ভাসানের ডিঙায়
শিল্পী মাহমুদা
গ্লানির দহন নয়, ক্লান্ত দিনের শেষে আসে বিমর্ষ রাত
আত্মবিশ্বাসী সন্ধানে জানি থাকবে না – রাখবে না এ হাতে হাত,
হালকা হিমেল হাওয়ার কাছে পাঠিয়ে দেবো খোলা চৈত্রের সকাল
যার পদশব্দে শুনে তুমি সাজাবে অজস্র ছায়ার দেয়াল
পরিকল্পিত প্রত্যাখ্যান আর হাসির আড়ালে পালিয়ে আছে কান্না ,
মৌসুমি ফুলের উল্লাস চাই শুধু, চাইনা তো অনেক কিছু হিরা – মতি পান্না ।
স্মৃতিচিহ্ন জ্বলতে জ্বলতে জ্বালাবে আরও
চোখের বর্ষায় ধুয়ে মনে দুলবে খেয়া কারও
তুলবে বাঁশের বাঁশিতে তোলা ভালবাসার সুর
আর চোখের বৃষ্টি পাক তখন নিখাদ আপন সমুদ্দর ।
এ জন্মে কি পেলাম কি পেলাম না হিসেব না করি
জন্মের ক্লেদে ভেসে চলো প্রার্থনায় হাত দুটো ভরি
ফসলিম চোখে রাতের তাজমহলের শ্বেত পাথর ছুঁয়ে ,
প্রেমের প্রতিমা হয়ে কত কথা বলতে ইচ্ছা হয় নুয়ে ।
অনেক সময় শেষে প্রাণের উল্লাসে এমন সময় আসে
অভিমান নয়, সর্বোত্তম বিরহে ব্যাথায় বুক ভাসে
আর মনে হয়
ভাসমান ডিঙায় স্পর্শই জীবন
এ যেন নয় শুধুই সমর্পণ।।
শিল্পী মাহমুদা: কবি ও বাচিক শিল্পী