Author: প্রতিবিম্ব প্রকাশ

একটা বৃষ্টিস্নাত রাত [শারমীন ইয়াসমিন] “দুঃখটাকে পুষে রাখি মনের ঐ অতল গহীনে যতন করে তারে রাখি লোকচক্ষুর আড়ালে লোকে বলে কত সুখি আমি কত সুখি রে।” আজ ভোরটা খুব রোদেলা। আমার বারান্দায় রোদ পড়ছে। চায়ের সাথে তোমায় ভাবতে বেশ লাগছে – গতরাতের কথাগুলো সুর হয়ে বাজছে। তোমার সেই টিনের ঘর, মেঠো পথ, আইল পথ, তোমার শৈশব সব যেন চোখে ভাসছে- আর তোমার সেই প্রিয় শহর, যার অলিতে- গলিতে সর্বএ ছিল তোমার পদচারণা। তুমি ছিলে এখানে রাজা-মহারাজা। আর ছিল কত প্রণয়! কোথায় গেলো সেইসব আজ? ইচ্ছে করে না, ফিরে পেতে, সেই রঙিন দিনগুলো,একান্ত আপন করে। আমার তো খুব ইচ্ছে করে- তোমার…

আরো পড়ুন

চট্টগ্রাম শহরের বিভিন্ন স্থানের নাম কীভাবে এলো? ☞ সুলকবহরঃ আরব বণিকদের নৌবাণিজ্যের যুগে প্রাচীন কর্ণফুলী নদীর যে স্থানটিতে বাণিজ্যতরী অবস্থান করত সেটি ‘সুলকুল বহর’ নামে খ্যাত ছিল। আরবি ‘সুলকুল বহর’ শব্দের অর্থ- ‘বাণিজ্যতরীর বিরতি স্থান- পোতাশ্রয়’। পরবর্তীতে এলাকাটি বর্তমানের ‘সুলকবহর’ নামে বিবর্তিত হয়েছে। ☞ ষোলশহরঃ সুলকবহরের কাছের এই জায়গাটি ‘চাহেলে শহর’ নামে পরিচিত ছিল। আরবি চাহেলে শহর নামের অর্থ ‘নদীর তীরবর্তী শহর’ যা কালক্রমে ষোলশহর নাম ধারণ করে। ☞ হালিশহরঃ আরবি ‘হাওয়ালে শহর’ থেকে উদ্ভুত। অর্থ- ‘শহরতলি’। এটি ছিল আরব বণিকদের সাময়িক বসবাসের জন্য নির্ধারিত স্থান। ☞ আন্দরকিল্লাঃ আরকানি আমলে এখানে প্রাচীন দুর্গ ছিল। নাম ছিল- ‘চাটিগাঁ দুর্গ’। ১৬৬৬ সালে…

আরো পড়ুন

তুমি আছো অনুভবে [তসলিমা হাসান] উপস্থিতি! যত দূরেই হোক। আমি অনুভব করি তোমাকে, আমার হৃদয়ে! আমার হৃদয়ের এই অনুভূতি, একান্ত আমার, শুধু আমার! ভালোবাসা কি, সুদীর্ঘ জীবন পাশাপাশি চলা! একে অপরে চিন্তা, সুখ, দুঃখের খবর রাখা। নাকি চিরকাল অপেক্ষায় থাকা! ভালোবাসা কি একটা অভ্যাস! যাকে, দেখার জন্যে মন চঞ্চল হয়। “তাঁর” একঝলক এনে দেয় বর্ষার গুমোট!গরমের পর, জুঁই ফুলের মিষ্টি সুবাস মাখা, শীতল হাওয়ার ছোঁয়া। নাকি, কঠিন বাস্তব থেকে অনেক দূরে, শুধুই কল্পনা! কানাডা: ১১-০৪-২০২২

আরো পড়ুন

মিতা হক: ‘রূপে তোমায় ভোলাব না’ মিতা হকের চলে যাওয়ার এক বছর: ১. এ কথা আর বলার অপেক্ষা রাখে না যে, রবীন্দ্রসংগীতে নিমজ্জিত সাধক মিতা হক ছিলেন আমাদের প্রজন্মের অগ্রগণ্য শিল্পী। সাধারণ সংগীত বোধসম্পন্ন মানুষের অনুভবেই ধরা পড়ে যে, তার কণ্ঠ যেমন ছিল সুরেলা তেমনি গানের ভাবকে তিনি ধারণ করতে পারতেন হৃদয় দিয়ে। রবীন্দ্রসংগীত তিনি যেমন অন্তর থেকে ভালোবাসতেন তেমনি এর জন্য যে তার গভীর দায়বোধ ছিল তা বোঝাও আয়াসসাধ্য ব্যাপার নয়! রবীন্দ্রসংগীত তার কাছে বাণিজ্যপণ্য হয়ে ওঠেনি, ছিল নিজের অনুভবের শিল্পিত প্রকাশ মাধ্যম! অন্য দিকে রবীন্দ্রসংগীতের শিল্পী হিসেবে তাঁর প্রধান পরিচয় থাকলেও পঞ্চকবির গানেও সমধিক পারঙ্গমতা ছিল! ২০২১ সালের…

আরো পড়ুন

ফাউল [জগলুল হায়দার] লিটার দিয়া রোড মাপা আর মিটার দিয়া পানি মাপলে পরে ঠিক হবে তা কন তো কতোখানি? বর্গফুটে গ্যাস মাপা আর ঘনফুটে রেখা মাপলে পরে যায় কি পাওয়া সঠিকতার দেখা? এইভাবে তো মাপতে গেলে বাঁধবে খালি কাউল ফুটবল দিয়া হ্যান্ডবল খেলা মাপলে পূরাই ফাউল! সসীমতার বিজ্ঞান দিয়া অসীমতার ধর্ম মাপলে বিজ্ঞান, ধর্ম কারোই থাকবে না মূল মর্ম। বিজ্ঞান ধর্ম আপন আপন জায়গাতে ভাই সত্য ধর্ম জাগায় বিশ্বাস যেমন বিজ্ঞান নানা তত্ত্ব। বিজ্ঞান যেথায় শেষ সেখানে ধর্ম করে যাত্রা এই কমনসেন্স না থাকলে তো হইবা ফাউল-ফাত্রা। Canada:

আরো পড়ুন

বিশুদ্ধ ভোরে। [সুরমা খন্দকার] তুমি টিপ পরেছো বলে অশ্রাব্য কথায় লাগাম দেয়া কঠিন। অশুদ্ধ আবেগ যখন শব্দের পাল্লায় নিরর্থক, বিলীন। লক্ষ কথায় কাঁচের চুড়ির মতন ঝনঝন শব্দে ভাঙলো তার ব্যক্তিত্ব। রক্তাভ চাহনির চেয়ে প্রখর কোনো কটাক্ষ নেই। হয়তো সেও বুঝে গেছে রুগ্ন মানসিকতায় শুষে নেয় মানবিকতা। আফসোস হয়! মৌল চাহিদায়, নিঃশেষ হয় প্রাণ। তীব্রতর ক্ষুধায় শ্যাওলা জমে বর্ণিল মনে। তুচ্ছ হয়ে যায় পৃথিবীর সব মায়া জীবন যুদ্ধে! কেবল অপেক্ষা করছি, কাঙালের মতো অপেক্ষা করছি- পৃথিবী হাসবে বিশুদ্ধ ভোরে, দয়া করে এটুকু ভুল না – তুমি মানুষ, আমি মানুষ পৃথিবীর ইথারে ওথারে।

আরো পড়ুন

জড়ো করা অন্ধকার [চাঁদ সুলতানা মার্জেনা] ভুলে থাকার শর্ত দিলে গাছতলার ঐ বেঞ্চিতে বসে, আকাশে আধখানা চাঁদ ছিল পৌষের শিশির ছিল দূর্বাঘাসে ! আমি মুখ লুকিয়ে কাঁদবো নাকি দৌড়ে পালাবো ভাবিনি, ভিতরে কি হয়েছিল সেদিন ঝড় জল মিলে বাদল হয় বুঝিনি! একখানা ঘর ভিতর থেকে বন্ধ নিয়তি মুড়ায়ে রাখে তার চাবি, ধূলি ঝড় চক্ষু অতিক্রম করে উড়ে টুকরো টুকরো সব দাবী! এলো মেলো খেয়ালে ঝরে অনুভব ধরে আরেকটি বিষয়, শর্ত দিলে চলে যাও আমার পৃথিবী তোমার সঞ্চয় ! ভূলূন্ঠিত হবো নাকি চিৎকার দিবো ভিতর ভেঙে হয় চুরমার , আমি কি আমি ছিলাম সেদিন আজ‌ও জড়ো করি সেই অন্ধকার!

আরো পড়ুন

নিশ্বসন বাসনা [নিলুফার ইয়াসমিন রুবি] গভীর রাতের নিশ্ছিদ্র অন্ধকার যেনো চেয়ে আছে; প্রভাতের রবির আশে, জীবনের অনন্ত স্বপ্ন ছুঁয়ে থাকে নিরন্ন ক্ষীণ আশার আকাশ চাঁদ ভালোবাসি,তবুও চাঁদ যেনো চিরসুখের নয়—- যা কিছু সুখের উচ্ছ্বসন বলয় সব; সব যেনো দিনের প্রভায়! ভালোবাসা, ভালোবাসা খেলা লুকোচুরি মরিচিকার মতোই— জীবন ঘর বাঁধে নিরেট কঠিন আকাঠা যুক্তিপরম্পরায়—- তবুও সুখ খুঁজে যায় ময়ুরাক্ষী স্বপ্নপাখায় অথবা কোন গাছেচড়া সটান করে দড়িবাঁধা দোদুল দোলনায়। প্রিয় বলে যারে বুকে নেই,সেতো চির প্রিয় নয়—- দূরে বসে প্রিয় হাতছানি জীবনের দোল কেটে দেয়—- বার বার টেনে নিয়ে যায় অশনি মধুর মোহের বকুল তলায়। আমার হয়না সেথায় দোল বাঁধা; প্রিয় সুভাসের…

আরো পড়ুন

রোকনুজ্জামান খান দাদাভাই-এর জন্মদিন, নিরন্তর শ্রদ্ধা ৯ এপ্রিল ছিল দাদাভাইয়ের জন্মদিন। ১৯২৫ সালে নানার বাড়িতে জন্মেছিলেন তিনি। ফরিদপুরের পাংশার সেকালের প্রখ্যাত সাহিত্যিক ও সম্পাদক রওশন আলী চৌধুরী ও এয়াকুব আলী চৌধুরী ছিলেন দাদাভাইয়ের নানা। দাদাভাইয়ের আসল বাড়ি কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা থানার ভবানীপুর গ্রামে। তাঁর পিতার নাম মৌলভী মোখাইর উদ্দীন খান। শৈশবে মাকে হারিয়ে নানা বাড়িতেই তিনি বড় হন। পাংশা জর্জ স্কুলে পড়াশোনা করেন । হাটটিমা টিম টিম / তারা মাঠে পারে ডিম / তাদের খাড়া দু’টি শিং / তারা হাটটিমা টিম টিম। কিংবা- বাক বাকুম পায়রা / মাথায় দিয়ে টায়রা / বউ সাজবে কাল কি / চড়বে সোনার পালকি। এই দু’টো…

আরো পড়ুন

শেষের চাওয়া [ফারুক নওয়াজ] একজীবনে কী আর তেমন লাগে.. যেটুক পাওয়ার পেলাম চাওয়ার আগে। চাওয়ার আগেই আকাশ ভরা তারা.. চাওয়ার আগেই চাঁদের উজলধারা.. চাওয়ার আগেই বৃষ্টি টাপুরটুপুর.. চাওয়ার আগেই ইমলিছায়ার দুপুর.. মায়ার আবেশ ঝাবুকবনের হাওয়া.. চাওয়ার আগেই সাঁঝের জোনাক পাওয়া।.. চাওয়ার আগেই ঝিঁঝির ঝিনিকঝিনি.. শিরীষবনের মনকাড়া শিঞ্জিনী.. চাওয়ার আগেই ঢেউ জাগানো নদী.. কাশের ঝোপে বাতাস নিরবধি।.. চাওয়ার আগেই তিনিশ ফুলের হাসি.. চাওয়ার আগেই ভোরের শিশিররাশি.. চাওয়ার আগেই পলাশবনে কুহু.. সবুজ ঘুঘু ডাকল মুহুর্মুহু।.. সব পেয়েছি চাওয়ার আগেই যখন চাওয়ার কথা ভুলেই গেছি তখন।.. এখন শুধু শেষের পাওয়া বাকি.. এই পাওয়াটা চাইতে হবে নাকি!.. শেষের চাওয়া মাঠের শেষে নদী– নদীর ওপার…

আরো পড়ুন