জীবন নামক খোয়াবনামা
পথশিশু দুটো মিছেই রাঁধে ভাত!
মা ফুট ওভার বীজের নীচে চুলো ধরায়!
ও আল্লাহ বৃষ্টি দাও!
তাপদহন আর সইতে পারছি না!
নিমিষেই উড়ে গেলো মঞ্জুরিত প্রার্থনা!
তীরের ভুমিকা আমি সংহত করি!
তীরন্দাজ হয়ে আর শিকার নয়
বাচ্চা দুটোর মিছে ভাত আমায়
বর্ণগন্ধময়ে অবাক করে!
সম্প্রদায় কাকে বলে?
বিন্যস্ত শ্রেণী বিন্যাস কে করেছে?
আহা ধুলো উড়িয়ে সাইরেন বেজে গাড়ি যাচ্ছে আর পত পত করে ফ্লাগ উড়ছে
রাস্তা তুলোধুনো করছে ডিপফ্রিজের গাড়ি!
ঊষরিয়া প্রাসাদ তো কিছু জনের
কেবল কালসিটে দাগ রেখে যায়
বুকের পেখম মেলে প্রায়ীক প্রাঞ্জলীর
প্রতুৎগমন কোনো দাঢ্যমানে বহন করা সুরা!
সঙ্গোপনে কায়িক শ্রমের কিছু গতর পোড়া হৃদয় পোড়া মানুষ!
হয়তো ঘর বদল হয়
সিঁদুরের মেঘের দাক্ষিণ্যে
তবে শুন্যের হাত বদল হয়না সম্প্রদানে!
যে দৃশ্য স্মৃতি পটে
চঞ্চলা চঞ্চু দিয়ে পাপিষ্ঠ জীবন দেখে
শহরে মানুষ তা গ্রামের শান্ত মানুষ সাধারণ
চোখ দিয়ে তা সরোজমিনে অনুভব করতে পারে না!
আগুনের দিন
জীবনের স্রোত টেলে গুতিয়ে
জীবননামা রচিত করে শেখায় সফেদা গাছের মতো কিংবা
দারস্থ হতে হয় লম্বাটে ত্রি-তালের তানে!
গর পোড়া গরুদের জীবন আর
যেখানে দেখে টিয়ে পাখির গুনে যাওয়া
সুদূর ভবিষ্যতের খোয়াবনামা!
কষ্টের জলধি
দুঃখ একটা নয়
বহু দুঃখ জীবনের প্রোরিত সঙ্গে।
অসুন্দরের ভাঁজে ভাঁজে জমে থাকা
প্রতিক্ষার স্বেদ বিন্দু জমিয়ে
ডাবলি বাজায়
দুরন্ত প্রতাপে
বহুবিধ জীবনের ছুটি ছাটার বহুল
আয়োজনে আমার আবছা দৃষ্টিপাতে
অবান্তর পথে
গো-মাছি পরে পরে রয় — তাবৎ পথে।
শুয়ে থাকা যুবকটির মুখে
বিষের লালা ঝরছে!
বাস্তুহারা জীবনময়
সেলোফেন ব্যাগের জোনাকির মতো
নির্বাক চেয়ে থাকি হা করা মুখের দিকে!
অখাদ্য মাছির গূঢ় অর্ন্তবাসে
কেবলই কালসিটে দাগ
দেহের মানচিত্রেই পরে না
দেশের মানচিত্রেও পরে
পিতামহের পুরনো ঘর
বাঁশের বিশ্বস্ত খুঁটি
গিঁটে গিঁটে বেড়ে উঠা আ- শৈশব কৈশোর
এই গুবরে মাছির অন্তরালে খাবি খায়
ঘোলাজলে বেপরোয়া মেজাজি জীবনে
রাক্ষুসে নেশা জীবন কেড়ে নেয়না!
স্টেশনে ফেলে রাখে
গাছ তলায় পুঁতে রাখে
পিতামহের দীর্ঘ শাপে
যে দৃশ্য পটে মা নেই
যে দৃশ্য পটে দেশমাতাও অপারগ
দায় কার—?
নাকি শূন্যে পাত্রে গাঢ় প্রত্যাখ্যান?
আমার ধুপ চাদরে জড়িয়ে পরে থাকে
প্রশ্নের প্রহসনে প্রশ্ন
যদিও শূন্য বুকে হাহাকারের নিত্য বসবাস
তবুও অগাধ জলধি পাড়ি দিই
শোকের ডুব সাঁতারে
১ Comment
congratulations