০৯ জুলাই – একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশের একমাত্র আলোকচিত্রী গোলাম মোস্তফা বার্ধক্যজনিত কারণে মারা গেছেন (ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। শুক্রবার সকাল ১০টার দিকে রাজধানীর ইস্কাটনের বাসায় তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল আনুমানিক ৮০ বছর।
গোলাম মুস্তাফার মৃত্যুর খবরটি নিশ্চিত করেছেন তার ছাত্র ও একাত্তর টেলিভিশনের সিনিয়র ক্যামেরাম্যান শামসুল হুদা। তিনি জানান, ইস্কাটন অফিসার্স কোয়ার্টার জামে মসজিদে তার জানাজার নামাজ হবে। পরে তাকে আজিমপুর কবরস্থানে দাফন করা হবে।
গোলাম মুস্তাফা একমাত্র বাংলাদেশি ক্যামেরাম্যান হিসেবে ১৯৬৩ সালে ডিআইটি ভবনে অবস্থিত তদানীন্তন পুর্ব পাকিস্তান টেলিভিশনের যোগদান করেছিলেন।পরে তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনে ডাইরেক্টর অব ফটোগ্রাফি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আলোকচিত্রী গোলাম মুস্তাফা ১৯৪১ সালের ৩০ নভেম্বর কোলকাতার খিদিরপুরে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৪৭ সালে দেশ ভাগের পর তিনি তার দাদার বাড়ি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে চলে আসেন। শিক্ষাজীবনে তিনি নারায়ণগঞ্জের বার একাডেমি স্কুলে এবং ঢাকায় জগন্নাথ কলেজে লেখাপড়া করেছেন। স্বনামধন্য আলোকচিত্র শিল্পী মনজুর আলম বেগের সান্নিধ্যে এসে তার শিল্পের বহিঃপ্রকাশ ঘটে।
জার্মানিতে উচ্চশিক্ষার সুযোগ পেলেও তা প্রত্যাখ্যান করে ইউএসআইএস এ খণ্ডকালীন চাকরি নেন। কর্মজীবনে তিনি আমেরিকান দূতাবাস ছাড়াও নানা জায়গায় কাজ করেছেন। ১৯৬৪ সালে পাকিস্তান টেলিভিশনের ঢাকা কেন্দ্রে যোগদান করেন তিনি এবং ১৯৯৮ সালে বিটিভি থেকে পরিচালক পদে অবসর নেন। তিনি দীর্ঘদিন বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটির সহ-সভাপতি এবং দুই বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
বরেণ্য এই আলোকচিত্রী বাংলাদেশ ফটোগ্রাফিক সোসাইটি (বিপিএস) এর সম্মানিত স্থায়ী পরিষদ প্রধান । ‘ফটোগ্রাফি’ পত্রিকার সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য । তিনি আলোকচিত্রে একুশে পদক (২০১৮) সম্মানে ভূষিত হন। ২০১৬ সালে শিল্পকলা একাডেমি পুরস্কার লাভ করেন।
সূত্র : বাংলাদেশ জার্নাল
এন এইচ, ০৯ জুলাই