সবুজ লালে।
মোহাম্মদ আবদুল কাইয়ুম
০১.১২.২০২১খ্রীঃ
ধীর পায়ে কিছু স্পষ্টতা আর অস্পষ্টতা
হাজার বছরের লাঞ্চনা বঞ্চনার ধারাবাহিকতা,
সব ভুলে অবশেষে এক মহা নায়কের বদান্যতা,
এলো যার হাত ধরে এ বাংলায় মহান স্বাধীনতা।
রক্ত গঙ্গা পেরিয়ে ক্লান্ত মনের আবেশে অপেক্ষার শেষে
চন্দ্রদীঘল রাতের শৈশব হারিয়ে ভানু রানুদের দীর্ঘশ্বাসে
সিথিরসিঁদুর মুছে আশা নিরাশার খেলাখেলে একপেশে,
ভালোবাসার পাঠটীকা বুকে ধারণ করে বাতাসে মিশে।
স্বর্গ ভুমে এলে চুমে তিলোত্তমার টোল পড়া গালে,
অবশেষে বিজয়ী বেশে একটি পতাকা সবুজ লালে
চিরস্থায়ী বন্দোবস্ত সেই তো দলিলে দিলে নিখিলে।
তিতুমীর,প্রীতিলতা হাজারো বীর বাঙ্গালীর স্বপ্নে বোনা
জাতির স্বপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু মহান কবির বজ্র কণ্ঠে ঘোষণা,
আত্মপ্রত্যয়ী বাসনার হাত ধরে শঙ্খচিলের ডানায় চড়ে
রক্তের মিছিলে মা বোনদের সম্ভ্রমের দামে এমনি করে,
বঙ্গজননীর আঁচল তলে সোনালী সূর্য নামে অবনী পরে।
ধ্রুপদীছন্দে মহানন্দে অস্তিত্ব জানন দিয়ে বিশ্বমানচিত্রে,
প্রদীপ্তশিখা সমুজ্বল আঁধার দলিত একতুরিতে ধরিত্রে!
বখতিয়ারের তেজদীপ্ত ঘোড়ার খুরের ছন্দের চরিত্রে।
টিপু সুলতানের শানিত তলোয়ারের ঝংকারে
বীর বাঙ্গালীর জীবন ও যৌবনের অহংকারে।
সবুজ মাঠ জুড়ে এক মুঠো স্বর্গের হাতছানিতে,
দোয়েল,কোয়েল,শ্যামা,পাপিয়ার কলকাকলিতে।
হাজার নদীর অববাহিকা বঙ্গোপসাগরের কপোল ছুঁয়ে,
গৌরবে সৌরভে সর্ষে ক্ষেতের আ’ল টি ধরে সয়ে রয়ে।
করমের যুয়ান পোলার জীবন সুধা পান করে স্বরূপে
শরীরে নখের আঁচরের স্মৃতি চিহ্নের নিরব ধ্বংস স্তুপে,
অবলীলায় ত্যাগের স্বমহিমায় ইতিহাসের রক্তলেখায়,
লাল টুকটুকে ঠোঁট রাঙিয়ে দখল ইতিহাসের পাতায়,
শ্যমল সোনার বাংলায় স্বত্বা ও স্বকীয়তা অস্থিঃমজ্জায়,
বুকের জমিনে আঁকা রক্তিম সুখ শোভিত এ পতাকায়।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া