভেতর মেঘজমাট বেঁধে সৃষ্টি হয়েছিল এক চন্দ্রধারা সেই চন্দ্রধারার নামই দেদীপ্যমান মুক্তিযুদ্ধ। সৃষ্টির সময়ে ছিল এক একেকটি আগুনের গোলক যার সমবেত নাম বিদ্রোহী-জনতা যেন এক আগ্নেয়গিরির যাদুঘর টগবগ হয়ে ফুটেছিল–দিগন্তরেখায় উড়ছিল ধোঁয়ার কুণ্ডলি ঘনমেঘ–নীরদপুঞ্জ কুড়ুলে মেঘ-আঁধিঝড় তার মধ্যে থেকে উপচে উঠলো আমাদের স্বপ্নভূমি ! বিস্ময়কর রাসায়নিক মিশ্রণে মরিয়া হয়ে উঠেছিল জনগণ পাথরখণ্ডে সপ্তমুখী জবা ফুটলো অসীম সাহসে একেকটি বরফের চাঁই গলে গলে ফল্গুধারা তৈরি হলো ! রঙের ভিন্নতা ছিল না শরীরের যেকোনো স্থান–মুখমণ্ডল, গলা, কাঁধ হাত, পা, বুক অথবা পিঠে সকল ধমনিতে একই রক্তের ধারা প্রবাহিত হয়েছিল মস্তিষ্কের…
অপারেশন সার্চলাইট শীরীন আক্তার ২৫/০৩/২০২২ পৃথিবীতে বাঙালি এক বিস্ময়কর জাতি, যোদ্ধা হিসেবে জগৎ জোড়া আছে খ্যাতি। সেই জাতিকেই ১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে, ঘুমন্ত অবস্থায় নিমেষেই লাশ হতে হয় পশ্চিমাদের হাতে। অমন জঘন্য নারকীয় ঘটনার নজির এই প্রথম দেশে, নরপশু পাকিস্তানিদের হীনতম তাণ্ডব ইতিহাসে। বিশ্ব বিবেক বিস্ময়ে বিস্মিত ওদের কাণ্ড দেখে, এ করুণ কাহিনীর সৃজনশীলেরা ইতিহাস লেখে। পশ্চিমারা এ দেশটিকে আত্মসাৎ করতে গিয়ে, অবশেষে পালায় সদলবলে অস্ত্রগুলো লুকিয়ে। গণহত্যা দিবস হিসেবে আমরা এ দিনকে পালন করি, কালো রাতকে স্মরণীয় রাখতে মোমবাতি জ্বালি। পৃথিবীতে বাংলাদেশ যতদিন বেঁচে থাকবে, ২৫ মার্চের গণহত্যার রাতে ততদিন আলো জ্বলবে। অপারেশন সার্চলাইটের মাধ্যমে বাঙালিকে দমন করতে…
যুদ্ধ প্রস্তুতি ফরিদ আহমদ দুলাল (কবিতা আমার প্রতিবাদের ভাষা—সমরাস্ত্র। আজকের কবিতা প্রতিবাদে সোচ্চার হোক অসদাচারের বিরুদ্ধে।) চতুস্পার্শ্বে সারাক্ষণ গণ্ডমূর্খ থাকে কতিপয় অমেরুদণ্ডী অনেক ক্লিব ও কেঁচোর ভিড়ে আসে পরাজয় স্থুল স্বার্থান্ধের জিভে লালা ঝরে পড়ে কাপুরুষেরা মরার আগে জেনো প্রতিদিন মরে; ওদের অনিদ্রা নেই জাগরণে ভয় স্তাবকতা ওসব মানুষরূপী দ্বিপদের বাঁচার আশ্রয়। সততা অপেক্ষা মিথ্যাচারে ওরা নিত্য পক্ষপাতী যুথবদ্ধতার প্রতিপক্ষ নিজের অজান্তে ওরা আত্মঘাতী তোমাকেও পণ্য বানায় কৌশলে করে তেজারতি কণ্ঠনালী-শিরা কাটে প্রয়োজনে করে পুষ্পারতি; পরেছে লেবাস সাহসের সমাবেশে ছদ্ম প্রতিবাদী প্রকাশ্যে বাদীর পক্ষ আসলে বিবাদী। বিচিত্র পোশাক রাখে দেরাজে সঞ্চয় মুখোশও রাখে অগণন আর জানে অভিনয় কখনো বা ভয়…
