একান্ত গোপনে
শীরীন আক্তার
১৩/১০/২১
এই রক্ত কণিকার দল…
ঝরে ঝরে গড়িয়ে পড়ে
কোথায় যাবি? যদ্দুর যেতে পারি!
আমরা আর পারছি না…
তোমার সাথে বাস করবো না
কিছুতেই,এতো কষ্ট সইতে
পারছিনা তাই চলে যাই।
তুমি না, বড্ড বেহায়া,
কীভাবে পার সইতে
এতো দুঃসহ যন্ত্রণা!
আমরা ঠিক করেছি
তোমার শরীরে আর বইবো না,
তাতে তোমারও মুক্তি
সেই সাথে আমাদেরও।
আর কিছুতেই পড়ে থাকবো না
এ জঘন্য নোংরা ড্রেনে।
ও-ই যে দেখছো প্রবহমান নদী —
নদীটার ওপারে আছে এক ফুলবাগান
আস সেখানেই ঘুরে বেড়াবো রাতদিন।
তবেই আর কোনদিন তোমার বুকভাঙা
দীর্ঘশ্বাস আসবেনা, সারাক্ষণ হাসিখুশি
মনে বিচরণ করবে ফুল প্রজাপতি আর
বাতাসের মৃদুমন্দ আলতো আদরে।
সবচেয়ে মজার বিষয় কী জান?
তুমি সেখানে হাসবে, খেলবে
ঘাস ফড়িংয়ের সাথে লাফিয়ে বেড়াবে।
কেউ! কেউ দেখবেনা তোমাকে
কোনো জ্বালা আর মুখ বুজে
সইতে হবেনা কোনো কালে।
ও মা তাই বুঝি! এই পৃথিবীতে এমন
জায়গাও আছে নাকি!
তোমরা মিথ্যে বলছো না তো?
না না, মিথ্যে বলিনি, চল চল পালাই।
আমরা যে তোমারই সুখের দূত
আমরা চাই দিতে অনাবিল শান্তি
এ পৃথিবীর স্বার্থপর মানুষদের থেকে
দূরে বহুদূরে থাকবে তুমি ফুলের নীড়ে
একান্ত গোপনে নীরবে, নিভৃতে।
গন্ধরাজ
মাইজদী, নোয়াখালী।