জানালা
আমার হাতের কাঁকনের রিনি ঝিনি আওয়াজে
তুমি আসতে গভীর রাত্রিতে আমার জানালায়
লাগতো ভালো যত ছিল চাওয়া পাওয়া।
হতো না খুনসুটি থাকতে নিথর তুমি
নিস্তব্দ হয়ে যেত অনুভূতি গুলো
তুমি মাঝে মধ্যে বলতে একটু আধটু কথা,
আমি নিস্চুপ সুবোধের মত শুনতাম
তোমার দুষ্ট মিষ্ট অভ্রবানী।
সকাল হতে কতটুকো সময় রয়েছে বাকী
আমি করতাম হিসাব তার
এসেছো আমার জানালায়
এ রজনী ভোর না হয়
থাকতাম বিভোর সে উৎকন্ঠায়।।
তোমার আমার সাথে করতো মিতালী
পূর্ণিমার চাঁদ
মাঝে মাঝে তারারা ও এসে মিলাতো হাত
আহা! কি দারুন ছিল সেই মিতালীর রাত।।
জোসনার আলোয় আলোকিত হতো মুখ
সুখ পাখি এসে ডাকতো বলে সুখ সুখ।।
সবই ছিল ঠিকঠাক,
হঠাৎ এলো অমাবশ্যার রাত—
নিমিষেই ভেঙ্গে গেল অন্তপুরীর সকল আশা
আসলে না তুমি আসলো না শোকাহত তারাও চাঁদ।।
পড়ে রইল জানালা খুলে তার আপন নিবাস
অমাবশ্যার নিকোষ কালো থাবা
করে দিল চূড়মার যা ছিল আশা
এসে বাধঁলো বাসা কঠিন হতাশা।
ভেঙ্গে গেল কাঁকন বাজলো না আর
উদাসী হলো হাওয়া বিবাগী হলো মন
উড়ে গেল সকলের মিতালীর বন্ধন।
চলে গেলে তুমি আসলে না আর
আমি আর জানালা হলাম একেলা
পেলাম না দেখা আর কখনই তোমার ।।
হাওয়াই মিঠাই
খেলেছি কত খেলা
ছোট্ট বেলা হতে কিশোর বেলা
আজ ও হৃদয়ে বাজে।
ঘুরেছি বনবাদাড়ে
ভয় করেনি কোন ভূত পেত্নীকে
খেলতে গিয়ে করেছি জয়
আবার হেরেছি ম্যালা
চলে এসেছি বাড়ি
মুখ গোমড়া করে।
বেলা শেষ হলে বলতাম
কেন ফুরালো বেলা
খেলা বাকী আছে অনেক
কালকে আমি আগে ঢাল দিব
মনে থাকে যেন সকলের।
গিয়েছি মেলায়
চলেছি নাগড় দোলায়
চার আনা দিয়ে কিনেছি
হাওয়াই মিঠাই।
খেতে খেতে হেঁটেছি পথ ম্যালা
চড়িনি তো গাড়ি ঘোড়ায়
কতটা পথ পাড়ি দিয়েছি নৌকায়
আবার শুরু করেছি হাঁটার পালা।
সন্ধ্যা হলে যে যার ঘরে ফিরেছি
জোরে জোরে পাল্লা দিয়ে
ভাইবোনেরা এক টেবিলে পড়েছি।
হারিকেনের নিভু নিভু আলো
তারপরও ছন্দে ছন্দে পড়তে
লাগতো বেশ ভালো
সকাল হলে আবার দলবেঁধে
মক্তবে পড়তে যাওয়া
ফেরার পথে তার আনা দিয়ে
হাওয়াই মিঠাই কিনে খাওয়া।
বিকেলে দেখেছি বাইস্কোব
মা চাচীদের সাথে
রাত নটায় বিটিভিতে দেখেছি
ধারাবাহিক নাটক পাড়া পড়শী সবাই মিলে।
শৈশবের সেই স্মৃতি বড় মনে পড়ে
মাঝে মাঝে মনে হয়
যদি আরেকটি বার
আগের সেই দিন পেতাম ফিরে
আবার ও খেতাম হাওয়াই মিঠাই
বনবাদাড়ে ঘুরে ঘুরে।।
১ Comment
Congratulations