সময়ের পালাবদল
(এনামুল হক টগর)
২০/০৬/২০২২
আমাদের পূর্ব পুরুষদের সোনা ও রুপোর মূল্যবান সম্পদ ভাণ্ডারগুলো,
এখন যেন অহংকারী ঘাতকের হাতে রক্তাক্ত ও ক্ষুধার্ত গরল।
বিশ্বজুড়ে হিংসা বিদ্বেষ খুন ধর্ষণ অধর্মের লেবাসে ও ফেতনায় মানুষের বিষাদ ক্রন্দন।
অত্যাচারীর প্রবল ক্ষমতায় প্রিয়তমা আজ বিষণ্ণ জেগে থাকে অজানা তাঁর ঠিকানা।
অসন্ন উত্তরসূরীরা অসম্মান অবহেলায় বিপদজনক পূর্বাভাসে নিরাপদহীন।
আমিত্ববানরাই অবিশ্বাসী তারা সমাজে শুধু জুলুম করে হত্যার ক্রুশচিহৃ বেদনা।
রাজমুকুট ও রাজদণ্ডের সংঘাতে রাজ্যগুলো আজ নীরব চুপচাপ,
শাসক অযথাই যুদ্ধ ঘোষণা করে পৃথিবীর পথে পথে আহত মানুষের ক্রন্দন রক্ত অভিশাপ।
এই বিশ্বে দেখো জুলামবাজরাই বিষধর সাপের মতো খেলা করে কঠিন হিংস্র।
ব্যথিত জনগণ মিছিলে শ্লোগান দেয় ফেঁটে পড়ে শুধু রক্ত আর রক্ত রাজপথে সন্ত্রাস।
আদি কাল থেকে ভেসে আসে অধিকার বঞ্চিত মানুষের পূন-বিপ্লব জাগরণ ধ্বনি।
আঁধারে রাজার রাজ মুকুট রক্ত চষে মৃত্তিকায় গড়ে তোলে বিলাসী প্রসাদ নতুন।
অসহায় মানুষ অধিকারের দাবিতে বিপ্লবী হয়ে ওঠে শত্রুদের বিরুদ্ধে লড়াই সংস্কার।
হাজারও নতুন শিশু মাথা তুলে দাঁড়ায় ন্যায়পরায়ণ আন্দোলনে ক্ষুধামুক্তির অধিকার।
অত্যাচারী শাসকরা ক্রমেই পাপে অস্তিত্ব হারায় কালো সম্পদ ধ্বংস হয় পতনে হাহাকার।
অতৃপ্ত তৃঞ্চায় অত্যাচারী ঘাতক রাজা একদিন চলে যায়,
কোন অচিন জগতে রূপান্তরে ও পরিবর্তনে বেয়াদব অবক্ষয়।
রাজ মুকুট ও রাজত্ব পাড়ে থাকে ক্রন্দনে ক্রন্দনে ও বেদনা ব্যথায় দিশেহারা।
নতুন রাজা আসে বিনিময়ে রাজ্যের জনগণ আবার কথা বলে জীবন অধিকার।
সেই নতুন রাজাও কি হয়ে ওঠে ন্যায়পরায়ণ না কি কঠিন অত্যাচারী আঁধার।