সাগর ও আমি
(লাবণ্য সীমা)
নূপুর পায়ে হেঁটে ছিলাম অনেক টা পথ
সঙ্গী ছিলো কেবল গাঙচিল।
দূর বালুকাময় সেই পথে
আমি সাগর পাড়ের সাগরের সাথেই দেখা করে এলাম।
সাগরের কাছে প্রশ্ন রেখেছিলাম।
তুমি এত গভীর কেনো?
তোমার হৃদয় এত প্রসস্থ কেনো?
তোমার গহবরে কত রকমের প্রাণীকুলের বসবাস।
নাম না জানা কত উদ্ভিদ ।
বিশ্বভান্ডারের অর্ধেক বিস্ময় তুমি কেমন করে
তোমার বক্ষে আগলে রেখেছো ?
নিরব সাগর হঠাৎ উতলা হয়ে উঠিলো, ধেয়ে আসলো তীরে
এক ঝটকায়,আমায় ভিজিয়ে দিয়ে বললো,
আমি উচ্ছাস ,
আমি প্রেমিক,
আমি উম্মাদ,
আমি ভয়ংকর তান্ডব।
আমি চণ্ডালের আরেক রূপ।
তুমি আমাকে জানতে এসেছো?
কঠিন দুঃসাহসিক নারী তুমি,
রূপ লাবণ্যে তুমি অনন্যা।
কিন্তু আমার কাছে তুমি সূক্ষ্ম সিলিকণা।
তুমি ফিরে যাও অনন্যা।
বরঞ্চ তুমি পাহাড়ের কাছে যাও।
হয়তো সে আমার চেয়েও ভালো।
বুক ভরা হাহাকার আর পাথর সম কষ্ট নিয়ে
কেমন করে, আমি পাহাড়ের কাছে যাবো।
তাছাড়া পাহাড়ের আছে ঝর্ণা
আর ঝর্ণার আকর্ষণ যেনো এক মহাকর্ষ শক্তির অনুভব,
আমি সেখানে নিতান্তই তুচ্ছ।
তাই যে জবাবটা এতকাল জানবার ছিলো
তা আজও অজানাই রয়ে গেলো।
আবারও চললাম আমি একা! একা!