করোনাকালের কড়চা
— সালাম সেতারা
ভয়াবহ করোনাকাল পার করছে বিশ্ব। কখনও কম কখনও তুলকালাম। আল্লাহর অশেষ রহম বাংলাদেশের উপর। সাহস সহনশীলতা, ঐচ্ছিক প্রতিরোধ ক্ষমতা আল্লাহর পক্ষ থেকে ঐশী দান।
তার সাথে আর একটা ক্ষদ্র ব্যাবসাও দান কোরেছে করোনা।
ইংরেজরা ভারতীয়দেরকে দুশো বছর শাসন করে কাপড় পরতে শিখিয়েছিলো, কিভাবে নারী পুরুষ অন্তর্বাস পরবে তা সেই যে শিখিয়ে দিলো তাই আজ পর্যন্ত সভ্য পোষাকে অপরিহার্য হয়ে রয়েছে। এবার করোনা শেখালো আর এক প্রয়োজনীয় পরিধেয়, “মাস্ক” বিশেষজনদের জন্য “পি পি, অর্থাৎ পারসোনাল প্রোটেকশন। শুধু তাই নয়! “মাস্ক” একটা বিনাশ্রমে জীবিকা নির্বাহের একটা পার্ট টাইম বিজনেস হয়ে দাঁড়াতে চেষ্টা করছে। দেখে মনে হচ্ছে এটাও পরিধেয় হিসেবে চিরকালীন হয়ে গেছে, এটাকে আর ছাড়া যাবে না। দেখা যাচ্ছে উঠতি বয়সের টোকাই শ্রেণীর ছেলেরা যাদের শ্রম দুদিন পর জাতীয় পর্যায়ের প্রতিষ্ঠানগুলোতে অনিবার্য হয়ে উঠবে তারা এ অলস ব্যাবসাটিকে ব্যস্ত সমস্ত হয়ে বেছে নিয়েছে। দীর্ঘদিন পর এরা আর কায়িক পরিশ্রম করতে চাইবে না। জাতি শ্রমিক সম্পদের এক অংশ হারিয়ে ফেলবে।
অপরদিকে ওরাও এই দিয়ে জীবন চালাতে পারবে না। নির্মাণ শ্রমিক বা গার্মেন্টস, কলকারখানার শ্রমিক এমনকি কৃষি শ্রমিক হিসেবেও কাজ করতে পারবে না। রইলো রিক্সা অটো চালানো। সেটাও প্রশিক্ষণের অভাবে লাইসেন্সবিহীন রিক্সা অটোতে গ্যদারিং করে শহরের যানজটই বাড়াতে পারবে আর কিছু হবে না।
তাই বলছি মাস্ক বিক্রি ও প্রস্তুত করার দায়িত্ব পোষাক প্রতিষ্ঠানের শোরুম ব্যবসায়ীরা নিয়ে উঠতি বয়সের তরুণদেরকে সঠিক কার্যক্রমের দিকেই আগ্রহী করে তুলুন। নইলে অটো পাশ উঠতি বয়সের ছেলেরা উচ্ছন্নে যাবে। যারা ছিন্ন মুকুল তারাও পরিশ্রম শিখবে না।
আশা করি সমাজের সু চিন্তকরা বিষয়টিতে আলোকপাত করবেন। লেখক: কবি ও সম্পাদক