১৪৩ বার পড়া হয়েছে
চলচ্চিত্র ও নাট্য অভিনেতা এবং ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি।
শুভ জন্মদিন ইলিয়াস কাঞ্চন
জন্ম: ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৬
ইলিয়াস কাঞ্চন। সারা বাংলাদেশের মানুষের কাছে, এই নামটি উচ্চারনের পর আর কিছু বলার প্রয়োজন পড়ে না। বালক বালিকা থেকে বয়স্ক মানুষ পর্যন্ত সকলেই এই তারকা শিল্পী সম্পর্কে জানেন। প্রখ্যাত পরিচালক, প্রয়াত আলমগীর কবির বলতেন, সামাজিক বা রাজনৈতিক ‘কমিটমেন্ট’ ছাড়া কোন শিল্পী বা শিল্প পূর্নাঙ্গ হতে পারে না। বাংলাদেশের শিল্পী যারা তাদের মধ্যে ইলিয়াস কাঞ্চনই একটি সুনির্দিষ্ট সামাজিক প্রত্যয় নিয়ে নিরলস কাজ করে চলেছেন। এ দেশের সড়ক পথে নিয়ম না মানার ব্যাধির বিরুদ্ধে, মানুষের সচেতনতা গড়ে তুলতে সাংগঠনিক ভাবে কাজ করছেন। সারা বাংলাদেশের উপজেলা, এমন কি ইউনিয়ন পর্যায়েও রয়েছে ইলিয়াস কাঞ্চনের নেতৃত্বাধীন “নিরাপদ সড়ক চাই” সংগঠনটি। এক সময় এই নায়ক ছিলেন, তরুন প্রজন্মের “আইকন”। অসংখ্য রোমান্টিক কিংবা সামাজিক ছবির নায়ক। কোন রকম অশালীন বা বিতর্কিত ছবিতে তাঁকে অভিনয় করতে দেখা যায়নি। পরিচালক এবং প্রযোজকদের প্রয়োজন বা সুবিধার্থে নির্ধারিত সময়ের বাইরে কাজ করে দিয়েছেন তিনি। ভোর থেকে গভীর রাত অব্দি, শুটিং কিংবা ডাবিং করে যেতে দেখা গেছে তাঁকে। এ দেশে সবচেয়ে ব্যাবসা সফল ‘বেদের মেয়ে জোসনা’ ছবির নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। প্রথম ছবি ‘বসুন্ধরা’ থেকে অনেক অনেক ছবিতে তাঁর অভিনয়, ঋদ্ধ দর্শকদের কাছে প্রশংসিত হয়েছে। ইলিয়াস কাঞ্চন পেয়েছেন ‘একুশে পদক’। দুইবার পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। বাচসাস সহ বিভিন্ন সংঠনের পুরস্কার, পদক ও সম্মাননা পেয়েছেন অনেক। এর বাইরে তিনি একজন প্রযোজক এবং পরিচালক। তাঁর সংগে ভিন্ন রকম একটা সমন্নয় রয়েছে আমার। কলেজে পড়ার সময় চিপাচসের মুক্ত আলোচনায় যেতাম, শুনতাম দূর থেকে। “বসুন্ধরা” ছবির মুক্ত আলোচনায় প্রথম কথা বললাম আমি। আলোচনার সময়ই বুঝলাম, যে সব প্রসংগ নিয়ে আমি প্রশ্ন তুলেছি, তা শুধু উপস্থিত দর্শকদেরই নয়, কাঞ্চন ভাই এরও ভালো লাগছে। সেটা ছিলো ইলিয়াস কাঞ্চনের প্রথম ছবি আর ঢাকায় কোন অনুষ্ঠানে আমার প্রথম আলোচনা। পরক্ষ এই সম্পর্কটা পরে প্রত্যক্ষ হয়ে যায়। চলচ্চিত্র সংসদ আন্দোলন করার সময়, কয়েকটি ওয়ার্কশপ আর পুনা’র সতিশ বাহাদুরের কাছে কোর্স করেছিলাম। একদিন, আলমগীর কবির আমাকে ডেকে “ইন্টার্নশিপ” করার জন্য যে ছবির সহকারি পরিচালক বানালেন, তার নায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। সেই “পরিণীতা” ছবিতেই কাঞ্চন ভাই পেলেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। সাংবাদিক হিসেবে চাকুরিতে যোগ দেবার পর, সেই প্রত্যক্ষ সম্পর্কটা হয়ে গেছিলো ঘন। যা আজও বিদ্যমান। ২৪ ডিসেম্বর তাঁর জন্মদিন। শুভেচ্ছা এবং ভালোবাসা কাঞ্চন ভাই।
লিখেছেন : Mujtoba Saud
ইদ্রিস আলী
জন্ম: ২৪ ডিসেম্বর, ১৯৫৬
(যিনি ইলিয়াস কাঞ্চন নামে জনপ্রিয়) একজন বাংলাদেশী চলচ্চিত্র ও নাট্য অভিনেতা এবং ‘নিরাপদ সড়ক চাই’ সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। তিনি ১৯৭৭ সালে বসুন্ধরা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে অভিনয় শুরু করেন। তিনি বাংলাদেশী চলচ্চিত্রের নব্বইয়ের দশকের একজন জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেতা। কাঞ্চন ৩০০ টিরও বেশি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। তার অভিনীত বেদের মেয়ে জোছনা (১৯৮৯) ছবিটি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ও জনপ্রিয় চলচ্চিত্র হিসেবে স্বীকৃত। তিনি একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও বাচসাস পুরস্কার অর্জন করেন।
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার (২ বার)
বাচসাস পুরস্কার
তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছিলেন। তার প্রথম স্ত্রী জাহানারা কাঞ্চনের মৃত্যুর পর তিনি নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন গড়ে তুলেন। সমাজসেবায় তার এই অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার ২০১৭ সালে তাকে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা একুশে পদকে ভূষিত করে।
ইলিয়াস কাঞ্চন ২৪ ডিসেম্বর ১৯৫৬ সালে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার আশুতিয়াপাড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা নাম হাজি আব্দুল আলী, মাতার নাম সরুফা খাতুন। তিনি ১৯৭৫ সালে কবি নজরুল সরকারি কলেজ থেকে এইস এস সি পাস করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে স্নাতক শুরু করলেও শেষ করেন নি।
১৯৭৬ সালে পুরান ঢাকায় অবস্থানকালে কাঞ্চন ওয়াপদা মিলনায়তনে একটি মঞ্চনাটকে কাজ করেন। সেই মঞ্চনাটকের অতিথি ছিলেন সুভাষ দত্ত। নাটকটি দেখার পর সুভাষ দত্ত কাঞ্চনকে তার সাথে দেখা করতে বলেন এবং সাহিত্যিক আলাউদ্দিন আল আজাদের তেইশ নম্বর তৈলচিত্র উপন্যাস অবলম্বনে বসুন্ধরা (১৯৭৭) চলচ্চিত্রের পাণ্ডুলিপি দেন। এটি ছিল তার অভিনীত প্রথম চলচ্চিত্র। ছবিটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন ববিতা। এরপর তিনি একই অভিনেত্রীর সাথে অভিনয় করেন ১৯৭৮ সালে ডুমুরের ফুল, ১৯৭৯ সালে সুন্দরী চলচ্চিত্রে। এ সময়ে তার আরও কিছু উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র হচ্ছে শেষ উত্তর, নালিশ, অভিযান। রাজ্জাক পরিচালিত অভিযান (১৯৮৪) ছায়াছবিতে রাজ্জাক ও জসিমের পাশাপাশি তার অভিনয় দর্শকদের মুগ্ধ করে। ১৯৮৬ সালে আলমগীর কবির পরিচালিত পরিণীতা চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। এতে তার বিপরীতে অভিনয় করেন অঞ্জনা রহমান। ১৯৮৭ সালে মুক্তি পায় কাজী হায়াত পরিচালিত দায়ী কে? ছায়াছবিটি। তার বিপরীতে প্রথমবারের মত অভিনয় করেন অঞ্জু ঘোষ।
তার অভিনয় জীবনের শ্রেষ্ঠ সময় এই দশ বছর। ১৯৮৯ সালে তার আরেক উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্র বেদের মেয়ে জোছনা মুক্তি পায়। রাজার ছেলে এক সাধারণ বেদের মেয়ের প্রেমে পড়ে নিজের জীবন বিপন্ন করে তোলে। বাবা কর্তৃক বিচারের রায়ে ফাঁসির আদিষ্ট হয়। পালিয়ে গিয়ে অন্য রাজ্যে জেলে বন্দী হয়। সীমাহীন কষ্টের এক অসাধারণ প্রেমের গল্প বেদের মেয়ে জোছনা তাকে খ্যাতির শীর্ষে নিয়ে আসে। এতেও তার বিপরীতে অভিনয় করেন অঞ্জু ঘোষ। এর পর তিনি অসংখ্য দর্শক প্রিয় চলচ্চিত্র উপহার দেন। যার মধ্যে শঙ্খ মালা, অচেনা, রাধা কৃষ্ণ, ত্যাগ, সিপাহী, বেনাম বাদশা, আদরের সন্তান, ভেজাচোখ, রক্তের অধিকার, চরম আঘাত, স্বজন, ভাংচুর উল্লেখযোগ্য।
এ সময়ে তিনি চলচ্চিত্রে অশ্লীলতার কারণে অভিনয় থেকে সরে যেতে থাকেন। ২০০৫ সালে চাষী নজরুল ইসলাম পরিচালিত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের গল্প অবলম্বনে শাস্তি চলচ্চিত্রে অভিনয় করে শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান।
২০০৬ সালে আবু সাইয়ীদ পরিচালিত নিরন্তর ছায়াছবিতে অভিনয় করেন। চলচ্চিত্রটি বেশ কয়েকটি অন্তর্জাতিক চলচ্চিত্রে প্রদর্শিত হয়। ২০০৮ সালে তিনি প্রথমবারের মত বাবা আমার বাবা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে পরিচালকের খাতায় নাম লিখান। ২০১০ সালে তিনি তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র মায়ের স্বপ্ন নির্মাণ করেন।
২০১৫ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের হঠাৎ দেখা কবিতা অবলম্বনে শাহাদাৎ হোসেন বিদ্যুৎ ও কলকাতার রেশমী মিত্রের পরিচালনায় একই নামে চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হন। এতে তার বিপরীতে ছিলেন কলকাতার দেবশ্রী রায়।ছবিটি ২০১৭ সালে মুক্তি পায়। নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলন প্রতিষ্ঠা করেন। এ আন্দোলনের দাবিতে নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করা হয়। নিরাপদ সড়কের দাবিতে আন্দোলনের মাধ্যমে সমাজে ইতিবাচক ভূমিকা রাখায় ২০১৮ সালে একুশে পদক লাভ করেন। এই বছরে তিনি ইফতেখার চৌধুরী পরিচালিত সুপারহিরো চলচ্চিত্র বিজলী-এ অভিনয় করেন।বাংলা নববর্ষে মুক্তি পাওয়া ছবিটিতে মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেন ববি এবং কাঞ্চনকে ববির অভিনীত চরিত্রের বাবার ভূমিকায় দেখা যায়।
১৯৭৯ সালে জাহানারা কাঞ্চনের সাথে ইলিয়াস কাঞ্চনের কাবিন হয়। ১৯৮৩ সালে তাকে ঘরে তুলেন। তার স্ত্রী ১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর বান্দরবানে ইলিয়াসের চলচ্চিত্রের দৃশ্যায়ন দেখতে যাওয়ার পথে চট্টগ্রামের অদূরে চন্দনাইশে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণ করেন। এরপর শোকাহত ইলিয়াস চলচ্চিত্র জগত থেকে দূরে সরে যাওয়ার ঘোষণা দেন। তাদের এক পুত্র, নাম মীরাজুল মঈন।
সড়ক আন্দোলনে অবদান সম্পাদনা
ইলিয়াস সামাজিক আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে যাচ্ছেন। ১৯৯৩ সালের ২২ অক্টোবর সড়ক দুর্ঘটনায় তার স্ত্রী মৃত্যুবরণ করেন। পরবর্তীতে এ দিনটিকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তার স্ত্রীর সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হবার পর ১৯৯৩ সালের ১ ডিসেম্বর থেকে “নিরাপদ সড়ক, নিরাপদ জীবন” শ্লোগানে দীর্ঘদিন কাজ করে যাচ্ছেন তার প্রতিষ্ঠিত নিরাপদ সড়ক চাই (নিসচা)। নিসচা আন্দোলন বাংলাদেশে ব্যাপক ভাবে পরিচিতি লাভ করে এবং এর সাথে বিভিন্ন মহল একাত্মতা ঘোষণা করেছে। তিনি বর্তমানে নিরাপদ সড়ক চাই আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ও প্রধান কান্ডারী। ২০১৫ সালের ৪ মে জাতিসংঘের রোড সেফটি ফর আওয়ার চিলড্রেন কর্মসূচিতে অংশ নেন ইলিয়াস কাঞ্চন। রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল, খিলগাঁও, কাকরাইল, উত্তরা ও ধানমন্ডির পাঁচটি স্কুলের শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নিয়ে এই কার্যক্রম চলে। এর স্লোগান- “ভবিষ্যতের জন্য নিরাপদ সড়ক চাই”। সংগঠনের কর্মকাণ্ড জাতিসংঘেও প্রশংসিত হয়। একুশে পদকে ভূষিত হন তিনি। বাংলাদেশের সড়কে চার লেন তৈরি, সড়কে ডিভাইডার তৈরি, মহাসড়ক থেকে নসিমন-করিমন উঠিয়ে নেওয়া, প্রতিবছর নিরাপদ সড়ক দিবস পালন ইত্যাদিতে তিনি ও তার সংগঠন মুখ্য ভূমিকা পালন করে।
জাতীয় সড়ক দিবস ঘোষণা সম্পাদনা
১৯৯৮ সাল থেকে নিসচা ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি জানিয়ে আসছে। ২০১২ খ্রিস্টাব্দের ১ অক্টোবর ঢাকার সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে তারা ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণার দাবি এবং ঐ বছরের ২৬ আগস্ট থেকে তারা গণস্বাক্ষর নেওয়া শুরুর কথা জানায়। ২০০২ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় সড়ক নিরাপত্তা কাউন্সিলের সভায় ২২ অক্টোবরকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস হিসেবে ঘোষণা করা হয়। তবে দিবসটি জাতীয়ভাবে ঘোষণার জন্য গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করে তা প্রধানমন্ত্রীর কাছে উপস্থাপন করার জন্য গণস্বাক্ষর নেয় নিসচা। পরবর্তীতে ২০১৭ সালের ৫ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা এক বৈঠকে এই দিনটিকে জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস ঘোষণা করেন।ঐ বছরের ২২ অক্টোবর ‘সাবধানে চালাবো গাড়ি, নিরাপদে ফিরবো বাড়ি’ প্রতিপাদ্যে বাংলাদেশে প্রথমবারের মত জাতীয় নিরাপদ সড়ক দিবস পালিত হয়।
বছর পুরস্কার বিভাগ কর্ম ফলাফল সূত্র
১৯৮৬ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পরিণীতা যৌথভাবে
২০০৫ শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্রে অভিনেতা শাস্তি
২০১৮ একুশে পদক সমাজসেবা
২০১৮ টেলিভিশন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ট্রাব) পুরস্কার বিশেষ সম্মাননা