১৮০ বার পড়া হয়েছে
বই আলোচনা:
ফাতেমা আফরোজ সোহেলি
সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক সমর দাস-কে নিয়ে গবেষণামূলক গ্রন্থ লিখেছে: অণিমা মুক্তি গমেজ:
সমর দাস
(১০ ডিসেম্বর ১৯২৯ – ২৫ সেপ্টেম্বর ২০০১):
স্বাধীনতা পুরস্কার ও একুশে পদক প্রাপ্ত সঙ্গীতজ্ঞ; সঙ্গীত প্রেমিদের প্রিয়তম মানুষ সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক সমর দাস। ১৯২৯ সালের ১০ ডিসেম্বর পুরান ঢাকার লক্ষ্মীবাজারে নবদ্বীপ বসাক লেনে এক সঙ্গীতশিল্পী পরিবারে সমর দাসের জন্ম। পরিবারের গণ্ডিতেই তার সঙ্গীত শিক্ষা শুরু হয়েছিল।
১৯৪৫ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে তদানীন্তন অল ইন্ডিয়া রেডিও’র ঢাকা কেন্দ্রে বাঁশি বাজানোর মধ্য দিয়ে সমর দাসের সঙ্গীত জীবনের সূচনা। তরুণ বয়সেই গিটার ও পিয়ানো বাজানোর জন্য তার খ্যাতি ছড়িয়ে পড়ে। পরে তিনি একজন খ্যাতিমান গিটারবাদক হিসেবে পরিচিতি পান।
এরপর ১৯৫০-এর দশকে কলকাতায় হিজ মাস্টার্স ভয়েস কোম্পানিতে কাজ করেন এবং সুখ্যাতি অর্জন করেন। ১৯৬১ সালে বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্রে সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে যোগ দেন। এখানে তিনি স্বাধীনতার পূর্ব পর্যন্ত কর্মরত ছিলেন।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় তিনি মুজিবনগর থেকে পরিচালিত স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের অন্যতম সংগঠক ও প্রধান পরিচালক ছিলেন। এ সময় বহুগানে তিনি সুর দেন। মুক্তিযুদ্ধে তার সুর করা ‘পূর্ব দিগন্তে সূর্য উঠেছে’, ‘নোঙ্গর তোলো তোলো’ প্রভৃতি গান মুক্তিযোদ্ধাদের প্রেরণা জুগিয়েছে। ১৯৭২ সালে সুরবিন্যাস করে আমাদের জাতীয় সঙ্গীত ‘আমার সোনার বাংলা’ মূলগানটি বিবিসি লন্ডন থেকে সামরিক ব্রাশব্রান্ডে রেকর্ড করার দায়িত্ব পালন করেন তিনি।
Anima Mukti Gomes দিদিমণির গবেষণামূলক এই গ্রন্থের বিষয়ই এই মহান সংগীতজ্ঞ। বাংলা একাডেমি প্রকাশিত এই গ্রন্থটি ভালোবাসারজনকে বিস্তারিত জানতে সবাইকে সাহায্য করতে পারে।
আজ তোমার প্রয়াণ দিবস শ্রদ্ধা প্রিয়জন সমর দাস।
দেহ চলে যায় দৃষ্টির আড়ালে;
কর্মই বেঁচে থাকে, বাঁচিয়ে রাখে অম্লান প্রাণ।
#সোহেলীকথা