শীত
এটিএম ফারুক আহমেদ
তারিখ: ০৪.০১.২০২৩ইং
শীত এসেছে জেঁকে বসেছে উত্তরের জনপদে
শীত এসেছে হিমেল হাওয়া বইছে সারাদেশে জমে গেছে হাত-পা সব, আগুন পোহায় সবে
নাড়া যদি ফুরিয়ে যায় লাকড়ি জ্বলে কষে
খেজুর রস কিনতে ছুটে হাট বাজারে সবে
পাড়াগাঁয়ে, বাগ বাগানে গাছের দেখা নাই
কোথা পাবে রসের হাঁড়ি গাছগাছিও যে নাই
দিনের ধরণ, গায়ের গড়ন সব গেছে বদলে
বসে খাবে মোবাইল টিববে আকাশ পানে চাইবে
আকাশ হতে খোদা এসে গাছগাছালি, ফলফলাদি লাগিয়ে যেন দিবে
মিটিমিটি হেসে হেসে তিনি খাবেন চিবিয়ে
বাহ্ আয়েশি কি ঢঙ তাহে-, চোখে মুখে ঠোঁটে!
এমনি করে সময় যাবে জনসংখ্যা বাড়ে
মাঠের জমি শেষ করে সে ঘরবাড়ি বানিয়ে
শীত পোহাতে, পেট বাঁচাতে হাত পাতা এখন নিত্য অভ্যাসে
শ্রম কর্ম বাদ দিয়ে বিদেশ যাবে ভাবে
বিমান চড়াই আশা শুধু বিদেশ কি সোজা ওহে
এমন সোনা দেশ বিশ্বের কোথাও আর পাবেনাকো খুঁজে
নজরুল বলে, রবি বলে, জীবনানন্দ কবি শুধু নয়
আমিও বলি থাকতে সময় স্বদেশ নিয়ে ভাব নিশ্চয়
যে দেশের মাটিতে সোনা ফলে বারমাসি ফল ফসলে
সে দেশ ছেড়ে অলস ছেলে যাসনে বিদেশ বিভুঁইয়ে
শীত পড়েছে পড়বে তো শীত বরফ পড়েনি তো ভাই
কী করুন দশা বরফ পড়ে দেখে আস কানাডা আমেরিকা যাই
আমার দেশকে গালি দিলে “জাতে তো বাঙালি বলে”
মন বলে দুটো লাগাই বিষম কষে দুগালেতে
ধর্ম, নীতি, আদর্শ সততা, আতিথেয়তায় এখনো এদেশ সবার শীর্ষে
পুকুর চুরি আরো বেশি হয় এ-ই মহাবিশ্বে
জেগে জেগে ঘুমিওনা চোখ কান খোল সবে
রসও মিলবে, হাঁড়িও ভরবে, শীতও যাবে চলে
সবাই যদি জিতে গেছে, তুমিও যাবে জিতে
এসো সবে কাজে ফিরি মাঠঘাট অফিস আদালত আর কলকারখানাতে!
দেখেছ কি পৌষের মাঠে কী আয়েশি আবাদ
যেন সোনা ফলে পড়ে রয় পুরো বারোমাস!
গানবাজনা, মোয়া মুড়ি, চিতই পিঠে
পুয়া, ভাঁফা, পাটি শাপটার
আহা সে কি মনকাড়া বুনন ভাই!
মা বলে কিনে, চাহি লুটেপুটে মহাসুখে খাই।
ছোট জলে জাল মারি, পুকুর খালে বিলে
মাছ লাফায়, আমি লাফাই, বোন, গিন্নি মা হেসে লাফায় খুশিতে
মাছভাত সবজি কালাই সবই রয় এক পাতে
বোনকে দেই, ভাইকে দেই, নিজে খাই-
কী যে সুর বাজে গীটার একতারাতে
নদীর জলে শীতে কাবু মাঝি গান ধরে
মাঝি বাইয়া যাও রে…
শীতে কাবু হইয়াও আমি সাধের নাও
যাই বাইয়া রে..!