নৈযুজ্য
শিরীণ আক্তার
অঢেল সময় দেয়া মানুষটির সময়ের হিসেব রাখা হয়নি
চলে যাবার সময় রোজনামচায় লিপিবদ্ধ করে রেখেছি
দিনপঞ্জিকার হিসেবে সে ক্ষণ সে মূহুর্তগুলি উল্টে পাল্টে দেখি।
যখন তখন অনর্থক কথার ঝিঁ ঝিঁ ডাকে যে ছুটে আসত
আজ সে আমায় দিয়ে গেছে অপেক্ষার অফুরন্ত অবসর।
আমার মৃতপ্রায় অনুভূতির আগ্নেয়গিরি আজ সুপ্ত
তাতে উদগীরিত হচ্ছে কষ্টের অশ্রুজল আর হাহাকারের জ্বলন্ত লাভা।
তৃষ্ণার্ত চাতক পাখির মতো তাকে খুঁজে ফিরছি আমি
বৃষ্টির শব্দ ,পাখির কুজন আর কোলাহলময় প্রান্তর আমাকে অস্থির উন্মাদ দিগভ্রান্ত করে তোলে,
প্রকৃতির এমন মোহনীয় কলধ্বনিতে শুধু তার আর্তনাদ শোনা যায়!
আমি তাই নৈসর্গের নিঃস্তব্ধতায় তাকে খুঁজি।
সূর্যোদয়ে শুনি তার হাসি, শিশিরে শুনতে পাই তার কান্না আর চাঁদের আলোয় অনুভব করি তাকে।
সেতার সরোদের সন্ধ্যাকালীন ঝিঁঝিটে খুঁজে ফিরছি তাকে।
সে কোথায়!