সংকীর্ণ
এম এ মাসুদ মিঞা
সংকীর্ণ মানসিকতার, গন্ডিতে যাঁরা আবদ্ধ,
আর যাই হোক, ভালোবাসা হয় না।
এক সাথে থাকা, দূরে থাক, এক সাথে, চলাও যায় না।
সাহিত্য সংস্কৃতির, ধারক বাহক হয়ে,
থাকবো অনন্তকাল,
সাংস্কৃতিক পরিমন্ডলে আমার জন্ম।
বাবা-মা কে দেখেছি, তাদের জীবন চরিত,
খুব কাছে থেকে দেখেছি, দেখেছি বাবার অভিনয়।
সাত দিন থেকে পনের দিন, নাটক, কবিতা আবৃত্তি গান,
সেই অনবদ্য স্মৃতি ভুলা যায়? যাবে না কখনো কোন দিন।
আজকে যাঁরা এ পরিমন্ডলে, বিচরণ করছে, অনেকেই,
সংকীর্ণ মানসিকতার ঊর্ধ্বে উঠতে পারেনি, চরম সংকীর্ণ।
সাহিত্য সংস্কৃতির সঙ্গে যাঁরা যুক্ত,
তাদের হতে হবে, নির্মল নিস্কুলুষ,
তাদের মনপ্রান হতে হবে,
স্বচ্ছ,আকাশের মত বিস্তৃত, সীমাহীন।
যাঁরা সংকীর্ণ মানসিকতার তাঁরা, সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে বিষবাষ্প ছড়ায়,
তাদের দিয়ে কোন সৃষ্টি শীল কোন কাজ,হয় না,
হবেও না,হবে বিশৃঙ্খলা, অনাচার।
এখানে দরকার,প্রগতিশীল, উচ্চমনা, সংস্কৃতির ধারক বাহক, চাই সত্য নিষ্ঠ,
উদারচিন্তার মানুষ, যাঁরা ন্যায়ের পক্ষে, কাজ করবে,কোন বিষবাষ্প ছড়ায় না।
কোন ব্যাক্তির,ইচ্ছায় কোন কবিতা, কোন গান, রচিত হবে না, উৎসর্গ ও নয়,
এগুলো বিধাতার অপার কৃপা ও খেলা,
কারো মত, কারো পথ অনুকরণ করে নয়।
তাই এ অঙ্গনে,যাঁরা নীতি আদর্শের সাথে যুক্ত,
তাঁরা নিজেকে সুধরে ফেলুন, উদার চিন্তার,
মানুষ হিসেবে নিজেকে, সুধরে ফেলুন,
তা হলেই সংগঠন মজবুত হবে,সমাজ সুন্দর হবে।
আপনার কোন মতকে,কোন কবি বা সাহিত্যিককে,
চাপিয়ে দেওয়ার নেই কোন অধিকার,
এটা অন্যায়,এমন চলতে থাকলে, এর পরিনাম ভালো নয়,
ভয়াবহ, আজ আপনি কলঙ্কিত, সূযোগ পেলে কাল আমাকে।
এখনই সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে, নচেৎ আগুন,
জ্বলে উঠবে সাহিত্য সংস্কৃতিক অঙ্গনে।
জ্ঞানী গুণীজনের, মিলন মেলায় নিজের মতবাদকে চাপানো যাবে না কখনো,
তা হলে সাহিত্য সংস্কৃতিতে নেমে আসবে গাঢ় কাল অন্ধকার।
_______________________
এম,এ,মাসুদ মিঞা
ধানমন্ডি, ঢাকা।