সাম্যের ডাক
খায়রুল ইসলাম মামুন
আজ ভিজে যায় ডায়রির পাতা
ঝরে পড়া আাঁখি জলে।
এ যেন মৃত্যূর প্রতিযোগিতা এক
অথবা বেঁচে যাওয়া ভাগ্যবলে।
এখানে ওখানে লাশ আর লাশ
আধমরা মানব দেহ।
হাশরের মাঠ পৃথিবী আজিকে
মনে হয় কারো নয় কেহ।
মানবতা যখন ডুকরে কেঁদেছে
চেয়েছে পরিত্রাণ
উপহাস করে তাড়িয়ে দিয়েছো
দুয়ারের ভগবান।
কেন তবে আজ তাহার কাছে
ক্ষমা চাও অহর্নিশ?
কেনইবা তারে বিরক্ত কর
অযথা করিয়া কুর্ণিশ।
যাও ফিরে যাও মানুষের কাছে
যাহারা গরীব দ্বীন।
ফিরিয়ে দাও তাদের অধিকার
শোধ করে দাও যত ঋণ।
এসেছে ‘করোনা’ আসিবে আরো
ঠেকাবে কী দিয়ে?
তোমাদের দীপ অতি দূর্বল
নেভাবে শ’তান ফুঁ দিয়ে।
মন্দিরে আছো হিন্দু যত
মসজিদে মুসলমান
খুঁজে দেখ ত্রিপিটক, বেদ
বাইবেল আর কোরআন।
কোথাও কী আছে লেখা
বিভেদের কথা?
রক্ত নিয়ে আজ হলি খেলা চলে
উপরে হাসেন বিধাতা।
এসো, সব ভুলে আজ শপথ করি
সব মানুষে মিলে
আছি যত নর আর নারী
এক আকাশের তলে।
যতদিন বাঁচি, বাঁচবো সকলে
করিয়া হিংসার অবসান
হেথা মসজিদের পাশে মন্দির হবে
কবরের পাশে শ্মশান।
১ Comment
ভালো লেগেছে কবিতা টা